BN/Prabhupada 0345 - প্রত্যেকের হৃদয়ে কৃষ্ণ বসে আছেন

Revision as of 06:49, 16 December 2021 by Soham (talk | contribs)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.15.1 -- New York, November 29, 1973

আমাদের মধ্যে সবাই কৃষ্ণের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত, এবং কৃষ্ণ সকলের হৃদয়ে বসে আছেন। কৃষ্ণ খুব দয়ালু, তিনি শুধু অপেক্ষা করছেন "কখন এই বদমাশেরা আমার দিকে মুখ ফেরাবে।" তিনি এতোই দয়ালু। কিন্তু আমরা জীব, আমরা এত বদমাশ, আমরা কৃষ্ণ ছাড়া সবকিছুর প্রতি আমাদের মুখ ঘুরাই। এটাই আমাদের অবস্থান। আমরা অনেক পরিকল্পনা করে সুখী হতে চাই। সবাই নিজের ধারণা পোষণ করছে, "এখন এটা ..." কিন্তু এই দুষ্টরা, তারা জানে না যে, সুখ পাওয়ার প্রকৃত প্রক্রিয়াটি কী, সেটা কৃষ্ণ। তারা জানে না। ন তে বিদু স্বার্থ গতিম্‌ হি বিষ্ণুং দুরাশয়া যে বহির অর্থ মানিন (শ্রী.ভা. ৭.৫.৩১) আপনারা আপনাদের দেশে দেখতে পাবেন, তারা অনেক কথা বলার চেষ্টা করে। এত আকাশ ছোঁয়া বাড়ী, অনেক মোটর গাড়ী, অনেক বড় বড় শহর, কিন্তু সেখানে কোন সুখ নেই। কারণ তারা জানে না কি অনুপস্থিত। আমরা প্রদান করছি সেই না জানা তথ্য, এই যে, "আপনি কৃষ্ণকে আপন করে নিন এবং আপনি খুশি হন।" এই হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনা। কৃষ্ণ এবং জীব, তারা খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যেমন পিতা ও পুত্রের মত, বনধু বা বনধু, অথবা মালিক ও চাকরের মতো। আমরা খুব ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। কিন্তু আমরা কৃষ্ণের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভুলে গেছি। এবং এই জড় জগতে সুখী হতে চেষ্টা করছি , তাই আমাদেরকে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। এই হচ্ছে অবস্থান, কৃষ্ণ ভুলিয়া

জীব ভোগ বাঞ্ছা করে। আমরা জীব, আমরা চেষ্টা করি এই জড় জগতে সুখী হতে। "কেন আপনি জড় জগতে আছেন, আধ্যাত্মিক জগতে কেন নয়?" আধ্যাত্মিক জগতে, কেউই ভোক্তা হতে পারে না। সেটা কেবল পরমেশ্বর ভগবান, ভোক্তারং যজ্ঞ তপসাং...(ভ.গী.৫.২৯) সেখানে কোন ভুল নেই। সেখানে জীব আছে, কিন্তু তারা স্পষ্টভাবে জানে যে আসল ভোক্তা, মালিক, কৃষ্ণ। এটা হচ্ছে আধ্যাত্মিক রাজ্য। একইভাবে, এই জড় সংসারেও, যদি আমরা পুরোপুরি ভালভাবে বুঝতে পারি যে আমরা ভোক্তা নই, কৃষ্ণ হচ্ছে ভোক্তা, তাহলে এই হচ্ছে আধ্যাত্মিক জগত। এই কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করছে, যে আমরা ভোক্তা নই, ভোক্তা হচ্ছেন কৃষ্ণ। যেমন, এই পুরো শরীরের ভোক্তা হচ্ছে পেট, এবং হাত এবং পা, চোখ, কান এবং মস্তিষ্ক এবং সবকিছু, এদের নিযুক্ত হওয়া উচিত আনন্দদায়ক জিনিস খুঁজে বার করা এবং পেটে খাবার যোগানো। এটিই স্বাভাবিক। এইভাবে, আমরা ভগবান অথবা কৃষ্ণের অংশ আমরা ভোক্তা নই।