BN/Prabhupada 0064 - সিদ্ধি অর্থাৎ জীবনের পরিপূর্ণতা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0064 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0063 - मुझे एक महान मृदंग वादक होना चाहिए|0063|HI/Prabhupada 0065 -कृष्ण भावनाभावित बनने से हर कोई सुखी हो जाएगा|0065}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0063 - আমায় এক মহান মৃদংঙ্গ বাদক হতে হবে|0063|BN/Prabhupada 0065 - কৃষ্ণ ভাবনায় ভাবিত হলে সবাই সুখী হবেন|0065}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
কেচিৎ মানে "কেউ।" "খুবই কদাচিৎ." "কেউ" মানে "খুব কমই।" বাসুদেব-পরায়না  হওয়া এত সহজ বিষয় নয়। গতকাল আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন,  
কেচিৎ মানে "কেউ" 'অত্যন্ত দুর্লভ'। 'কেউ' মানে 'অত্যন্ত দুর্লভ' 'বাসুদেব পরায়ণ' হওয়া এতো সহজ নয়। গতকাল আমি ব্যাখ্যা করেছি যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যততামপি সিদ্ধানাম্ কশ্চিদ্ বেত্তি মাম্ তত্ত্বতঃ, মনুষ্যানাম্ সহস্রেষু কসচিদ্ যততি সিদ্ধয়ে ([[Vanisource:BG 7.3 (1972)|গীতা ৭.৩]]) সিদ্ধি মানে জীবনের সার্থকতা। সাধারণত লোকেরা একে অষ্টসিদ্ধি বা যোগ অভ্যাস বলে মনে করে, অণিমা, লঘিমা, মহিমা, প্রাপ্তি, সিদ্ধি, ঈশিত্ব, বশীত্ব, প্রাকাম্য, এইসব হচ্ছে সিদ্ধি, যোগ-সিদ্ধি। যোগ যিদ্ধি মানে তুমি সবচেয়ে ক্ষুদ্র থেকেও ক্ষুদ্রতম হতে পারবে। আমাদের প্রকৃত আয়তন আসলে অত্যন্ত ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র। যোগসিদ্ধির মাধ্যমে, এই জড় দেহ থাকা সত্ত্বেও, একজন যোগী ক্ষুদ্রতম আকৃতি ধারণ করতে পারেন আর তুমি তাঁকে যেখানেই বদ্ধ করে রাখো না কেন, তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। তাঁকে বলা হয় অণিমাসিদ্ধি। সেইরকম ভাবে মহিমা-সিদ্ধি, লঘিমা-সিদ্ধি রয়েছে। তিনি তুলোর থেকেও হালকা হতে পারেন। যোগী এতোটাই হালকা হয়ে যেতে পারেন। ভারতবর্ষে এখনও যোগীরা রয়েছেন। আমাদের ছোটবেলায় আমরা কয়েকজন যোগীকে দেখেছি, তাঁরা আমার পিতার কাছে আসতেন। তিনি বলতেন যে তিনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে যে কোনও স্থানে যেতে পারতেন। আর কখনও কখনও তাঁরা খুব সকালে জগন্নাথ পুরী, রামেশ্বরম বা হরিদ্বার যেতেন এবং গঙ্গা ও অন্যান্য বিভিন্ন নদীর জলে তাঁরা স্নান করতেন। একে বলা হয় লঘিমা সিদ্ধি। তুমি অনেক হালকা হয়ে যাবে। তিনি বলতেন, "আমরা আমদের গুরুদেবের সঙ্গে বসে রয়েছি এবং কেবল স্পর্শ করছি। এভাবে আমরা এখানে বসে রয়েছি এবং কয়েক সেকেন্ড পরেই আমরা অন্য এক স্থানে গিয়ে বসছি।" একে বলা হয় লঘিমা সিদ্ধি।
:যতোতাম অপি সিদ্ধানাম কশ্চিৎ বেত্তি মাং তত্ত্বত,
:মানুষ্যনাম শহস্রেষু কশ্চিৎ  যততি সিদ্ধয়ে  
:([[Vanisource:BG 7.3|ভা.গী.৭.৩ ]])


সিদ্ধি মানে জীবনের পরিপূর্ণতা । সাধারনত তারা যোগ অনুশীলনের অষ্ট সিদ্ধি গ্রহণ করে- অনিমা, লঘিমা, মাহিমা, প্রাপ্তি,সিদ্ধি,ঈশিতা, বশিতা, প্রকাম্য। এগুলোকে বলে সিদ্ধি , যোগ সিদ্ধি। যোগ সিদ্ধি মানে, আপনি ছোট থেকে আরও ছোটো হতে পারেন। আমাদের প্রকৃত পরিমান খুব, খুব ছোট। সুতরাং যোগ সিদ্ধি দ্বারা, এই উপাদান শরীর থাকার সত্ত্বেও, এক যোগি ক্ষুদ্রতম আকারে আসতে পারে, এবং কোথাও আপনি তাকে প্যাক করে রাখলে, তিনি বেরিয়ে আসতে পারবে। এটিকে বলে অনিমা সিদ্ধি। একইভাবে , মাহিমা সিদ্ধি, লঘিমা সিদ্ধি। তুলোর মতো তিনি হালকা হতে পারেন।
এইভাবে অনেক ধরণের যোগসিদ্ধি রয়েছে। লোকেরা এই ধরণের যোগসিদ্ধিগুলো দেখে বিমোহিত হয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, যততামপি সিদ্ধানাং ([[Vanisource:BG 7.3 (1972)|গীতা ৭.৩]]) "এই ধরণের বহু সিদ্ধদের মধ্যে, যাঁদের যোগসিদ্ধি রয়েছে," যততামপি সিদ্ধানাম্ কশ্চিদ্ বেত্তি মাম্ তত্ত্বতঃ "কেউ হয়তো আমাকে জানতে পারে।"  ([[Vanisource:BG 7.3 (1972)|গীতা ৭.৩]]) সুতরাং কেউ হয়তো কিছু যোগসিদ্ধি পেল; কিন্তু তবুও শ্রীকৃষ্ণকে জানা সম্ভব নয়। সেইটি সম্ভব নয়। কেবল মাত্র তাঁরাই শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারবেন যারা সবকিছু শ্রীকৃষ্ণকেই উৎসর্গ করেছেন। তাই শ্রীকৃষ্ণ চান, তিনি দাবী করছেন, সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮.৬৬]]) শ্রীকৃষ্ণ কেবল মাত্র তাঁর শুদ্ধভক্তদের দ্বারাই পূর্ণরূপে উপলব্ধ হন, আর কারোর দ্বারা নয়।  
 
যোগী, তারা এত হালকা হয়ে ওঠে তবুও ভারতে যোগী আছে। অবশ্যই, আমাদের শৈশবকালে আমরা কিছু যোগি দেখেছি, তিনি আমার বাবার কাছে আসতেন। তাই তিনি বলেন যে তিনি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কোথাও যেতে পারেন। এবং কখনও কখনও তারা সকালে যায় জগন্নাথ পুরিতে, রামেশ্বরম , হরিদ্বার পর্যন্ত, এবং তারা স্নান করে বিভিন্ন গঙ্গা ও অন্য জলাশয়ে। এটাকে বলে লঘিমা সিদ্ধি।
 
আপনি খুব হালকা হতে পারেন। তিনি বলেছিলেন যে "আমরা আমাদের গুরুের সাথে বসে আছি এবং শুধু স্পর্শ করছি। আমরা এখানে বসে আছি, এবং কয়েক সেকেন্ড পরে আমরা একটি ভিন্ন জায়গায় বসতে পারি। " এটি লঘিমা-সিদ্ধি নামে পরিচিত। তাই অনেকগুলি যোগ-সিদ্ধি আছে। এই যোগ-সিদ্ধি দেখে লোকেরা খুব বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু কৃষ্ণ বলেছেন, যতোতাম অপি সিদ্ধানাম ([[Vanisource:BG 7.3|ভা.গী.৭.৩ ]]) "অনেক সিদ্ধির মধ্যে, যারা যোগ-সিদ্ধি পেয়েছে," যতোতাম অপি সিদ্ধানাম কশ্চিৎ বেত্তি মাং তত্ত্বত, ([[Vanisource:BG 7.3|ভা.গী.৭.৩ ]]) "কেউ আমাকে বুঝতে পারে।"
 
তাই কেউ কিছু যোগ-সিদ্ধি অর্জন করতে পারে; কিন্তু কৃষ্ণকে বোঝা সম্ভব নয়। সেটা সম্ভব না. যারা কৃষ্ণ তে সবকিছু নিবেদন করেছে। কৃষ্ণ তাদের কাছেই বোধগম্য। তাই কৃষ্ণ চান যে, সর্ব-ধর্মান পরিতেজ্য মাম এক শরনং ([[Vanisource:BG 18.66|ভা.গী. ১৮.৬৬ ]]) কৃষ্ণ কেবল তার বিশুদ্ধ ভক্তের দ্বারা বোধগম্য, অন্য কারো দ্বারা নয়।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 13:55, 2 June 2021



Lecture on SB 6.1.15 -- Denver, June 28, 1975

কেচিৎ মানে "কেউ" 'অত্যন্ত দুর্লভ'। 'কেউ' মানে 'অত্যন্ত দুর্লভ' 'বাসুদেব পরায়ণ' হওয়া এতো সহজ নয়। গতকাল আমি ব্যাখ্যা করেছি যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, যততামপি সিদ্ধানাম্ কশ্চিদ্ বেত্তি মাম্ তত্ত্বতঃ, মনুষ্যানাম্ সহস্রেষু কসচিদ্ যততি সিদ্ধয়ে (গীতা ৭.৩) সিদ্ধি মানে জীবনের সার্থকতা। সাধারণত লোকেরা একে অষ্টসিদ্ধি বা যোগ অভ্যাস বলে মনে করে, অণিমা, লঘিমা, মহিমা, প্রাপ্তি, সিদ্ধি, ঈশিত্ব, বশীত্ব, প্রাকাম্য, এইসব হচ্ছে সিদ্ধি, যোগ-সিদ্ধি। যোগ যিদ্ধি মানে তুমি সবচেয়ে ক্ষুদ্র থেকেও ক্ষুদ্রতম হতে পারবে। আমাদের প্রকৃত আয়তন আসলে অত্যন্ত ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্র। যোগসিদ্ধির মাধ্যমে, এই জড় দেহ থাকা সত্ত্বেও, একজন যোগী ক্ষুদ্রতম আকৃতি ধারণ করতে পারেন আর তুমি তাঁকে যেখানেই বদ্ধ করে রাখো না কেন, তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। তাঁকে বলা হয় অণিমাসিদ্ধি। সেইরকম ভাবে মহিমা-সিদ্ধি, লঘিমা-সিদ্ধি রয়েছে। তিনি তুলোর থেকেও হালকা হতে পারেন। যোগী এতোটাই হালকা হয়ে যেতে পারেন। ভারতবর্ষে এখনও যোগীরা রয়েছেন। আমাদের ছোটবেলায় আমরা কয়েকজন যোগীকে দেখেছি, তাঁরা আমার পিতার কাছে আসতেন। তিনি বলতেন যে তিনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে যে কোনও স্থানে যেতে পারতেন। আর কখনও কখনও তাঁরা খুব সকালে জগন্নাথ পুরী, রামেশ্বরম বা হরিদ্বার যেতেন এবং গঙ্গা ও অন্যান্য বিভিন্ন নদীর জলে তাঁরা স্নান করতেন। একে বলা হয় লঘিমা সিদ্ধি। তুমি অনেক হালকা হয়ে যাবে। তিনি বলতেন, "আমরা আমদের গুরুদেবের সঙ্গে বসে রয়েছি এবং কেবল স্পর্শ করছি। এভাবে আমরা এখানে বসে রয়েছি এবং কয়েক সেকেন্ড পরেই আমরা অন্য এক স্থানে গিয়ে বসছি।" একে বলা হয় লঘিমা সিদ্ধি।

এইভাবে অনেক ধরণের যোগসিদ্ধি রয়েছে। লোকেরা এই ধরণের যোগসিদ্ধিগুলো দেখে বিমোহিত হয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, যততামপি সিদ্ধানাং (গীতা ৭.৩) "এই ধরণের বহু সিদ্ধদের মধ্যে, যাঁদের যোগসিদ্ধি রয়েছে," যততামপি সিদ্ধানাম্ কশ্চিদ্ বেত্তি মাম্ তত্ত্বতঃ "কেউ হয়তো আমাকে জানতে পারে।" (গীতা ৭.৩) সুতরাং কেউ হয়তো কিছু যোগসিদ্ধি পেল; কিন্তু তবুও শ্রীকৃষ্ণকে জানা সম্ভব নয়। সেইটি সম্ভব নয়। কেবল মাত্র তাঁরাই শ্রীকৃষ্ণকে জানতে পারবেন যারা সবকিছু শ্রীকৃষ্ণকেই উৎসর্গ করেছেন। তাই শ্রীকৃষ্ণ চান, তিনি দাবী করছেন, সর্বধর্মান্ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ (গীতা ১৮.৬৬) শ্রীকৃষ্ণ কেবল মাত্র তাঁর শুদ্ধভক্তদের দ্বারাই পূর্ণরূপে উপলব্ধ হন, আর কারোর দ্বারা নয়।