BN/Prabhupada 0093 - ভগবদগীতা হচ্ছে কৃষ্ণ স্বংয়

Revision as of 06:51, 14 January 2018 by Iswaraj (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0093 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on Brahma-samhita, Lecture -- Bombay, January 3, 1973

সুতরাং শ্রীমদ্ভাগবতম হচ্ছে মূল বেদান্ত-সূত্রের ব্যাখ্যা। সুতরাং বেদান্ত সুত্রের মধ্যে, বলা হয় বেদান্ত সুত্রের ভাষ্যই হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবতম। জন্মাদস্য যতো আন্বয়াত ইতোরতো চ অর্থেসু অভিজ্ঞ তেনে ব্রহ্মা হৃদা আদি কবয়ে মুহ্যন্তি যৎ সুরয়ো (শ্রী.ভা. ১.১.১) এই বর্ননা সেখানে আছে। তাই আদি কবি মানে ব্রহ্মা। ব্রহ্মা আদি কবি। তাই তেনে ব্রহ্মা। ব্রহ্মা মানে শব্দ ব্রহ্মন, বৈদিক শাস্ত্র। তাই তিনি ব্রহ্মের হৃদয়ে নির্দেশ দেন বা প্রদান করেন। কারণ যখন সৃষ্টি হয়েছিল, তখন প্রথম থেকেই ব্রহ্ম একমাত্র ব্যক্তি, জীব সত্তা ছিল। তাই প্রশ্ন হতে পারে "কিভাবে ব্রহ্মা বৈদিক জ্ঞান শিখলো?" এটা বর্ননা আছেঃ তেনে ব্রহ্মা... ব্রহ্মা। ব্রহ্মা মানে বৈদিক শাস্ত্র। শব্দ ব্রহ্মন। তথ্য, ভগবানের বিবরণও ব্রহ্মন। ব্রহ্ম পরম। ব্রাহ্মণ এবং সাহিত্যের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই যা ব্রহ্মকে বর্ণনা করছে। একই জিনিস: শুধু ভগবদ-গীতা এবং কৃষ্ণের মধ্যে, কোন পার্থক্য নেই। ভগবদ্গীতা হচ্ছে কৃষ্ণ। অন্যথায় কেন এই বইটি পূজা করা হয়, যেহেতু, তাই এতদিন ধরে, পাঁচ হাজার বছর ধরে, ভগবত-গীতা যদি কৃষ্ণ না হত? অনেক সাহিত্য আছে, বই, আজকাল প্রকাশিত হয়। এক বছর পর, দুই বছর, তিন বছর - সমাপ্ত, কেউ এটা আর কেয়ার রাখে না। কেউ কেয়ার রাখে না, কেউ এটা পড়ে না... পৃথিবীর ইতিহাসে যে কোন সাহিত্য আপনি গ্রহণ করেন, কোন সাহিত্য পাঁচ হাজার বছর ধরে বিদ্যমান থাকতে পারে না, বার বার অনেকের দ্বারা পড়া হচ্ছে, অনেক পণ্ডিত, ধর্মবিশ্বাসী এবং দার্শনিক, সব। কেন? কারণ এটি কৃষ্ণ । কৃষ্ণ... ভগবতগীতা এবং ভগবানের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। শব্দ ব্রহ্মন। সুতরাং ভগবতগীতাকে সাধারন সাহিত্য বলে গ্রহণ করা উচিত নয়। যে কেউ এটিকে তথাকথিত এ বি সি ডি জ্ঞান দ্বারা মন্তব্য করতে পারে না। এটা সম্ভব নয়। বোকা এবং চক্রান্তকারীরা, তারা তাদের এ বি সি ডি বৃত্তি দ্বারা ভগবত-গীতাতে মন্তব্য করার চেষ্টা করে। সেটা সম্ভব না. এটি শব্দ-ব্রহ্মণ। এটি সেই ব্যক্তির কাছে প্রকাশিত হয় যার কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি আছে । যস্য দেবে পরা ভক্তির যথা দেবে... এই বৈদিক নির্দেশাবলী। যস্য দেবে পরা ভক্তির যথা দেবে তথা গুরৌ তসৈতে কথিতা হৈ অর্থৈ প্রকাশান্তে মহাত্মন (শ.উ ৬.২৩) তারা প্রকাশ পায় অতএব বৈদিক সাহিত্য প্রকাশ করা হয়। এটা এমন না যে আমি আপনার এ বি সি ডি জ্ঞান দ্বারা বুঝতে পারবো ; আমি একটি ভগবৎ-গীতা ক্রয় করতে পারি, এবং কারণ আমার ব্যাকরণগত জ্ঞান আছে, আমি বুঝতে পারব। না। বেদেষু দুর্লভ। ব্রহ্ম সংহিতাতে এ কথা বলা হয় যে, বেদেষু দুর্ল্ভ। আপনি আপনার সাহিত্য বা বৃত্তির মাধ্যমে সব বৈদিক সাহিত্য অধ্যয়ন করতে যান - দুর্ল্ভ। এটা সম্ভব নয়। বেদেষু দুর্ল্ভ। অতএব অনেক লোক আছে, তারা তথাকথিত বৃত্তি দ্বারা ভগবত-গীতার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে, কিন্তু কেউ তাদের কেয়ার করে না। এমনকি তাদের একজন ব্যক্তি কেউ , কৃষ্ণের ভক্ত তৈরী করতে পারবেন না। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। আপনার, বম্বেতে অনেক লোক আছে, তারা অনেক বছর ধরে ভগবত-গীতা ব্যাখ্যা করছে। কিন্তু তারা একজন ব্যক্তিকেও কৃষ্ণের বিশুদ্ধ ভক্ত করতে পারেনি। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই ভগবত-গীতা, এখন এটি যথাযথ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, এবং হাজার হাজার ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকানদের , যাদের পিতামহ বা পরিবার কখনো কৃষ্ণের নাম জানে না, তারা ভক্ত হয়ে উঠছে। এই সাফল্য গোপন। কিন্তু এই বোকা মানুষগুলো, তারা জানেন না। তারা মনে করে যে, তাদের তথাকথিত কুসংস্কার জ্ঞান দ্বারা ভগবত-গীতাকে ব্যাখ্যা করে তারা ভগবত-গীতা প্রকাশ করতে পারেন। সেটা সম্ভব না । নাহং প্রকাশ যোগমায়া সমাবৃত। কৃষ্ণ এই বোকা এবং চক্রান্তকারীদের কাছে প্রকাশিত হন না। কৃষ্ণা কখনো প্রকাশিত হন না। নাহং প্রকাশ সর্বশ (ভ.গী.৭.২৫) তিনি এত অমূল্য জিনিস নন যে তিনি এই বোকা এবং চক্রান্ত দ্বারা বোঝা যাবে। এটা সম্ভব নয়. কৃষ্ণ বলেছেন, নাহং প্রকাশ সর্বশ যোগমায়া সমা ...(ভ.গী ৭.২৫) মনুষ্যাণং সহস্রেষু কশ্চিদ যতোতি সিদ্ধয়ে যততামপি সিদ্ধানাং কশ্চিন্মাং বেত্তি তত্ত্বতঃ (ভ.গী.৭.৩)