BN/Prabhupada 0220 - প্রত্যেক জীব ভগবানের অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0220 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - A...")
 
No edit summary
 
Line 7: Line 7:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0219 - मालिक बनने का यह बकवास विचार त्याग दो|0219|HI/Prabhupada 0221 - मायावादी, उन्हे लगता है कि वे भगवान के साथ एक हो गए हैं|0221}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0219 - মালিক হবার অর্থহীন বিচার ত্যাগ করুন|0219|BN/Prabhupada 0221 - মায়াবাদীরা মনে করে যে তারা ভগবানের সাথে এক হয়ে যাবে|0221}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 29: Line 29:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
একজন বিদ্বান ব্যাক্তি যিনি বাস্তবে আধ্যাত্মিক স্তরে আছেন, তিনি জানেন "এখানে একটি কুকুর আছে এবং এখানে একজন ব্রাহ্মন আছেন। তারা কর্ম অনুসারে আলাদা শরীর পেয়েছেন, কিন্তু কুকুরের ভিতর এবং ব্রাহ্মনের ভিতর একই আত্মা আছে। জড় মঞ্চে আমরা ভেদ ভাব করে থাকি, " আমি ভারতীয়, আপনি ফ্রান্সীসি, তিনি ইংরেজ, তিনি আমেরিকান, এটা বিড়াল, এটা কুকুর।" এটাই জড় মঞ্চের দৃষ্টিকোন। আধ্যাত্মিক স্তরে আমরা দেখতে পাই যে,  প্রত্যেক জীব ভগবানের অভিন্ন অংশ। যেটা ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছেঃ মামৈবাংশ জীবভূতা। প্রত্যেক জীব। এটা কোন ব্যাপার নয় যে তিনি কে। ৮৪০০০০০ প্রকার প্রজাতি আছে, কিন্তু তাদের সবাই আলাদা আলাদা পোষাকে ঢাকা। যেমন আপনি ফ্রান্সীস, আপনি আলাদা প্রকারের পোষাক পরেছেন এবং ইংরেজ আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন আবার ভারতীয়রা আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন। কিন্তু পোষাকটা গুরুত্বপূর্ন নয়, পোষাকের ভিতরের ব্যাক্তিটি মহত্বপূর্ন। সেইরকম এই শরীরটা বিশেষ গুরুত্বপুর্ন নয়। অন্তবন্ত ইমে দেহা নিত্যসোক্তা শরীরিন ([[Vanisource:BG 2.18|ভ.গী. ২.১৮]]),  এই শরীর নাশপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু এই শরীরের ভিতরের আত্মা, নাশপ্রাপ্ত হয় না। তাই মানুষ্য জীবন মানে জ্ঞান বিকশিত করার জন্য, অবিনাশী সম্পর্কে। দুভাগ্যবশতঃ, আমাদের বিজ্ঞান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তত্ত্বজ্ঞান, তারা বিনাশি বস্তু নিয়ে ব্যস্ত, অবিনাশি বস্তু নিয়ে ব্যস্ত নয়। এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে অবিনাশী সম্পর্কে বিচার করার জন্য। তাই এটা আত্মার আন্দোলন, রাজনৈতিক আন্দোলন,সামাজিক আন্দোলন বা ধর্মীয় আন্দোলন নয়, তারা নশ্বর শরীরের সাথে সন্মন্ধিত, কিন্তু কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন আবিনাশী আত্মার সাথে সন্মন্ধিত। তাই আমাদের এই সংকীর্তন আন্দোলন শুধুমাত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ দ্বারা, আপনার হৃদয় ধীরে ধীরে শুদ্ধ হয়ে যাবে যাতে আপনি আধ্যাত্মিক স্তরে আসতে পারেন। যেমন এই আন্দোলনে সব দেশের ছাত্ররা আছে, বিশ্বের সকল ধর্মের আছে। কিন্তু তারা কোন ধর্ম বা জাতি বা রং সম্পর্কে চিন্তা করে না। না। তারা সবাই কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। যখন আমরা সেই পর্যায়ে এসে পৌঁছাই এবং আমরা যদি আমাদেরকে ওই পেশাতে নিযুক্ত করি তাহলে আমরা মুক্ত। তাই এই আন্দোলন খুব মহত্বপুর্ন আন্দোলন। এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে সব বিবরণ স্পষ্টভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। চিঠিপত্রের মাধ্যমে অথবা আমাদের সাহিত্য পড়ার মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে। যে কোনও ভাবেই, আপনার জীবন উজ্জ্বল হয়ে যাবে। আমরা এই রকম ভেদভাব করি না যে "এটা ভারত," "এটা ইংল্যান্ড," "এটা ফ্রান্স," "এটা আফ্রিকা।" আমরা মনে করি যে প্রত্যেক জীব, কেবল মানুষই নয়,  প্রাণীও পর্যন্ত, পাখি, প্রাণী, গাছ, জলাশয়, কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ - সবই ঈশ্বরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  
একজন বিদ্বান ব্যাক্তি যিনি বাস্তবে আধ্যাত্মিক স্তরে আছেন, তিনি জানেন "এটি কুকুর আর ইনি একজন ব্রাহ্মণ। তারা কর্ম অনুসারে আলাদা শরীর পেয়েছেন, কিন্তু কুকুরের ভিতর এবং ব্রাহ্মণের ভিতর একই আত্মা আছে। জড় স্তরে আমরা ভেদ ভাব করে থাকি, " আমি ভারতীয়, আপনি ফরাসি, তিনি ইংরেজ, তিনি আমেরিকান, এটা বিড়াল, এটা কুকুর।" এটাই জড় স্তরের দৃষ্টিকোণ আধ্যাত্মিক স্তরে আমরা দেখতে পাই যে,  প্রত্যেক জীব ভগবানের অভিন্ন অংশ। যেটা ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছেঃ মমৈবাংশ জীবভূতা ([[Vanisource:BG 15.7 (1972)|ভ.গী. ১৫.৭]])। প্রত্যেক জীব। এটা কোন ব্যাপার নয় যে তিনি কে। ৮৪০০০০০ প্রকার প্রজাতি আছে, কিন্তু তাদের সবাই আলাদা আলাদা পোষাকে ঢাকা। যেমন আপনি ফ্রেঞ্চ, আপনি আলাদা প্রকারের পোষাক পরেছেন এবং ইংরেজ আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন আবার ভারতীয়রা আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন। কিন্তু পোষাকটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, পোষাকের ভিতরের ব্যক্তিটি মহত্বপূর্ণ। সেইরকম এই শরীরটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তবন্ত ইমে দেহা নিত্যসোক্তা শরীরিন ([[Vanisource:BG 2.18 (1972)|ভ.গী. ২.১৮]]),  এই শরীর নাশপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু এই শরীরের ভিতরের আত্মা, নাশপ্রাপ্ত হয় না। তাই মানুষ্য জীবন মানে জ্ঞান বিকশিত করার জন্য, অবিনাশী সম্পর্কে।  
 
দুর্ভাগ্যবশতঃ, আমাদের বিজ্ঞান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তত্ত্বজ্ঞান, তারা বিনাশশীল বস্তু নিয়ে ব্যস্ত, অবিনাশি বস্তু নিয়ে ব্যস্ত নয়। এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে অবিনাশী সম্পর্কে বিচার করার জন্য। তাই এটা আত্মার আন্দোলন, রাজনৈতিক আন্দোলন,সামাজিক আন্দোলন বা ধর্মীয় আন্দোলন নয়, তারা নশ্বর শরীরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন আবিনাশী আত্মার সাথে সন্মন্ধিত। তাই আমাদের এই সংকীর্তন আন্দোলন শুধুমাত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ দ্বারা, আপনার হৃদয় ধীরে ধীরে শুদ্ধ হয়ে যাবে যাতে আপনি আধ্যাত্মিক স্তরে আসতে পারেন। যেমন এই আন্দোলনে সব দেশের ছাত্ররা আছে, বিশ্বের সকল ধর্মের আছে। কিন্তু তারা কোন ধর্ম বা জাতি বা রং সম্পর্কে চিন্তা করে না। না। তারা সবাই কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। যখন আমরা সেই পর্যায়ে এসে পৌঁছাই এবং আমরা যদি আমাদেরকে ওই পেশাতে নিযুক্ত করি তাহলে আমরা মুক্ত। তাই এই আন্দোলন খুব মহত্বপূর্ণ আন্দোলন।  
 
এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে সব বিবরণ স্পষ্টভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। চিঠিপত্রের মাধ্যমে অথবা আমাদের সাহিত্য পড়ার মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে। যে কোনও ভাবেই, আপনার জীবন উজ্জ্বল হয়ে যাবে। আমরা এই রকম ভেদভাব করি না যে "এটা ভারত," "এটা ইংল্যান্ড," "এটা ফ্রান্স," "এটা আফ্রিকা।" আমরা মনে করি যে প্রত্যেক জীব, কেবল মানুষই নয়,  প্রাণীও পর্যন্ত, পাখি, প্রাণী, গাছ, জলাশয়, কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ - সবই ঈশ্বরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:18, 5 December 2021



Arrival Lecture -- Paris, July 20, 1972

একজন বিদ্বান ব্যাক্তি যিনি বাস্তবে আধ্যাত্মিক স্তরে আছেন, তিনি জানেন "এটি কুকুর আর ইনি একজন ব্রাহ্মণ। তারা কর্ম অনুসারে আলাদা শরীর পেয়েছেন, কিন্তু কুকুরের ভিতর এবং ব্রাহ্মণের ভিতর একই আত্মা আছে। জড় স্তরে আমরা ভেদ ভাব করে থাকি, " আমি ভারতীয়, আপনি ফরাসি, তিনি ইংরেজ, তিনি আমেরিকান, এটা বিড়াল, এটা কুকুর।" এটাই জড় স্তরের দৃষ্টিকোণ আধ্যাত্মিক স্তরে আমরা দেখতে পাই যে, প্রত্যেক জীব ভগবানের অভিন্ন অংশ। যেটা ভগবদ্গীতাতে বলা হয়েছেঃ মমৈবাংশ জীবভূতা (ভ.গী. ১৫.৭)। প্রত্যেক জীব। এটা কোন ব্যাপার নয় যে তিনি কে। ৮৪০০০০০ প্রকার প্রজাতি আছে, কিন্তু তাদের সবাই আলাদা আলাদা পোষাকে ঢাকা। যেমন আপনি ফ্রেঞ্চ, আপনি আলাদা প্রকারের পোষাক পরেছেন এবং ইংরেজ আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন আবার ভারতীয়রা আলাদা ধরনের পোষাক পরেছেন। কিন্তু পোষাকটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, পোষাকের ভিতরের ব্যক্তিটি মহত্বপূর্ণ। সেইরকম এই শরীরটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। অন্তবন্ত ইমে দেহা নিত্যসোক্তা শরীরিন (ভ.গী. ২.১৮), এই শরীর নাশপ্রাপ্ত হবে। কিন্তু এই শরীরের ভিতরের আত্মা, নাশপ্রাপ্ত হয় না। তাই মানুষ্য জীবন মানে জ্ঞান বিকশিত করার জন্য, অবিনাশী সম্পর্কে।

দুর্ভাগ্যবশতঃ, আমাদের বিজ্ঞান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তত্ত্বজ্ঞান, তারা বিনাশশীল বস্তু নিয়ে ব্যস্ত, অবিনাশি বস্তু নিয়ে ব্যস্ত নয়। এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে অবিনাশী সম্পর্কে বিচার করার জন্য। তাই এটা আত্মার আন্দোলন, রাজনৈতিক আন্দোলন,সামাজিক আন্দোলন বা ধর্মীয় আন্দোলন নয়, তারা নশ্বর শরীরের সাথে সম্পর্কযুক্ত, কিন্তু কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন আবিনাশী আত্মার সাথে সন্মন্ধিত। তাই আমাদের এই সংকীর্তন আন্দোলন শুধুমাত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ দ্বারা, আপনার হৃদয় ধীরে ধীরে শুদ্ধ হয়ে যাবে যাতে আপনি আধ্যাত্মিক স্তরে আসতে পারেন। যেমন এই আন্দোলনে সব দেশের ছাত্ররা আছে, বিশ্বের সকল ধর্মের আছে। কিন্তু তারা কোন ধর্ম বা জাতি বা রং সম্পর্কে চিন্তা করে না। না। তারা সবাই কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। যখন আমরা সেই পর্যায়ে এসে পৌঁছাই এবং আমরা যদি আমাদেরকে ওই পেশাতে নিযুক্ত করি তাহলে আমরা মুক্ত। তাই এই আন্দোলন খুব মহত্বপূর্ণ আন্দোলন।

এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে সব বিবরণ স্পষ্টভাবে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। চিঠিপত্রের মাধ্যমে অথবা আমাদের সাহিত্য পড়ার মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে। যে কোনও ভাবেই, আপনার জীবন উজ্জ্বল হয়ে যাবে। আমরা এই রকম ভেদভাব করি না যে "এটা ভারত," "এটা ইংল্যান্ড," "এটা ফ্রান্স," "এটা আফ্রিকা।" আমরা মনে করি যে প্রত্যেক জীব, কেবল মানুষই নয়, প্রাণীও পর্যন্ত, পাখি, প্রাণী, গাছ, জলাশয়, কীটপতঙ্গ, সরীসৃপ - সবই ঈশ্বরের অবিচ্ছেদ্য অংশ।