BN/Prabhupada 0211 - আমাদের মিশন হচ্ছে চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছাকে স্থাপন করা: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0211 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1975 Category:BN-Quotes - L...")
 
No edit summary
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0210 - पूरा भक्ति-मार्ग भगवान की दया पर निर्भर करता है|0210|HI/Prabhupada 0212 - वैज्ञानिक दृष्टिकोण से , मृत्यु के बाद जीवन है|0212}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0210 - পুরো ভক্তি-মার্গ ভগবানের দয়ার উপর নির্ভর করে|0210|BN/Prabhupada 0212 - বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোনের বিচারে মৃত্যুর পর জীবন আছে|0212}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপা ছাড়া কৃষ্ণ ভাবনামৃতে পৌছাতে পারবেন না। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর দ্বারা যাওয়া মানে ছয় গোস্বামীর মাধ্যমে যাওয়া, এটা পরম্পরা পদ্ধতি। এইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই-যার তার মুই দাস। তা-সবার পদ-রেনু মোর পঞ্চ গ্রাস এই হচ্ছে পরম্পরা পদ্ধতি। আপনি লাফ দিয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে পরম্পরা পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হবে। আপনাকে আপনার আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারা গোস্বামীদের কাছে যেতে হবে, এবং গোস্বামীদের মাধ্যমে আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে যেতে পারবেন। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর মাধ্যমে আপনি কৃষ্ণের কাছে যেতে পারবেন। এইভাবে। তাইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই যার-মুই তার দাস। আমরা দাসের দাস। এটা চৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ, গোপী-ভর্তু- পদকমলয়ো দাস-দাসানুদাস ([[Vanisource:CC Madhya 13.80|চৈ.চ মধ্য ১৩.৮০]]) আপনি যত দাসের দাস হবেন, আপনি তত পুর্ণ হবেন। এবং যদি আপনি হঠাৎ সবার গুরু হতে চান, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। ব্যাস। এইরকম করবেন না। এইটা চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা। যদি আপনি দাস, দাস, দাসের মাধ্যমে যান, তাহলে আপনি উন্নত করছেন। এবং যদি আপনি মনে করেন যে আপনি মালিক হয়ে গেছেন, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। এই হচ্ছে পদ্ধতি। দাস-দাসানুদাস। চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন। তাই দাস, দাস, দাস, দাসের দাস, তার মানে হচ্ছে সে উন্নত, সে উন্নত। এবং যে সরাসরি গুরু হতে চায়, তাহলে তিনি নরকে যাবেন। তাই অনারপিত-চরিং চিরাৎ। তাই আমাদের সসময় শ্রীল রূপ গোস্বামীর নির্দেশ মনে রাখা উচিত। তাইজন্য আমরা প্রার্থনা করি, শ্রী-চৈতন্য-মনো ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভুতলে। আমাদের মিশন হচ্ছে চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছাকে স্থাপন করা। এটাই আমাদের কাজ। শ্রী-চৈতন্য-মনো-ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভূতলে। শ্রীলরূপ গোস্বামী এটা করাছিলেন। তিনি আমাদের অনেক বই দিয়েছেন, বিশেষ করে ভক্তি রসামৃত সিন্ধু, যেঁটা আমরা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছি নেকটার অফ ডিভোশান হিসাবে। ভক্তি সেবার বিজ্ঞানকে বোঝার জন্য। এইটা হচ্ছে রূপ গোস্বামীর মহান অবদান, কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। এটা কোন ভাবনা নয়; এটা একটা বিজ্ঞান। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত অন্দোলন হচ্ছে একটা বড় বিজ্ঞান। যদ বিজ্ঞানা-সমনভিতান। জনানাম মে পরমম গূহ্যম যদ বিজ্ঞান-সমনভিতাম। এটা কোন ভাবনা নয়। যদি আপনি এই  ভাবনাকে রূপ দেন নেন, তাহলে আপনি অশান্তি জন্ম দেবেন। সেটাই রূপ গোস্বামীর নির্দেশ। তিনি বলেছেন,শ্রুতি-স্মৃতি-পুরানাদি-পঞ্চরাত্রি-বিধিম বিনা ঐকান্তিকি হরের ভক্তি উৎপাতৈব কল্পতে (ব্র.সং ১.২.১০১)  
আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপার মাধ্যম ছাড়া লাফ দিয়ে কৃষ্ণভাবনামৃতে যেতে পারবেন না। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর দ্বারা যাওয়া মানে ছয় গোস্বামীর মাধ্যমে যাওয়া, এটা পরম্পরা পদ্ধতি। এইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই-যার তার মুই দাস। তা-সবার পদ-রেনু মোর পঞ্চ গ্রাস এই হচ্ছে পরম্পরা পদ্ধতি। আপনি লাফ দিয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে পরম্পরা পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হবে। আপনাকে আপনার আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারা গোস্বামীদের কাছে যেতে হবে, এবং গোস্বামীদের মাধ্যমে আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে যেতে পারবেন। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর মাধ্যমে আপনি কৃষ্ণের কাছে যেতে পারবেন। এইভাবে। তাইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই যার-মুই তার দাস। আমরা দাসের দাস। এটা চৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ, গোপী-ভর্তু- পদকমলয়ো দাস-দাসানুদাস ([[Vanisource:CC Madhya 13.80|চৈ.চ মধ্য ১৩.৮০]]) আপনি যত দাসের দাস হবেন, আপনি ততই পূর্ণ হবেন। আর যদি আপনি হঠাৎ সবার গুরু হতে চান, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। ব্যাস। এইরকম করবেন না। এইটা চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা। যদি আপনি দাস, দাস, দাসের মাধ্যমে যান, তাহলে আপনি উন্নত এবং যদি আপনি মনে করেন যে আপনি প্রভু হয়ে গেছেন, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। এই হচ্ছে পদ্ধতি। দাস-দাসানুদাস। চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন। তাই দাস, দাস, দাস, দাসের দাস, তার মানে হচ্ছে সে উন্নত, সে উন্নত। এবং যে সরাসরি গুরু হতে চায়, সে নরকে যাবে।
 
তাই অনর্পিত-চরীং চিরাৎ ([[Vanisource:CC Adi 1.4|চৈ.চ আদি ১.৪]])। তাই আমাদের সসময় শ্রীল রূপ গোস্বামীর নির্দেশ মনে রাখা উচিত। তাই জন্য আমরা প্রার্থনা করি, শ্রী-চৈতন্য-মনো ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভুতলে। আমাদের মিশন হচ্ছে চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছাকে স্থাপন করা। এটাই আমাদের কাজ। শ্রী-চৈতন্য-মনো-ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভূতলে। শ্রীল রূপ গোস্বামী এটা করাছিলেন। তিনি আমাদের অনেক বই দিয়েছেন, বিশেষ করে ভক্তি রসামৃত সিন্ধু, যেঁটা আমরা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছি নেকটার অফ ডিভোশান হিসাবে। ভক্তি সেবার বিজ্ঞানকে বোঝার জন্য। এটা হচ্ছে রূপ গোস্বামীর মহান অবদান, কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। এটা কোন ভাবাবেগ নয়; এটা একটা বিজ্ঞান। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত অন্দোলন হচ্ছে একটা বড় বিজ্ঞান। যদ বিজ্ঞানসমন্বিতম্‌। জ্ঞানং মে পরমম্‌ গূহ্যম যদ্‌ বিজ্ঞানসমন্বিতম্‌ ([[Vanisource:SB 2.9.31|শ্রীমদ্ভাগবত ২.৯.৩১]])। এটা কোন হুজুগ নয়। যদি আপনি একে আবেগের হুজুগ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি উৎপাত করবেন। সেটাই রূপ গোস্বামীর নির্দেশ। তিনি বলেছেন,
 
:শ্রুতি-স্মৃতি-পুরানাদি-
 
:পঞ্চরাত্রি-বিধিম বিনা  
 
:ঐকান্তিকী হরের্ভক্তি
 
:উৎপাতৈব কল্পতে  
 
:(ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.১০১)  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 03:59, 5 December 2021



Lecture on CC Adi-lila 1.4 -- Mayapur, March 28, 1975

আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কৃপার মাধ্যম ছাড়া লাফ দিয়ে কৃষ্ণভাবনামৃতে যেতে পারবেন না। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর দ্বারা যাওয়া মানে ছয় গোস্বামীর মাধ্যমে যাওয়া, এটা পরম্পরা পদ্ধতি। এইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই-যার তার মুই দাস। তা-সবার পদ-রেনু মোর পঞ্চ গ্রাস এই হচ্ছে পরম্পরা পদ্ধতি। আপনি লাফ দিয়ে যেতে পারবেন না। আপনাকে পরম্পরা পদ্ধতির মাধ্যমে যেতে হবে। আপনাকে আপনার আধ্যাত্মিক গুরুর দ্বারা গোস্বামীদের কাছে যেতে হবে, এবং গোস্বামীদের মাধ্যমে আপনি চৈতন্য মহাপ্রভুর কাছে যেতে পারবেন। এবং চৈতন্য মহাপ্রভুর মাধ্যমে আপনি কৃষ্ণের কাছে যেতে পারবেন। এইভাবে। তাইজন্য নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, এই ছয় গোসাই যার-মুই তার দাস। আমরা দাসের দাস। এটা চৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ, গোপী-ভর্তু- পদকমলয়ো দাস-দাসানুদাস (চৈ.চ মধ্য ১৩.৮০) আপনি যত দাসের দাস হবেন, আপনি ততই পূর্ণ হবেন। আর যদি আপনি হঠাৎ সবার গুরু হতে চান, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। ব্যাস। এইরকম করবেন না। এইটা চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা। যদি আপনি দাস, দাস, দাসের মাধ্যমে যান, তাহলে আপনি উন্নত । এবং যদি আপনি মনে করেন যে আপনি প্রভু হয়ে গেছেন, তাহলে আপনি নরকে যাবেন। এই হচ্ছে পদ্ধতি। দাস-দাসানুদাস। চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন। তাই দাস, দাস, দাস, দাসের দাস, তার মানে হচ্ছে সে উন্নত, সে উন্নত। এবং যে সরাসরি গুরু হতে চায়, সে নরকে যাবে।

তাই অনর্পিত-চরীং চিরাৎ (চৈ.চ আদি ১.৪)। তাই আমাদের সসময় শ্রীল রূপ গোস্বামীর নির্দেশ মনে রাখা উচিত। তাই জন্য আমরা প্রার্থনা করি, শ্রী-চৈতন্য-মনো ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভুতলে। আমাদের মিশন হচ্ছে চৈতন্য মহাপ্রভুর ইচ্ছাকে স্থাপন করা। এটাই আমাদের কাজ। শ্রী-চৈতন্য-মনো-ভীষ্টম স্থাপিতম যেন ভূতলে। শ্রীল রূপ গোস্বামী এটা করাছিলেন। তিনি আমাদের অনেক বই দিয়েছেন, বিশেষ করে ভক্তি রসামৃত সিন্ধু, যেঁটা আমরা ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেছি নেকটার অফ ডিভোশান হিসাবে। ভক্তি সেবার বিজ্ঞানকে বোঝার জন্য। এটা হচ্ছে রূপ গোস্বামীর মহান অবদান, কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। কিভাবে একজন ভক্ত হওয়া যায়। এটা কোন ভাবাবেগ নয়; এটা একটা বিজ্ঞান। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত অন্দোলন হচ্ছে একটা বড় বিজ্ঞান। যদ বিজ্ঞানসমন্বিতম্‌। জ্ঞানং মে পরমম্‌ গূহ্যম যদ্‌ বিজ্ঞানসমন্বিতম্‌ (শ্রীমদ্ভাগবত ২.৯.৩১)। এটা কোন হুজুগ নয়। যদি আপনি একে আবেগের হুজুগ বলে মনে করেন, তাহলে আপনি উৎপাত করবেন। সেটাই রূপ গোস্বামীর নির্দেশ। তিনি বলেছেন,

শ্রুতি-স্মৃতি-পুরানাদি-
পঞ্চরাত্রি-বিধিম বিনা
ঐকান্তিকী হরের্ভক্তি
উৎপাতৈব কল্পতে
(ভক্তিরসামৃতসিন্ধু ১.২.১০১)