BN/Prabhupada 0193 - এই বই থেকে আমাদের সম্পূর্ণ সোসাইটি শুনছে: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0193 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - C...")
 
No edit summary
 
Line 6: Line 6:
[[Category:BN-Quotes - in Germany]]
[[Category:BN-Quotes - in Germany]]
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- TO CHANGE TO YOUR OWN LANGUAGE BELOW SEE THE PARAMETERS OR VIDEO -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|French|FR/Prabhupada 0192 - Aidez la société humaine toute entière à sortir des denses ténèbres|0192|FR/Prabhupada 0194 - Voici des hommes idéals|0194}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0192 - অন্ধকার থেকে সমগ্র মানব সমাজটি পান|0192|BN/Prabhupada 0194 - এখানে আদর্শ পুরুষ|0194}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
ডাঃ পি জে শহেরঃ আপনি আপনার কৌশল আরও পরিষ্কার করার জন্য দয়া করবেন ... একবার ভগবানের নাম জপ করুন এবং আপনি খুশি হবেন, পুনরায় ব্যাখ্যা করতে, কিছু নির্দিষ্ট ভাবে, বা কি আসে... (জার্মান) এ ছাড়াও কী করা উচিত, কীভাবে তা প্রণয়ন করা হয়, যে মোট, যে সম্পূর্ণ সিস্টেম আপনার সম্মানিত শিক্ষা ? প্রভুপাদঃ হ্যাঁ এই হচ্ছে ভক্তি মার্গ , মানে প্রথম জিনিস হচ্ছে শ্রবণ, শোনা। যেমন এই বইগুলো লেখা হয়েছে মানুষ কে শোনার জন্য একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এইটা প্রথম কাজ। যদি আমরা ভগবান সম্পর্কে না শুনতে পারি তবে আমরা কেবল কিছু কল্পনা করি। না। আমাদের অবশ্যই ভগবানের কথা শুনতে হবে। আমরা এই রকম আশিটি বই প্রকাশ করেছি, কেবল ভগবানের সম্পর্কে শুনতে হবে। তারপর যখন আপনি পুরোপুরি শুনবেন তখন আপনি অন্যদের বর্ণনা করতে পারবেন। তাকে বলে কীর্তন, শ্রবন, কীর্তন। এবং যখন শ্রবণ এবং কীতনের প্রক্রিয়া চলবে, বা ব্যাখ্যা করা, কীর্তন মানে ব্যাখ্যা। যেমন আমাদের এই সম্পূর্ন সংস্থা শ্রবন করছে এই বই থেকে এবং তারা বাইরে বেরোয় ব্যাখ্যা করতে। একে বলে কীর্তন। তারপর এই দুই পদ্ধতি, শ্রবন এবং কীর্তন, আপনি স্মরণ করুন, এর মানে স্মরণ করা, আপনি সর্বদা ভগবানের সঙ্গে আছেন। ডাঃ পি জে শাহেরঃ সবসময় আমাকে স্মরণ কর।" প্রভুপাদঃ হ্যাঁ,হ্যাঁ। শ্রবনম কীর্তনম বিষ্ণু স্মরণ পাদ সেবনম ([[Vanisource:SB 7.5.23|শ্রী.ভা.৭.৫.২৩]]) তারপর বিগ্রহের পূজা, ভগবানের চরনে পুষ্প অর্পন করা, মালা দেওয়া, পোষাক পরানো, পাদ সেবনম, অর্চনম, বন্দনম, প্রার্থণা করা, দাস্যম, সেবা। এইভাবে নয়টি পদ্ধতি আছে। ডাঃ পি জে শহেরঃ আমাদের আছে একই জিনিস, একই ভাবে... (জার্মান) প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, খৃষ্টান পদ্ধতি, প্রার্থনা করা, সেটি ভক্তি, সেটা ভক্তি। (জার্মান) কলি যুগ মানে যুদ্ধ। কেউ সত্যটা বুঝতে আগ্রহী নয়, কিন্তু তারা শুধু যুদ্ধ করতে চায়। "আমার মতে, এই।" আমি বলি, "আমার মতামত, এই।" আপনি বলছেন, "তার মতামত।" তাই অনেক বোকার মতামত এবং নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। এই বয়স। কোন আদর্শ মতামত নেই প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। অতএব যুদ্ধ করা আবশ্যক। সবাই বলে, "আমি এই রকম মনে করি।" তাই আপনার মূল্য কি, আপনার চিন্তা এইরকম? এটা কলি-যুগ। কারণ আপনার কোন মান জ্ঞান নেই। যদি একটি বাচ্চা বাবাকে বলে, "আমার মতে, আপনাকে এই রকম কাজ করতে হবে।" সেই মতামত নেওয়া হবে? যদি সে জিনিস টা না জানে, কিভাবে সে তার মতামত দেবে? কিন্তু এখানে এই যুগে প্রত্যেকে নিজের মত তৈরী করে। তাই যুদ্ধ,ঝগড়া হয়। শুধু ইউনাইটেড ন্যাশানের মত, সব বড় পুরুষ একত্রিত হওয়ার জন্য সেখানে যায়, কিন্তু তারা পতাকাগুলি বাড়িয়েছে। এখানেই শেষ। যুদ্ধ, এটা শুধু যুদ্ধের একটি সংগঠন। পাকিস্তান, হিন্দুস্তান, আমেরিকান, ভিয়েতনাম। এটা ঐক্যর জন্য বোঝানো হয় কিন্তু এটি যুদ্ধ সমিতি মধ্যে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ। সব। কারণ সবাই অসিদ্ধ, একজনের উচিত তার নিখুঁত জ্ঞান দেওয়া। জার্মান লেডীঃ আপনি কি মনে করেন কলি যুগ সব সময় বিদ্যমান থাকবে? প্রভুপাদঃ না, এই সময় যখন বোকা মানুষরা উন্নতি করবে (বিরতি)... সমাধান তৈরীর পরিবর্তে যুদ্ধ ক্রমবর্ধমান। কারন তাদের কোন প্রমিত জ্ঞান নেই। তাইজন্য ব্রহ্ম সূত্রে বলা হয়েছে যে আপনার উচিত উৎসুক হওয়া পরম সত্য সন্মন্ধে জানার। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। এখন উত্তর, পরবর্তি উদ্ধৃতি হচ্ছে। যে ব্রহ্ম, বা পরম সত্য হল কোথা থেকে, বা কার কাছ থেকে, সবকিছু এসেছে। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা, জন্ম দাস্য যতঃ ([[Vanisource:SB 1.1.1|শ্রী.ভ.১.১.১]]) এখন আপনি খুঁজে বের করুন কোথায় ... সবাই চূড়ান্ত কারণ কি এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এটা লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি আপনি এই দার্শনিক উদ্ধৃতি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার যুদ্ধ বন্ধ হবে। আপনাকে শান্ত হতে হবে।  এই শ্লোকে তত্ত্ব জিজ্ঞাসা। তত্ত্ব জিজ্ঞাসা মানে পরম সত্য সন্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা। বসুন, কারণ সেখানে উচিত মানুষ, সমাজে বুদ্ধিমান শ্রেনীর মানুষ থাকা উচিত। যারা পরম সত্য সম্পর্কে আলোচনা করছেন, এবং তারা অন্যদেরকে বলবে, "এটা পরম সত্য, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার প্রিয়..." আপনার এটা ভালো লাগছে। এটা চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানে সবই পরম সত্য। সেটাই যুদ্ধ।  
ডাঃ পি জে শহেরঃ আপনি আপনার কৌশল আরও পরিষ্কার করার জন্য দয়া করবেন ... একবার ভগবানের নাম জপ করুন এবং আপনি খুশি হবেন, পুনরায় ব্যাখ্যা করতে, কিছু নির্দিষ্ট ভাবে, বা কি আসে... (জার্মান) এ ছাড়াও কী করা উচিত, কীভাবে তা প্রণয়ন করা হয়, যে মোট, যে সম্পূর্ণ সিস্টেম আপনার সম্মানিত শিক্ষা ?  
 
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ এই হচ্ছে ভক্তি মার্গ , মানে প্রথম জিনিস হচ্ছে শ্রবণ, শোনা। যেমন এই বইগুলো লেখা হয়েছে মানুষ কে শোনার জন্য একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এইটা প্রথম কাজ। যদি আমরা ভগবান সম্পর্কে না শুনতে পারি তবে আমরা কেবল কিছু কল্পনা করি। না। আমাদের অবশ্যই ভগবানের কথা শুনতে হবে। আমরা এই রকম আশিটি বই প্রকাশ করেছি, কেবল ভগবানের সম্পর্কে শুনতে হবে। তারপর যখন আপনি পুরোপুরি শুনবেন তখন আপনি অন্যদের বর্ণনা করতে পারবেন। তাকে বলে কীর্তন, শ্রবন, কীর্তন। এবং যখন শ্রবণ এবং কীতনের প্রক্রিয়া চলবে, বা ব্যাখ্যা করা, কীর্তন মানে ব্যাখ্যা। যেমন আমাদের এই সম্পূর্ন সংস্থা শ্রবন করছে এই বই থেকে এবং তারা বাইরে বেরোয় ব্যাখ্যা করতে। একে বলে কীর্তন। তারপর এই দুই পদ্ধতি, শ্রবন এবং কীর্তন, আপনি স্মরণ করুন, এর মানে স্মরণ করা, আপনি সর্বদা ভগবানের সঙ্গে আছেন।  
 
ডাঃ পি জে শাহেরঃ সবসময় আমাকে স্মরণ কর।"  
 
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ,হ্যাঁ। শ্রবনম কীর্তনম বিষ্ণু স্মরণ পাদ সেবনম ([[Vanisource:SB 7.5.23-24|শ্রী.ভা. ৭.৫.২৩]]) তারপর বিগ্রহের পূজা, ভগবানের চরনে পুষ্প অর্পন করা, মালা দেওয়া, পোষাক পরানো, পাদ সেবনম, অর্চনম, বন্দনম, প্রার্থণা করা, দাস্যম, সেবা। এইভাবে নয়টি পদ্ধতি আছে।  
 
ডাঃ পি জে শহেরঃ আমাদের আছে একই জিনিস, একই ভাবে... (জার্মান)  
 
প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, খৃষ্টান পদ্ধতি, প্রার্থনা করা, সেটি ভক্তি, সেটা ভক্তি। (জার্মান) কলি যুগ মানে যুদ্ধ। কেউ সত্যটা বুঝতে আগ্রহী নয়, কিন্তু তারা শুধু যুদ্ধ করতে চায়। "আমার মতে, এই।" আমি বলি, "আমার মতামত, এই।" আপনি বলছেন, "তার মতামত।" তাই অনেক বোকার মতামত এবং নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। এই বয়স। কোন আদর্শ মতামত নেই প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। অতএব যুদ্ধ করা আবশ্যক। সবাই বলে, "আমি এই রকম মনে করি।" তাই আপনার মূল্য কি, আপনার চিন্তা এইরকম? এটা কলি-যুগ। কারণ আপনার কোন মান জ্ঞান নেই। যদি একটি বাচ্চা বাবাকে বলে, "আমার মতে, আপনাকে এই রকম কাজ করতে হবে।" সেই মতামত নেওয়া হবে? যদি সে জিনিস টা না জানে, কিভাবে সে তার মতামত দেবে? কিন্তু এখানে এই যুগে প্রত্যেকে নিজের মত তৈরী করে। তাই যুদ্ধ,ঝগড়া হয়। শুধু ইউনাইটেড ন্যাশানের মত, সব বড় পুরুষ একত্রিত হওয়ার জন্য সেখানে যায়, কিন্তু তারা পতাকাগুলি বাড়িয়েছে। এখানেই শেষ। যুদ্ধ, এটা শুধু যুদ্ধের একটি সংগঠন। পাকিস্তান, হিন্দুস্তান, আমেরিকান, ভিয়েতনাম। এটা ঐক্যর জন্য বোঝানো হয় কিন্তু এটি যুদ্ধ সমিতি মধ্যে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ। সব। কারণ সবাই অসিদ্ধ, একজনের উচিত তার নিখুঁত জ্ঞান দেওয়া।  
 
জার্মান লেডীঃ আপনি কি মনে করেন কলি যুগ সব সময় বিদ্যমান থাকবে?  
 
প্রভুপাদঃ না, এই সময় যখন বোকা মানুষরা উন্নতি করবে (বিরতি)... সমাধান তৈরীর পরিবর্তে যুদ্ধ ক্রমবর্ধমান। কারন তাদের কোন প্রমিত জ্ঞান নেই। তাইজন্য ব্রহ্ম সূত্রে বলা হয়েছে যে আপনার উচিত উৎসুক হওয়া পরম সত্য সন্মন্ধে জানার। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। এখন উত্তর, পরবর্তি উদ্ধৃতি হচ্ছে। যে ব্রহ্ম, বা পরম সত্য হল কোথা থেকে, বা কার কাছ থেকে, সবকিছু এসেছে। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা, জন্ম দাস্য যতঃ ([[Vanisource:SB 1.1.1|শ্রী.ভ.১.১.১]]) এখন আপনি খুঁজে বের করুন কোথায় ... সবাই চূড়ান্ত কারণ কি এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এটা লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি আপনি এই দার্শনিক উদ্ধৃতি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার যুদ্ধ বন্ধ হবে। আপনাকে শান্ত হতে হবে।  এই শ্লোকে তত্ত্ব জিজ্ঞাসা। তত্ত্ব জিজ্ঞাসা মানে পরম সত্য সন্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা। বসুন, কারণ সেখানে উচিত মানুষ, সমাজে বুদ্ধিমান শ্রেনীর মানুষ থাকা উচিত। যারা পরম সত্য সম্পর্কে আলোচনা করছেন, এবং তারা অন্যদেরকে বলবে, "এটা পরম সত্য, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার প্রিয়..." আপনার এটা ভালো লাগছে। এটা চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানে সবই পরম সত্য। সেটাই যুদ্ধ।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 08:42, 4 December 2021



Room Conversation with Professor Durckheim German Spiritual Writer -- June 19, 1974, Germany

ডাঃ পি জে শহেরঃ আপনি আপনার কৌশল আরও পরিষ্কার করার জন্য দয়া করবেন ... একবার ভগবানের নাম জপ করুন এবং আপনি খুশি হবেন, পুনরায় ব্যাখ্যা করতে, কিছু নির্দিষ্ট ভাবে, বা কি আসে... (জার্মান) এ ছাড়াও কী করা উচিত, কীভাবে তা প্রণয়ন করা হয়, যে মোট, যে সম্পূর্ণ সিস্টেম আপনার সম্মানিত শিক্ষা ?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ এই হচ্ছে ভক্তি মার্গ , মানে প্রথম জিনিস হচ্ছে শ্রবণ, শোনা। যেমন এই বইগুলো লেখা হয়েছে মানুষ কে শোনার জন্য একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এইটা প্রথম কাজ। যদি আমরা ভগবান সম্পর্কে না শুনতে পারি তবে আমরা কেবল কিছু কল্পনা করি। না। আমাদের অবশ্যই ভগবানের কথা শুনতে হবে। আমরা এই রকম আশিটি বই প্রকাশ করেছি, কেবল ভগবানের সম্পর্কে শুনতে হবে। তারপর যখন আপনি পুরোপুরি শুনবেন তখন আপনি অন্যদের বর্ণনা করতে পারবেন। তাকে বলে কীর্তন, শ্রবন, কীর্তন। এবং যখন শ্রবণ এবং কীতনের প্রক্রিয়া চলবে, বা ব্যাখ্যা করা, কীর্তন মানে ব্যাখ্যা। যেমন আমাদের এই সম্পূর্ন সংস্থা শ্রবন করছে এই বই থেকে এবং তারা বাইরে বেরোয় ব্যাখ্যা করতে। একে বলে কীর্তন। তারপর এই দুই পদ্ধতি, শ্রবন এবং কীর্তন, আপনি স্মরণ করুন, এর মানে স্মরণ করা, আপনি সর্বদা ভগবানের সঙ্গে আছেন।

ডাঃ পি জে শাহেরঃ সবসময় আমাকে স্মরণ কর।"

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ,হ্যাঁ। শ্রবনম কীর্তনম বিষ্ণু স্মরণ পাদ সেবনম (শ্রী.ভা. ৭.৫.২৩) তারপর বিগ্রহের পূজা, ভগবানের চরনে পুষ্প অর্পন করা, মালা দেওয়া, পোষাক পরানো, পাদ সেবনম, অর্চনম, বন্দনম, প্রার্থণা করা, দাস্যম, সেবা। এইভাবে নয়টি পদ্ধতি আছে।

ডাঃ পি জে শহেরঃ আমাদের আছে একই জিনিস, একই ভাবে... (জার্মান)

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ, খৃষ্টান পদ্ধতি, প্রার্থনা করা, সেটি ভক্তি, সেটা ভক্তি। (জার্মান) কলি যুগ মানে যুদ্ধ। কেউ সত্যটা বুঝতে আগ্রহী নয়, কিন্তু তারা শুধু যুদ্ধ করতে চায়। "আমার মতে, এই।" আমি বলি, "আমার মতামত, এই।" আপনি বলছেন, "তার মতামত।" তাই অনেক বোকার মতামত এবং নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করছে। এই বয়স। কোন আদর্শ মতামত নেই প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। অতএব যুদ্ধ করা আবশ্যক। সবাই বলে, "আমি এই রকম মনে করি।" তাই আপনার মূল্য কি, আপনার চিন্তা এইরকম? এটা কলি-যুগ। কারণ আপনার কোন মান জ্ঞান নেই। যদি একটি বাচ্চা বাবাকে বলে, "আমার মতে, আপনাকে এই রকম কাজ করতে হবে।" সেই মতামত নেওয়া হবে? যদি সে জিনিস টা না জানে, কিভাবে সে তার মতামত দেবে? কিন্তু এখানে এই যুগে প্রত্যেকে নিজের মত তৈরী করে। তাই যুদ্ধ,ঝগড়া হয়। শুধু ইউনাইটেড ন্যাশানের মত, সব বড় পুরুষ একত্রিত হওয়ার জন্য সেখানে যায়, কিন্তু তারা পতাকাগুলি বাড়িয়েছে। এখানেই শেষ। যুদ্ধ, এটা শুধু যুদ্ধের একটি সংগঠন। পাকিস্তান, হিন্দুস্তান, আমেরিকান, ভিয়েতনাম। এটা ঐক্যর জন্য বোঝানো হয় কিন্তু এটি যুদ্ধ সমিতি মধ্যে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ। সব। কারণ সবাই অসিদ্ধ, একজনের উচিত তার নিখুঁত জ্ঞান দেওয়া।

জার্মান লেডীঃ আপনি কি মনে করেন কলি যুগ সব সময় বিদ্যমান থাকবে?

প্রভুপাদঃ না, এই সময় যখন বোকা মানুষরা উন্নতি করবে (বিরতি)... সমাধান তৈরীর পরিবর্তে যুদ্ধ ক্রমবর্ধমান। কারন তাদের কোন প্রমিত জ্ঞান নেই। তাইজন্য ব্রহ্ম সূত্রে বলা হয়েছে যে আপনার উচিত উৎসুক হওয়া পরম সত্য সন্মন্ধে জানার। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। এখন উত্তর, পরবর্তি উদ্ধৃতি হচ্ছে। যে ব্রহ্ম, বা পরম সত্য হল কোথা থেকে, বা কার কাছ থেকে, সবকিছু এসেছে। অথাতঃ ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা, জন্ম দাস্য যতঃ (শ্রী.ভ.১.১.১) এখন আপনি খুঁজে বের করুন কোথায় ... সবাই চূড়ান্ত কারণ কি এটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এটা লক্ষ্য হওয়া উচিত। যদি আপনি এই দার্শনিক উদ্ধৃতি অনুসরণ করেন তাহলে আপনার যুদ্ধ বন্ধ হবে। আপনাকে শান্ত হতে হবে। এই শ্লোকে তত্ত্ব জিজ্ঞাসা। তত্ত্ব জিজ্ঞাসা মানে পরম সত্য সন্মন্ধে জিজ্ঞাসা করা। বসুন, কারণ সেখানে উচিত মানুষ, সমাজে বুদ্ধিমান শ্রেনীর মানুষ থাকা উচিত। যারা পরম সত্য সম্পর্কে আলোচনা করছেন, এবং তারা অন্যদেরকে বলবে, "এটা পরম সত্য, আমার প্রিয় বন্ধু, আমার প্রিয়..." আপনার এটা ভালো লাগছে। এটা চেয়েছিলেন। কিন্তু এখানে সবই পরম সত্য। সেটাই যুদ্ধ।