BN/Prabhupada 0066 - কৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে আমাদের একমত হওয়া উচিত: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0066 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0065 -कृष्ण भावनाभावित बनने से हर कोई सुखी हो जाएगा|0065|HI/Prabhupada 0067 - गोस्वामी केवल दो घंटे सोते थे|0067}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0065 - কৃষ্ণ ভাবনায় ভাবিত হলে সবাই সুখী হবেন|0065|BN/Prabhupada 0067 - গোস্বামীরা শুধুমাত্র দুই ঘন্টা নিদ্রা যেতেন|0067}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|jVuD5hEurxo|আমদের কৃষ্ণের ইচ্ছের সাথে একমত হওয়া উচিত<br />-Prabhupāda 0066}}
{{youtube_right|jVuD5hEurxo|আমদের কৃষ্ণের ইচ্ছের সাথে একমত হওয়া উচিত<br />- Prabhupāda 0066}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
এবার ইটা আমাদের ইচ্ছে আমরা ভক্ত হতে চাই কি না অথবা আমরা একটি দৈত্য থাকতে চাই। এটা আমাদের পছন্দ। কৃষ্ণ বলেছেন যে "তুমি এই দৈত্য প্রবৃত্তি ত্যাগ করো এবং আমার কাছে আত্মসমর্পণ করো।" এটা কৃষ্ণের ইচ্ছে। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে একমত না হন, যদি আপনি নিজের ইচ্ছা উপভোগ করতে চান, তারপরও, কৃষ্ণ সন্তুষ্ট, তিনি আপনাকে প্রয়োজনীয় সরবরাহ করবেন। কিন্তু এটা খুব ভাল নয়। আমাদের কৃষ্ণের  ইচ্ছাগুলি মেনে চলতে হবে।
এখন এটি আমাদের পছন্দ যে আমরা ভক্ত হতে চাই না কি অসুর হয়েই থাকতে চাই। সেটি আমার পছন্দ। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "এইসব আসুরিক কার্যাবলী ত্যাগ করে আমার কাছে শরণাগত হও।" সেটিই শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা। কিন্তু যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে সহমত না হও, যদি তুমি নিজের ইচ্ছাকেই উপভোগ করতে চাও, তা হলেও শ্রীকৃষ্ণ তাতে খুশি, তিনি তোমাকে প্রয়োজনমত দেবেন। কিন্তু সেটি ভাল কাজ নয়। আমাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হওয়া। আমাদের নিজেদের বাসনাগুলোকে, আসুরিক বাসনাগুলোকে বাড়তে না দেওয়াই উচিত। একে বলা হয় তপস্যা। আমাদের বাসনাগুলোকে ত্যাগ করা উচিত। সেটি হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগ। আমাদের কেবল শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকে গ্রহণ করা উচিত। সেটিই শ্রীমদ্ ভগবদগীতার নির্দেশ। অর্জুনের যুদ্ধ করার কোন বাসনা ছিল না, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের ইছা ছিল যুদ্ধ হোক, ঠিক উল্টো। অর্জুন শেষ পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকেই মেনে নিয়েছেন, "হ্যাঁ," করিষ্যে বচনং তব ([[Vanisource:BG 18.73 (1972)|ভগবদগীতা ১৮/৭৩]])"হ্যাঁ, আমি আপনার ইচ্ছানুযায়ীই যুদ্ধ করব।" সেটি হচ্ছে ভক্তি। সেটিই হচ্ছে ভক্তি এবং কর্মের মধ্যে পার্থক্য। কর্ম মানে আমার নিজের বাসনাগুলোর পরিতৃপ্তি করা, আর ভক্তি মানে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার পূর্তিসাধন। সেটিই হচ্ছে পার্থক্য। এখন তুমি তোমার পছন্দ নির্বাচন কর। তুমি কি তোমার ইচ্ছার পূর্তি চাও না কি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার পূর্তি সাধন করতে চাও। যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা পূরণের সিদ্ধান্ত নাও তাহলে তোমার জীবন সার্থক। সেটি হচ্ছে কৃষ্ণভাবনাময় জীবন। "শ্রীকৃষ্ণ এটি চান, আমি অবশ্যই এটি করব। আমি আমার জন্য কিছুই করব না।" সেটিই হচ্ছে বৃন্দাবন। শ্রীবৃন্দাবনের সমস্ত অধিবাসীরা কেবল শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাপূর্তির চেষ্টা করেন। গোপবালকেরা, গোবৎসেরা, গাভীরা, বৃক্ষসমূহ, পুষ্পরাজি, জল, গোপীগণ, বয়স্ক অধিবাসীরা, মা যশোদা, নন্দবাবা, তারা সকলেই শ্রীকৃষ্ণের বাসনা পূর্তির জন্য নিযুক্ত। সেটিই হচ্ছে বৃন্দাবন। সুতরাং এইভাবে তুমি এই জড় জগৎকেও বৃন্দাবনে পরিণত করতে পার। এই শর্তে যে তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা পূর্তির জন্য রাজি। সেটিই বৃন্দাবন। আর যদি তুমি তোমার নিজের বাসনাপূর্তির চেষ্টা কর তবে সেটি জড়। এটিই হচ্ছে জড় এবং চিন্ময়ের পার্থক্য।
 
আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষা, শয়তান ইচ্ছা, বৃদ্ধি পেতে দেওয়া উচিত নয়। এটিকে বলা হয় তপস্যা. আমাদের ইচ্ছা আমাদের উত্সর্গ করা উচিত । এটাকে বলিদান বলা হয়। আমাদের শুধুমাত্র কৃষ্ণের ইচ্ছা গ্রহণ করা উচিত এটাই হলো ভগবত-গীতার নির্দেশ। অর্জুনের ইচ্ছা ছিল না যুদ্ধ করতে, কিন্তু কৃষ্ণের  ইচ্ছে ছিল লড়াইয়ের, ঠিক উল্টো। অর্জুন শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণের ইচ্ছাতে সম্মত হন: "হ্যাঁ," কারিশ্যে বাক্যানাম তাবা ([[Vanisource:BG 18.73|ভা গি ১৮.৭৩]]): "হাঁ, আমি আপনার ইচ্ছে মতো পালন করবো.'' এটা ভক্তি।  
 
এই পার্থক্য ভক্তি এবং কর্মের। কর্ম অর্থাৎ ইচ্ছে পূরণ করা, এবং ভক্তি অর্থাৎ কৃষ্ণের বাসনা পূর্ণ করা। এটা পার্থক্য । এখন আপনি আপনার পছন্দ করেন, আপনি আপনার ইচ্ছাগুলি পূর্ণ করতে চান কিনা অথবা আপনি কৃষ্ণের ইচ্ছে পূরণ করতে চান। আপনি যদি কৃষ্ণের ইচ্ছে পূরণ করতে সিদ্ধান্ত নেন,তাহলে আপনার জীবন সফল। এটাই আমাদের কৃষ্ণ চেতনা জীবন। ''কৃষ্ণ এটা চায়, আমায় এটা করতেই হবে। আমি আমার জন্য কিছুই করবো না।" এটা বৃন্দাবন।  
 
বৃন্দাবনের সমস্ত বাসিন্দা, তারা কৃষ্ণের ইচ্ছা পূরণের চেষ্টা করছেন। গাভী ছেলেরা, বাছুর, গরু, গাছ, ফুল, পানি, গপী, বৃদ্ধ বাসিন্দা, মাতা যশোদা, নন্দ, তারা সবাই কৃষ্ণের ইচ্ছে পূরণ করতে জড়িত হয়েছে। এটা বৃন্দাবন। তাই আপনি এই উপাদান জগৎকে, বৃন্দাবন এ পরিনিত করতে পারেন। আপনি কৃষ্ণের ইচ্ছা পূরণ করতে সম্মত হন। এটা বৃন্দাবন। এবং যদি আপনি নিজের ইচ্ছা পূরণ করতে চান, তাহলে তা উপাদান। এটি হলো উপাদান এবং আধ্যাত্মিকের মধ্যে পার্থক্য।  
 
 
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 03:10, 3 June 2021



Lecture on BG 16.4 -- Hawaii, January 30, 1975

এখন এটি আমাদের পছন্দ যে আমরা ভক্ত হতে চাই না কি অসুর হয়েই থাকতে চাই। সেটি আমার পছন্দ। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, "এইসব আসুরিক কার্যাবলী ত্যাগ করে আমার কাছে শরণাগত হও।" সেটিই শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা। কিন্তু যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে সহমত না হও, যদি তুমি নিজের ইচ্ছাকেই উপভোগ করতে চাও, তা হলেও শ্রীকৃষ্ণ তাতে খুশি, তিনি তোমাকে প্রয়োজনমত দেবেন। কিন্তু সেটি ভাল কাজ নয়। আমাদের উচিত শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্ম হওয়া। আমাদের নিজেদের বাসনাগুলোকে, আসুরিক বাসনাগুলোকে বাড়তে না দেওয়াই উচিত। একে বলা হয় তপস্যা। আমাদের বাসনাগুলোকে ত্যাগ করা উচিত। সেটি হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগ। আমাদের কেবল শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকে গ্রহণ করা উচিত। সেটিই শ্রীমদ্ ভগবদগীতার নির্দেশ। অর্জুনের যুদ্ধ করার কোন বাসনা ছিল না, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের ইছা ছিল যুদ্ধ হোক, ঠিক উল্টো। অর্জুন শেষ পর্যন্ত শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাকেই মেনে নিয়েছেন, "হ্যাঁ," করিষ্যে বচনং তব (ভগবদগীতা ১৮/৭৩)। "হ্যাঁ, আমি আপনার ইচ্ছানুযায়ীই যুদ্ধ করব।" সেটি হচ্ছে ভক্তি। সেটিই হচ্ছে ভক্তি এবং কর্মের মধ্যে পার্থক্য। কর্ম মানে আমার নিজের বাসনাগুলোর পরিতৃপ্তি করা, আর ভক্তি মানে শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার পূর্তিসাধন। সেটিই হচ্ছে পার্থক্য। এখন তুমি তোমার পছন্দ নির্বাচন কর। তুমি কি তোমার ইচ্ছার পূর্তি চাও না কি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছার পূর্তি সাধন করতে চাও। যদি তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা পূরণের সিদ্ধান্ত নাও তাহলে তোমার জীবন সার্থক। সেটি হচ্ছে কৃষ্ণভাবনাময় জীবন। "শ্রীকৃষ্ণ এটি চান, আমি অবশ্যই এটি করব। আমি আমার জন্য কিছুই করব না।" সেটিই হচ্ছে বৃন্দাবন। শ্রীবৃন্দাবনের সমস্ত অধিবাসীরা কেবল শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছাপূর্তির চেষ্টা করেন। গোপবালকেরা, গোবৎসেরা, গাভীরা, বৃক্ষসমূহ, পুষ্পরাজি, জল, গোপীগণ, বয়স্ক অধিবাসীরা, মা যশোদা, নন্দবাবা, তারা সকলেই শ্রীকৃষ্ণের বাসনা পূর্তির জন্য নিযুক্ত। সেটিই হচ্ছে বৃন্দাবন। সুতরাং এইভাবে তুমি এই জড় জগৎকেও বৃন্দাবনে পরিণত করতে পার। এই শর্তে যে তুমি শ্রীকৃষ্ণের ইচ্ছা পূর্তির জন্য রাজি। সেটিই বৃন্দাবন। আর যদি তুমি তোমার নিজের বাসনাপূর্তির চেষ্টা কর তবে সেটি জড়। এটিই হচ্ছে জড় এবং চিন্ময়ের পার্থক্য।