BN/Prabhupada 0585 - একজন বৈষ্ণব অন্যকে দুঃখী দেখে নিজেও দুঃখী হন

Revision as of 07:04, 22 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 2.20 -- Hyderabad, November 25, 1972

এটা ভাবার কোন প্রশ্নই আসে না যে সূর্যগ্রহে কোন জীব বাস করে না ঐ গ্রহের উপযোগী দেহ অনুযায়ী জীব আছে ব্রহ্ম সংহিতা থেকে আমরা জানি যে কোটিষু অশেষ বসুধাদি বিভূতি ভিন্নম্‌ বসুধা মানে গ্রহ। প্রত্যেকটা ব্রহ্মাণ্ডে অসংখ্য গ্রহ আছে যস্য প্রভা প্রভবতো জগদণ্ড কোটিষু অশেষ বসুধাদি বিভূতি ভিন্নম্‌ (৫/৪০ ) এটি কেবল একটা ব্রহ্মাণ্ড মাত্র। এই রকম লক্ষ কোটি ব্রহ্মাণ্ড আছে যখন মহাপ্রভুর একজন ভক্ত মহাপ্রভুকে অনুরোধ করে "হে ভগবান, আপনি অবতীর্ণ হয়েছেন, দয়া করে সকলকে উদ্ধার করুন। আর যদি আপনি মনে করেন যে অত্যন্ত পাপী , এদের উদ্ধার করা যায় না তাহলে তাদের সব পাপ আমাকে দিন, আমি ভোগ করি, কিন্তু আপনি বরং এদের উদ্ধার করে দিন।" এই হচ্ছে বৈষ্ণবের দর্শন। বৈষ্ণব দর্শন মানে পর-দুঃখ-দুঃখী আসলে একজন বৈষ্ণব অন্যদের দুঃখ পেতে দেখলে নিজে দুঃখী হন ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোন দুঃখ নেই, কারণ তিনি শ্রীকৃষ্ণের সাথে যুক্ত। তিনি কীভাবে দুঃখী হতে পারেন? ব্যক্তিগতভাবে তাঁর কোন দুঃখ নেই, কিন্তু তিনি অন্য জীবদের দুঃখ পেতে দুঃখী দুঃখী হন পর-দুঃখ-দুঃখী এই কারণে বাসুদেব ঘোষ তিনি চৈতন্য মহাপ্রভুকে অনুরোধ করেছিলেন যে, "আপনি এইসব দুঃখী জীবদের উদ্ধার করুন আর যদি আপনি মনে করেন এরা অত্যন্ত পাপী এদের উদ্ধার করা যায় না তাহলে ওদের সব পাপ আমাকে দিন আমি দুঃখভোগ করব, আপনি এদের সবাইকে উদ্ধার করে নিন।" তাই ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁর এই কথা শুনে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছিলেন, এবং তিনি হেসে বললেন "এই ব্রহ্মাণ্ডে, এই ব্রহ্মাণ্ড একটি সর্ষেদানা ভর্তি ব্যাগে কেবল একটি সর্ষে দানার মতো, আমাদের কথাটি হচ্ছে যে অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ড আছে। কেবল তুলনা করে দেখ। তুমি একটি বড় সর্ষের বস্তা নিয়ে তা থেকে একটা একটা করে দানা তুলতে থাক সেই বস্তার তুলনায় একটা সর্ষে দানার কি আর মূল্যই বা আছে? তেমনই এই ব্রহ্মাণ্ডটিও তেমন। এইরকম অনেক অনেক ব্রহ্মাণ্ড আছে আধুনিক বিজ্ঞানীরা অন্য ব্রহ্মাণ্ডে যেতে চাইছে ওখানে যদি যেতেও পারে, তবুও বা তাতে কি কৃতিত্ব আছে? কোতিষু অশেষ বসুধাদি ভিন্নম্‌ কেউই এতোসব ব্রহ্মাণ্ডে যেতে পারবে না এমনকি যদি তাদের গণনা অনুযায়ী তারা যদি সর্বোচ্চ লোক ব্রহ্মলোকেও যেতে চায় এটি আলোকবর্ষের গণনায় চল্লিশ হাজার বছর লাগবে।

ভগবানের সৃষ্টিতে সবকিছুই অসংখ্য এটি আমাদের জ্ঞানের দ্বারা সীমাবদ্ধ নয় তাই অসংখ্য ব্রহ্মাণ্ড আছে, অসংখ্য গ্রহ আছে, অসংখ্য জীবও আছে আর তাদের সকলেই নিজ নিজ কর্ম অনুসারে ভ্রমণ করছে জন্ম এবং মৃত্যু মানে এক দেহ থেকে অন্য থেকে ভ্রমণ করা এই জন্মে আমি একটি পরিকল্পনা করছি এবং... কারণ সকলেই দেহাত্ম বুদ্ধিতে আছে আমরা যতদিন দেহাত্মবুদ্ধিতে থাকব ... "আমি ব্রাহ্মণ, আমি ক্ষত্রিয়, আমি বৈশ্য, আমি শুদ্র... " "আমি ভারতীয়, আমি আমেরিকান, আমি এটা সেটা" এগুলো সবই দেহাত্ম বুদ্ধির ধারণা আমি যতক্ষণ এই দেহাত্ম বুদ্ধির ধারণায় আছি , আমি মনে করছি "আমাকে এই এই কর্তব্য সম্পাদন করতে হবে। একজন ব্রাহ্মণ হিসেবে, এই এই করতে হবে" "আমেরিকান হিসেবে আমাকে এই এই কাজ করতে হবে" যতদিন পর্যন্ত আমাদের এই ধারণা থাকবে, আমাদেরকে আরেকটি দেহ নিতেই হবে এটিই প্রকৃতির নিয়ম পদ্ধতি... যতক্ষণ তা থাকবে...