BN/Prabhupada 0085 - জ্ঞান সংস্কৃতির অর্থ আধ্যাত্মিক জ্ঞান: Difference between revisions
(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0085 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1970 Category:BN-Quotes - L...") |
No edit summary |
||
Line 7: | Line 7: | ||
[[Category:BN-Quotes - in USA]] | [[Category:BN-Quotes - in USA]] | ||
<!-- END CATEGORY LIST --> | <!-- END CATEGORY LIST --> | ||
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- | <!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE --> | ||
{{1080 videos navigation - All Languages| | {{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0084 - শুধু একজন কৃষ্ণ ভক্ত হও|0084|BN/Prabhupada 0086 - কেন বৈষম্য|0086}} | ||
<!-- END NAVIGATION BAR --> | <!-- END NAVIGATION BAR --> | ||
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | <!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK--> | ||
Line 30: | Line 30: | ||
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | <!-- BEGIN TRANSLATED TEXT --> | ||
"জ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন যে | "জ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন যে, জ্ঞানের সংস্কৃতি থেকে একটি ফল আসে আর অজ্ঞানের সংস্কৃতি থেকে অন্য কিছু ফল আসে"। | ||
গতকাল আমরা কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি যে অজ্ঞানের সংস্কৃতি কি এবং জ্ঞানের সংস্কৃতি কি। জ্ঞান সংস্কৃতি মানে পারমার্থিক জ্ঞান। সেটাই প্রকৃত জ্ঞান। এবং আরাম আয়েশের জন্য জ্ঞানের উন্নতি অথবা এই জড় দেহকে রক্ষা করার জন্য যা, তা হচ্ছে অজ্ঞানতার সংস্কৃতি কারণ এই দেহকে রক্ষা করতে তুমি যতই চেষ্টা কর না কেন এটি এর স্বাভাবিক গতিতেই চলবে সেটি কি? জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি ([[Vanisource:BG 13.8-12 (1972)|গীতা ১৩/৯]]) এই দেহকে বারবার জন্ম মৃত্যু থেকে তুমি বাঁচাতে পারবে না এবং জীবিত থাকা অবস্থায় বার্ধক্য ও রোগ থেকে বাঁচাতে পারবে না লোকজন এই দেহের জ্ঞানের সংস্কৃতি চর্চার জন্য খুব ব্যস্ত যদিও ওরা প্রতি মুহূর্তে দেখছে যে এই দেহ ক্ষয় হচ্ছে এই দেহের মৃত্যু সেইদিন লেখা হয়ে গেছে যেদিন এই দেহের জন্ম হয়েছে সেটাই বাস্তব সত্য। তাই তুমি এই দেহের স্বাভাবিক গতিকে রুখতে পারবে না। তোমাকে এই দেহের স্বাভাবিক পন্থা মতোই চলতে হবে অর্থাৎ জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধি | |||
তাই ভাগবত বলেন, যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে ([[Vanisource:SB 10.84.13|ভাগবত ১০/৮৪/১৩]]) এই দেহ তিনটি মূল উপাদানে গঠিত কফ, পিত্ত, বায়ু এটাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের বৈদিক মত এই দেহটি কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে বৃদ্ধাবস্থায় এতে বায়ু প্রবাহ বাধা পায় তাই বৃদ্ধদের বাত হয়, অনেক ধরণের দেহের রোগ জন্মায় তাই ভাগবতে বলা হচ্ছে, "যে এই কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে আত্ম বলে মনে করে সে একটা গাধা"। আসলে এটাই বাস্তব সত্য যদি আমরা এই কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলেকে আমাদের নিজ স্বরূপ মনে করি... একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি, একজন দার্শনিক, বড় বৈজ্ঞানিক তার মানে কি সে একটা কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে মাত্র? না, সেটি ভুল। সে এই কফ, পিত্ত ও বায়ু থলে থেকে আলাদা। সে আত্মা। এবং তাঁর কর্ম অনুযায়ী, সে তার মেধা প্রকাশ করছে তাই তাঁরা এই কর্মের নীতি বোঝে না। আমরা কেন এতো বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিত্ব দেখতে পাই? | |||
<!-- END TRANSLATED TEXT --> | <!-- END TRANSLATED TEXT --> |
Latest revision as of 10:47, 2 December 2021
Lecture on Sri Isopanisad, Mantra 9-10 -- Los Angeles, May 14, 1970
"জ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন যে, জ্ঞানের সংস্কৃতি থেকে একটি ফল আসে আর অজ্ঞানের সংস্কৃতি থেকে অন্য কিছু ফল আসে"।
গতকাল আমরা কিছুটা ব্যাখ্যা করেছি যে অজ্ঞানের সংস্কৃতি কি এবং জ্ঞানের সংস্কৃতি কি। জ্ঞান সংস্কৃতি মানে পারমার্থিক জ্ঞান। সেটাই প্রকৃত জ্ঞান। এবং আরাম আয়েশের জন্য জ্ঞানের উন্নতি অথবা এই জড় দেহকে রক্ষা করার জন্য যা, তা হচ্ছে অজ্ঞানতার সংস্কৃতি কারণ এই দেহকে রক্ষা করতে তুমি যতই চেষ্টা কর না কেন এটি এর স্বাভাবিক গতিতেই চলবে সেটি কি? জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি (গীতা ১৩/৯) এই দেহকে বারবার জন্ম মৃত্যু থেকে তুমি বাঁচাতে পারবে না এবং জীবিত থাকা অবস্থায় বার্ধক্য ও রোগ থেকে বাঁচাতে পারবে না লোকজন এই দেহের জ্ঞানের সংস্কৃতি চর্চার জন্য খুব ব্যস্ত যদিও ওরা প্রতি মুহূর্তে দেখছে যে এই দেহ ক্ষয় হচ্ছে এই দেহের মৃত্যু সেইদিন লেখা হয়ে গেছে যেদিন এই দেহের জন্ম হয়েছে সেটাই বাস্তব সত্য। তাই তুমি এই দেহের স্বাভাবিক গতিকে রুখতে পারবে না। তোমাকে এই দেহের স্বাভাবিক পন্থা মতোই চলতে হবে অর্থাৎ জন্ম, মৃত্যু, জরা ও ব্যাধি
তাই ভাগবত বলেন, যস্যাত্মবুদ্ধিঃ কুণপে ত্রিধাতুকে (ভাগবত ১০/৮৪/১৩) এই দেহ তিনটি মূল উপাদানে গঠিত কফ, পিত্ত, বায়ু এটাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের বৈদিক মত এই দেহটি কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে বৃদ্ধাবস্থায় এতে বায়ু প্রবাহ বাধা পায় তাই বৃদ্ধদের বাত হয়, অনেক ধরণের দেহের রোগ জন্মায় তাই ভাগবতে বলা হচ্ছে, "যে এই কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে আত্ম বলে মনে করে সে একটা গাধা"। আসলে এটাই বাস্তব সত্য যদি আমরা এই কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলেকে আমাদের নিজ স্বরূপ মনে করি... একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি, একজন দার্শনিক, বড় বৈজ্ঞানিক তার মানে কি সে একটা কফ, পিত্ত ও বায়ুর থলে মাত্র? না, সেটি ভুল। সে এই কফ, পিত্ত ও বায়ু থলে থেকে আলাদা। সে আত্মা। এবং তাঁর কর্ম অনুযায়ী, সে তার মেধা প্রকাশ করছে তাই তাঁরা এই কর্মের নীতি বোঝে না। আমরা কেন এতো বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিত্ব দেখতে পাই?