BN/Prabhupada 0073 - বৈকুন্ঠ অর্থাৎ উৎকন্ঠাহীন: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0073 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1967 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0073 - বৈকুন্ঠ অর্থাৎ উদ্বেগ ছাড়া|0073|BN/Prabhupada 0074 - मानव जीवन तपस्या के लिए है|0074}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0072 - ভৃত্যের উদ্দেশ্য আত্মসমর্পণ করা|0072|BN/Prabhupada 0074 - কেন আপনারা প্রানীদের খাচ্ছেন|0074}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|5K2-ErGZbj4|বৈকুন্ঠ অর্থাৎ উদ্বেগ ছাড়া <br /> - Prabhupāda 0073}}
{{youtube_right|5K2-ErGZbj4|বৈকুন্ঠ অর্থাৎ উৎকন্ঠাহীন<br /> - Prabhupāda 0073}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->     
এমন নয় যে আপনাকে এই সঙ্গ করতে হবে। আপনি এই শিল্প শিখতে পারেন, এবং আপনি আপনার বাড়িতে এটি রাখতে পারেন। আপনি এই ধরনের প্রস্তুতি প্রস্তুত করতে পারেন, ভাল প্রস্তুতি,আপনার বাড়িতে, কৃষ্ণকে প্রদান করুন। এটা খুব কঠিন নয়। আমরা প্রতিদিন প্রস্তুত করি এবং কৃষ্ণকে প্রদান করি এবং মহা মন্ত্র জপ করি, নাম ব্রাহ্মণ্য- দেবায় গো-ব্রাহ্মণ-হিতায় চা জগৎধীতায় কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমঃ নমঃ এখানেই শেষ. এটা খুব কঠিন নয়। প্রত্যেকেরই খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করতে পারে এবং কৃষ্ণকে দিতে পারে এবং তারপর এটি নিতে পারেন, এবং তারপর পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে আপনি বসতে পারেন এবং জপ করুন কৃষ্ণের ছবির সামনে, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে এবং একটি বিশুদ্ধ জীবনযাপন করুন। শুধু ফলাফল দেখুন। যদি প্রত্যেক বাড়িতে, প্রত্যেক ব্যক্তি, কৃষ্ণকে বোঝার এই নীতির দিকে চলে, তাহলে তা হবে ... পুরো বিশ্বই বৈকুন্ঠ হয়ে যাবে। বৈকুন্ঠ মানে যেখানে কোন উদ্বেগ নেই। বৈকুন্ঠ। বৈ অর্থাৎ ছাড়া, আর কুন্ঠ অর্থাৎ উদ্বেগ। এই পৃথিবী উদ্বেগ পূর্ণ। সদা সমুদবিগ্ন -ধৈয়ম অসদ-গ্রহাৎ ([[Vanisource:BG 14.16]])। কারণ আমরা বস্তুগত জীবনের অস্থায়ী অস্তিত্ব স্বীকার করেছি, অতএব আমরা সবসময় উদ্বেগে ভারাক্রান্ত। শুধু বিপরীত জিনিস আধ্যাত্মিক জগতে আছে, যেখানে গ্রহগুলিকে বলা হয় বৈকুন্ঠ। বৈকুন্ঠ অর্থাৎ উদ্বিগ্নতা ছাড়া। আমরা উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চাই। প্রত্যেকেই উদ্বিগ্নতা থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু এটা জানেনা কিভাবে এই উদ্বেগ থেকে বেরিয়ে আসা যায়। এই নেশার আশ্রয় গ্রহণ করলে একজন উদ্বেগ থেকে নিজেকে মুক্ত থাকতে পারে না। এটি একটি ড্রাগ। এটা বিস্মৃতি । কখনও কখনও, কখনও কখনও আমরা সবকিছু ভুলে যাই, কিন্তু আবার যখন আপনি আপনার চেতনায় ফিরে আসেন, একই উদ্বেগ এবং একই জিনিস সেখানে আছে তাই এটী আপনাকে সাহায্য করবে না। যদি আপনি উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চান এবং যদি আপনি আসলে চান সুখ এবং জ্ঞানের সঙ্গে শাশ্বত জীবন, তারপর এই প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া। তোমাকে কৃষ্ণকে বুঝতে হবে। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, না মে বিদুঃ সূরগনাঃ ([[Vanisource:BG 10.2]])। কেউ বুঝতে পারে না। কিন্তু একটা রাস্তা আছে । সেবনমুখে হি জিহ্বাদৈ স্বয়ং এব স্পুরৎ তদঃ ([[Vanisource:Brs 1.2.234]]) । এটি একটি প্রক্রিয়া। শ্রীমদ্ভাগবতমে বিভিন্ন ভাবে, বিভিন্ন স্থানে এই প্রক্রিয়াটি বর্ণিত হয়েছে। ঠিক যেমন এক জায়গায় বলা হয়েছে জ্ঞানে প্রয়াস মুদপাস্য নমন্ত এব জীবন্তি সণ্মূখরিতাং ভবদীয়বার্তাম স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতাং তনুবাঙ্মনোভি র্যে প্রয়াশোহজিত জিতোহপ্যসি ত্রৈস্ত্রিলোক্যম ([[Vanisource:SB 10.14.3]]) এটি খুব চমৎকার শ্লোক। বলা হয় অজিত, কেউ জানে না। ভগবানের অন্য নাম অজিত। অজিত মানে কেউ তাকে পরাজয় করতে পারে না। কেও তার কাছে অভিগমন করতে পারে না। অতএব তার নাম অজিত। তাই অজিত জয় লাভ করে। অজিত জিতহপ্যসি। যদিও ভগবান অজ্ঞেয় , ভগবান অপরাজেয়, তবুও। সে জয়ী। কিভাবে ? স্থানে স্থিতাঃ।
এটি এমন নয় যে এই সঙ্গে এসে তোমাকে এটি করতে হবে। তুমি এই কলাকৌশল শিখে নিয়ে বাড়িতেও তা অনুশীলন করতে পার। তুমি তোমার বাড়িতেও এই ধরণের সুন্দর সুন্দর পদ তৈরি করতে পার, শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করতে পার। এটি খুব কঠিন কিছু নয়। আমরা প্রতিদিন তা তৈরি করে শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করি আর মন্ত্র জপ করি,  


:নমো ব্রহ্মণ্যদেবায়


:গোব্রাহ্মণ্যহিতায় চ
:জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায়
:গোবিন্দায় নমো নমঃ
এই যা। এটি খুব কঠিন নয়। প্রত্যেকেই খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে পারে আর শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করে সেটা গ্রহণ করতে পারে, এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্য অথবা বন্ধুদের নিয়ে বসে শ্রীকৃষ্ণের চিত্রপটের সামনে জপ কীর্তন করতে পারে,
:হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
:হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে
আর একটি পবিত্র জীবন অতিবাহিত করতে পারে। শুধু এর ফলাফলটা কি হয় দেখ। যদি প্রত্যেক বাড়িতে, প্রত্যেক ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণকে জানার জন্য এই নীতিগুলো অনুশীলন করে, এটি হয়ে উঠবে... সমগ্র পৃথিবী বৈকুণ্ঠে পরিণত হবে। বৈকুণ্ঠ মানে যেখানে কোন কুণ্ঠা বা উদ্বিগ্নতা নেই। বৈকুণ্ঠ। বৈ মানে নেই, আর কুণ্ঠ মানে উদ্বিগ্নতা। এই পৃথিবী উদ্বিগ্নতায় পূর্ণ। সদা সমুদ্বিগ্ন ধিয়াম অসদগ্রহাত ([[Vanisource:SB 7.5.5|শ্রীমদ্ভাগবত ৭.৫.৫]])। কারণ আমরা এই অস্থায়ী জড় অস্তিত্বের জীবন গ্রহণ করেছি, তাই আমাদেরকে সবসময় উদ্বিগ্নতায় ভারাক্রান্ত হয়ে থাকতে হয়। চিন্ময় জগত, যেখানকার গ্রহলোক গুলোকে বলা হয় বৈকুণ্ঠ, ঠিক তার বিপরীত অবস্থা হচ্ছে এখানে। বৈকুণ্ঠ মানে উদ্বিগ্নতা বিহীন।
আমরা উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চাই। প্রত্যেকেই নিজেকে উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সে জানে না কিভাবে এই উদ্বিগ্নতা দূর করা যায়। উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য নেশার আশ্রয় গ্রহণ করার ব্যাপারটি কোন কাজেই আসে না। এটি একটি মাদকদ্রব্য। এটি হচ্ছে বিস্মরণ বা ভুলে যাওয়া। মাঝে মাঝে আমরা কিছু সময়ের জন্য সবকিছু ভুলে যাই, কিন্তু পুনরায় যখন আমরা চেতনায় ফিরে আসি, সেই একই উদ্বিগ্নতা আর সেই একই জিনিস থেকে যায়। তাই এটি তোমাকে সাহায্য করবে না।
যদি তুমি উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চাও, তুমি যদি প্রকৃতপক্ষেই নিত্য আনন্দময় আর জ্ঞানময় জীবন চাও, তাহলে এটিই হচ্ছে উপায়। এটিই হচ্ছে পন্থা। তোমাকে শ্রীকৃষ্ণকে জানতে হবে। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ন মে বিদুঃ সুরগণাঃ ([[Vanisource:BG 10.2 (1972)|ভগবদ্গীতা ১০.২]])। কিন্তু একটি উপায় রয়েছে। সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ(ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.২৩৪)। এটি হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। শ্রীমদ্ভাগবতমের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রক্রিয়াটির কথা বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন ধর এক জায়গায় এটি বলা হয়েছে যে
:জ্ঞানে প্রয়াসমুদপাস্য নমন্ত এব
:জীবন্তি সন্মুখরিতাং ভবদীয়বার্তাম্‌
:স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতাং তনুব্যাঙ্‌মনোভির্যে
:প্রায়শোহজিত জিতোহপ্যসি তৈস্ত্রিলোক্যাম
:([[Vanisource:SB 10.14.3|শ্রীমদ্ভাগবত ১০.১৪.৩]])।
এটি খুব সুন্দর একটি শ্লোক। এটি বলা হয়েছে যে অজিত, কেউ তাঁকে জানতে পারে না। ভগবানের আরেকটি নাম হচ্ছে অজিত। অজিত মানে কেউ তাঁকে জয় করতে পারে না। কেউ তাঁর সামনে যেতে পারে না। তাই তাঁর নাম হচ্ছে অজিত। তো অজিত জিৎ হচ্ছেন। অজিত জিতোহপ্যসি। যদিও ভগবান হচ্ছেন অজ্ঞেয়, অজেয়, তবু তিনি জিত হচ্ছেন। কিভাবে? স্থানে স্থিতাঃ।
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 08:13, 2 December 2021



Lecture on BG 10.2-3 -- New York, January 1, 1967

এটি এমন নয় যে এই সঙ্গে এসে তোমাকে এটি করতে হবে। তুমি এই কলাকৌশল শিখে নিয়ে বাড়িতেও তা অনুশীলন করতে পার। তুমি তোমার বাড়িতেও এই ধরণের সুন্দর সুন্দর পদ তৈরি করতে পার, শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করতে পার। এটি খুব কঠিন কিছু নয়। আমরা প্রতিদিন তা তৈরি করে শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করি আর মন্ত্র জপ করি,

নমো ব্রহ্মণ্যদেবায়
গোব্রাহ্মণ্যহিতায় চ
জগদ্ধিতায় কৃষ্ণায়
গোবিন্দায় নমো নমঃ

এই যা। এটি খুব কঠিন নয়। প্রত্যেকেই খাদ্যসামগ্রী তৈরি করতে পারে আর শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করে সেটা গ্রহণ করতে পারে, এরপর পরিবারের অন্যান্য সদস্য অথবা বন্ধুদের নিয়ে বসে শ্রীকৃষ্ণের চিত্রপটের সামনে জপ কীর্তন করতে পারে,

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে

আর একটি পবিত্র জীবন অতিবাহিত করতে পারে। শুধু এর ফলাফলটা কি হয় দেখ। যদি প্রত্যেক বাড়িতে, প্রত্যেক ব্যক্তি শ্রীকৃষ্ণকে জানার জন্য এই নীতিগুলো অনুশীলন করে, এটি হয়ে উঠবে... সমগ্র পৃথিবী বৈকুণ্ঠে পরিণত হবে। বৈকুণ্ঠ মানে যেখানে কোন কুণ্ঠা বা উদ্বিগ্নতা নেই। বৈকুণ্ঠ। বৈ মানে নেই, আর কুণ্ঠ মানে উদ্বিগ্নতা। এই পৃথিবী উদ্বিগ্নতায় পূর্ণ। সদা সমুদ্বিগ্ন ধিয়াম অসদগ্রহাত (শ্রীমদ্ভাগবত ৭.৫.৫)। কারণ আমরা এই অস্থায়ী জড় অস্তিত্বের জীবন গ্রহণ করেছি, তাই আমাদেরকে সবসময় উদ্বিগ্নতায় ভারাক্রান্ত হয়ে থাকতে হয়। চিন্ময় জগত, যেখানকার গ্রহলোক গুলোকে বলা হয় বৈকুণ্ঠ, ঠিক তার বিপরীত অবস্থা হচ্ছে এখানে। বৈকুণ্ঠ মানে উদ্বিগ্নতা বিহীন।

আমরা উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চাই। প্রত্যেকেই নিজেকে উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু সে জানে না কিভাবে এই উদ্বিগ্নতা দূর করা যায়। উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য নেশার আশ্রয় গ্রহণ করার ব্যাপারটি কোন কাজেই আসে না। এটি একটি মাদকদ্রব্য। এটি হচ্ছে বিস্মরণ বা ভুলে যাওয়া। মাঝে মাঝে আমরা কিছু সময়ের জন্য সবকিছু ভুলে যাই, কিন্তু পুনরায় যখন আমরা চেতনায় ফিরে আসি, সেই একই উদ্বিগ্নতা আর সেই একই জিনিস থেকে যায়। তাই এটি তোমাকে সাহায্য করবে না।

যদি তুমি উদ্বিগ্নতা থেকে মুক্ত হতে চাও, তুমি যদি প্রকৃতপক্ষেই নিত্য আনন্দময় আর জ্ঞানময় জীবন চাও, তাহলে এটিই হচ্ছে উপায়। এটিই হচ্ছে পন্থা। তোমাকে শ্রীকৃষ্ণকে জানতে হবে। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ন মে বিদুঃ সুরগণাঃ (ভগবদ্গীতা ১০.২)। কিন্তু একটি উপায় রয়েছে। সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ(ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.২৩৪)। এটি হচ্ছে একটি প্রক্রিয়া। শ্রীমদ্ভাগবতমের বিভিন্ন জায়গায় এই প্রক্রিয়াটির কথা বিভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন ধর এক জায়গায় এটি বলা হয়েছে যে

জ্ঞানে প্রয়াসমুদপাস্য নমন্ত এব
জীবন্তি সন্মুখরিতাং ভবদীয়বার্তাম্‌
স্থানে স্থিতাঃ শ্রুতিগতাং তনুব্যাঙ্‌মনোভির্যে
প্রায়শোহজিত জিতোহপ্যসি তৈস্ত্রিলোক্যাম
(শ্রীমদ্ভাগবত ১০.১৪.৩)।

এটি খুব সুন্দর একটি শ্লোক। এটি বলা হয়েছে যে অজিত, কেউ তাঁকে জানতে পারে না। ভগবানের আরেকটি নাম হচ্ছে অজিত। অজিত মানে কেউ তাঁকে জয় করতে পারে না। কেউ তাঁর সামনে যেতে পারে না। তাই তাঁর নাম হচ্ছে অজিত। তো অজিত জিৎ হচ্ছেন। অজিত জিতোহপ্যসি। যদিও ভগবান হচ্ছেন অজ্ঞেয়, অজেয়, তবু তিনি জিত হচ্ছেন। কিভাবে? স্থানে স্থিতাঃ।