BN/Prabhupada 0297 - যিনি পরম সত্যকে জানার জন্য জিজ্ঞাসু-তার একজন আধ্যাত্মিক গুরুর প্রয়োজন

Revision as of 13:11, 11 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture -- Seattle, October 4, 1968

আমাদের প্রক্রিয়া হচ্ছে, আদৌ গুর্বাশ্রয়ম্‌ সদ-ধর্ম প্রচ্ছাত। আমাদের একজন প্রামাণিক গুরুকে স্বীকার করতে হবে এবং তার কাছে জিজ্ঞাসা করতে হবে, সদ-ধর্ম প্রচ্ছাত। একইভাবে শ্রীমদ্ভাগতমে বলা হয়েছে যে জিজ্ঞাসু শ্রেয় উত্তমম্‌। "যিনি পরম সত্য বুঝতে আগ্রহী, তার একটি আধ্যাত্মিক গুরুর প্রয়োজন।" তস্মাদ গুরুম্‌ প্রপদ্যতে জিজ্ঞাংসু শ্রেয় উত্তমম (শ্রী.ভা.১১.৩.২১)। জিজ্ঞাসু মানে যে অনুসন্ধান করে, জিজ্ঞাসা করে। জিজ্ঞাসা করা স্বাভাবিক। যেমন একটা শিশুর মতনঃ তার জীবনের উন্নয়নের সাথে তিনি তার বাবা মাকে জিজ্ঞাসা করে, "বাবা, এইটা কি? মা, এটা কী? এটা কী? এটা কী?" এটা ভাল। একটি ছেলে, একটি শিশু, যে অনুসন্ধান করছে, এর মানে হল যে সে খুব বুদ্ধিমান ছেলে। তাই আমাদের বুদ্ধিমান হওয়া উচিত এবং অনুসন্ধান করা উচিত, জিজ্ঞাসা। ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা। এই জীবনটা হচ্ছে ব্রহ্ম জিজ্ঞাসার জন্য, বোঝার জন্য, ভগবান সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করার জন্য। তাহলে জীবন সফল। অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। অনুসন্ধান করার পর, বোঝার পর, অন্তিম পদক্ষেপটি কি? যেটা ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছেঃ বহুনাম্‌ জন্মনাম্‌ অন্তে জ্ঞানবান মাং প্রপদ্যতে (ভ.গী ৭.১৯) অনেক জন্মের অনুসন্ধানের পর, কেউ যখন প্রকৃত বুদ্ধিমান হয়, জ্ঞানী মানুষ হয়ে যায় তখন কী হয়? বহুনাম্‌ জন্মনামন্তে জ্ঞানবান মাং প্রপদ্যতেঃ "সে আমার প্রতি আত্মসর্মপন করে,"কৃষ্ণ বলেছেন। কেন? বাসুদেব সর্বমিতি। তিনি বুঝতে পারেন যে, বাসুদেব কৃষ্ণ হচ্ছেন সব কারণের কারন। স মহাত্মা সুদুলভ। কিন্তু এই ধরনের মহান আত্মা হচ্ছে দুলভ, এটা বুঝতে হবে। সেইজন্য চৈতন্য চরিতামৃতে বলা হয়েছে, সেই বড় চতুরঃ সে খুব বুদ্ধিমান।

তাই এই হচ্ছে বুদ্ধিমান মানুষের সংজ্ঞা। সুতরাং যদি আমরা বুদ্ধিমান হতে চাই, আমাদের বুদ্ধিমান হওয়ার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু অন্যদিকে যদি আমরা সত্যিই বুদ্ধিমান হই, তাহলে কেন স্বত্তর কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করছি না এবং বুদ্ধিমান হচ্ছি না? প্রক্রিয়া গ্রহণ ছাড়াই, আপনি গ্রহণ করুন... সবচেয়ে উদার অবতার, ভগবান চৈতন্য দ্বারা আপনাকে এটি দেওয়া হচ্ছে। তিনি আপনাকে প্রদান করছে, কৃষ্ণ-প্রেম-প্রদায়তে (চৈ.চ.মধ্য ১৯.৫৩) তিনি আপনাকে কৃষ্ণ প্রেম প্রদান করছেন। রূপ গোস্বামী ভগবান চৈতন্যকে তার প্রণাম নিবেদন করছেন, নমো মহাবদান্যায় কৃষ্ণ-প্রেম প্রদায়তে; "হে আমার প্রিয় পালনকর্তা চৈতন্য, তুমি সবথেকে উদার, দয়াময়, সমস্ত অবতারের মধ্যে। কেন? কারণ আপনি কৃষ্ণ প্রেম সরাসরি দান করছেন। কৃষ্ণের প্রেম যা অনেক জন্মের পরেও অর্জন করা যায় না, আপনি তা সস্তাভাবে বিতরণ করছেন, "অবিলম্বে তা গ্রহণ করুন।" নমো মহা-বদান্যায় কৃষ্ণ-প্রেম-প্রদায়তে কৃষ্ণায় কৃষ্ণ- চৈতন্য। তারা বুঝতে পারে যে "আপনি কৃষ্ণ"; অন্যথায় কৃষ্ণের ভালবাসা, কৃষ্ণ-প্রেম, এত সস্তাভাবে উপস্থাপন করা কারো দ্বারা সম্ভব নয়। "আপনি কৃষ্ণ, আপনার শক্তি আছে।" এবং আসলে তিনি আছেন। কৃষ্ণ নিজেই কৃষ্ণ প্রেম দিতে ব্যার্থ হয়েছেন, কৃষ্ণ-প্রেম, যখন তিনি ব্যক্তিগতভাবে এসেছেন এবং ভগবদ গীতা শিখিয়েছেন। তিনি কেবল বলেছিলেন, সর্ব-ধর্মান পরিত্যজ্য মাম একং শরণং ব্রজ (ভ.গী ১৮.৬৬)। কিন্তু মানুষ তাকে ভুল বোঝে। তাই কৃষ্ণ একজন ভক্ত রূপে এসেছিলেন এবং কৃষ্ণ প্রেম সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করেছেন। তাই আমাদের অনুরোধ হল প্রত্যেকে কৃষ্ণ ভাবনামৃত গ্রহণ করুন। এবং আপনি অনুভব করবেন যে "আমি আর কিছু চাই না, আর কিছুই না। আমি সন্তুষ্ট, সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট।" অনেক ধন্যবাদ।