BN/Prabhupada 0600 - আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই, এটিই হল আমাদের জড় রোগ: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0600 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1972 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0599 - कृष्ण भावनामृत इतना आसान नहीं है । जब तक अाप अपने आप को आत्मसमर्पण न|0599|HI/Prabhupada 0601 - चैत्य गुरु का मतलब है जो भीतर से विवेक और ज्ञान देता है|0601}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0599 - কৃষ্ণভাবনামৃত এতো সহজ নয়, তুমি শরণাগত না হলে তা পাবে না|0599|BN/Prabhupada 0601 - চৈত্যগুরু মানে যিনি অন্তর থেকে বিবেক এবং বুদ্ধি দান করেন|0601}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|YYOy4UyeD-I| আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই, এটিই হল আমাদের জড় রোগ<br />- Prabhupāda 0600}}
{{youtube_right|et4AfbKWev8| আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই, এটিই হল আমাদের জড় রোগ<br />- Prabhupāda 0600}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 32: Line 32:
সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, যেহেতু লোকেরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভুল বোঝে... শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন, "আমার কাছে শরণাগত হও"। তিনি কি করতে পারেন? তিনি তো ভগবান, তিনি শ্রীকৃষ্ণ। তিনি আপনার কাছে চাইছেন, আপনাকে আদেশ করছেন, "তুমি আত্মসমর্পণ কর, তাহলে আমি তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহম ত্বাং সর্ব পাপেভ্য ... কিন্তু তা সত্ত্বেও লোকেরা ভুল বুঝছে। "ওহ, আমি কেন শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করব। তিনি তো আমার মতই একজন মানুষ। হয়তো আমার চেয়ে কিছুটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে আমি কেন তার শরণাগত হব?" কারণ এখানে জড়রোগটি হল কেউই শরণাগত হতে চায় না। এখানে সকলেই অত্যন্ত গর্বস্ফীত। "আমি বড় কিছু একটা"। এটি হল জড় রোগ। সুতরাং এই জড় রোগ থেকে মুক্ত হতে হলে আপনাকে শরণাগত হতে হবে।  
সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, যেহেতু লোকেরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভুল বোঝে... শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন, "আমার কাছে শরণাগত হও"। তিনি কি করতে পারেন? তিনি তো ভগবান, তিনি শ্রীকৃষ্ণ। তিনি আপনার কাছে চাইছেন, আপনাকে আদেশ করছেন, "তুমি আত্মসমর্পণ কর, তাহলে আমি তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহম ত্বাং সর্ব পাপেভ্য ... কিন্তু তা সত্ত্বেও লোকেরা ভুল বুঝছে। "ওহ, আমি কেন শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করব। তিনি তো আমার মতই একজন মানুষ। হয়তো আমার চেয়ে কিছুটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে আমি কেন তার শরণাগত হব?" কারণ এখানে জড়রোগটি হল কেউই শরণাগত হতে চায় না। এখানে সকলেই অত্যন্ত গর্বস্ফীত। "আমি বড় কিছু একটা"। এটি হল জড় রোগ। সুতরাং এই জড় রোগ থেকে মুক্ত হতে হলে আপনাকে শরণাগত হতে হবে।  


তদবিদ্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া, উপদেক্ষন্ত্যি তে জ্ঞানং জ্ঞানীনস্তত্ত্ব-দর্শিনঃ ([[Vanisource:BG 4.34 (1972)|গীতা ৪.৩৪]])  
:তদবিদ্ধি প্রণিপাতেন  
 
:পরিপ্রশ্নেন সেবয়া,  
 
:উপদেক্ষন্ত্যি তে জ্ঞানং  
 
:জ্ঞানীনস্তত্ত্ব-দর্শিনঃ  
 
:([[Vanisource:BG 4.34 (1972)|গীতা ৪.৩৪]])  


সুতরাং যদি না তুমি শরণাগত হতে প্রস্তুত হও, বিষয়ী লোকদের জন্য এটি একটি বিশাল কঠিন কাজ। কেউই শরণাগত হতে চায় না। বরং সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। এককভাবে, ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে, পরিবারে-পরিবারে, জাতিতে-জাতিতে, সকলেই চায় প্রভু হতে। শরণাগতির প্রশ্নই কোথায়? শরণাগতির কোন প্রশ্নই নেই। সুতরাং এটিই হল রোগ। তাই শ্রীকৃষ্ণ দাবী করছেন যে এই বদমায়েশি থেকে বা এই চিররোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য তুমি শরণাগত হও। সর্ব-ধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৮.৬৬]]) "তাহলে? যদি আমি আত্মসমর্পণ করি, তাহলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে? আমার ব্যবসা, আমার কাজ, আমার পরিকল্পনা, এত্তো কিছু...?" না। "আমি তোমার দায়িত্ব গ্রহণ করব। আমিই তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্য মোক্ষয়স্যামি মা শুচঃ। "কোন দুশ্চিন্তা কোর না।" এতোটা নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই। এটিই হল আমাদের ভবরোগ। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আবার একজন ভক্তরূপে এসেছেন শুধুমাত্র এটি দেখাতে যে কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হতে হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। কৃষ্ণ-বর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্র-পার্ষদং ([[Vanisource:SB 11.5.32|শ্রীমদ্ভাগবত ১১.৫.৩২]])  
সুতরাং যদি না তুমি শরণাগত হতে প্রস্তুত হও, বিষয়ী লোকদের জন্য এটি একটি বিশাল কঠিন কাজ। কেউই শরণাগত হতে চায় না। বরং সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। এককভাবে, ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে, পরিবারে-পরিবারে, জাতিতে-জাতিতে, সকলেই চায় প্রভু হতে। শরণাগতির প্রশ্নই কোথায়? শরণাগতির কোন প্রশ্নই নেই। সুতরাং এটিই হল রোগ। তাই শ্রীকৃষ্ণ দাবী করছেন যে এই বদমায়েশি থেকে বা এই চিররোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য তুমি শরণাগত হও। সর্ব-ধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৮.৬৬]]) "তাহলে? যদি আমি আত্মসমর্পণ করি, তাহলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে? আমার ব্যবসা, আমার কাজ, আমার পরিকল্পনা, এত্তো কিছু...?" না। "আমি তোমার দায়িত্ব গ্রহণ করব। আমিই তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্য মোক্ষয়স্যামি মা শুচঃ। "কোন দুশ্চিন্তা কোর না।" এতোটা নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই। এটিই হল আমাদের ভবরোগ। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আবার একজন ভক্তরূপে এসেছেন শুধুমাত্র এটি দেখাতে যে কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হতে হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। কৃষ্ণ-বর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্র-পার্ষদং ([[Vanisource:SB 11.5.32|শ্রীমদ্ভাগবত ১১.৫.৩২]])  


সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক এবং অনুমোদিত। এটি মনোকল্পিত কোন মেকি বা বাজে জিনিস নয়। এটি বৈদিক নির্দেশের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ অনুমোদিত, শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন, সর্বধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮.৬৬]])। সুতরাং আমরা শুধুমাত্র এই দর্শনটিই শিক্ষা দিয়ে থাকি যে... শ্রীকৃষ্ণ, তিনি পরমেশ্বর ভগবান। আপনারা ভগবানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আপনারা জানেনই না ভগবান কি? ইনি হলেন ভগবান, শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর নাম, তাঁর কার্যকলাপ, এই সব কিছুই ভগবদ্গীতাতে বর্ণিত রয়েছে। আপনারা শুধু তাঁকে গ্রহণ করুন এবং তাঁর কাছে শরণাগত হন, এবং ঠিক যেমনটা শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদযাজী মাং নমস্কুরু ([[Vanisource:BG 18.65 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৮.৬৫]]) সুতরাং আমরাও সেই একই কথা বলছি। ঠিক যেমনটা ভগবদ্গীতাতে উল্লেখ করা রয়েছে। আমরা ভুল ব্যাখ্যা করি না। আমরা ভগবদ্গীতাটিকে নষ্ট করে দিই নি। আমরা এসব বদমায়েশি করি না। কখনও কখনও লোকেরা বলে, "স্বামীজী আপনি অসাধারণ একটি কাজ করেছেন।" কিন্তু এমন কি অসাধারণ? আমি কোন জাদুকর নই। আমার একমাত্র কৃতিত্ব হচ্ছে আমি ভগবদ্গীতার কদর্থ করি নি। আমি এটি যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। সেই জন্যই এটি সফল হয়েছে।  
সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক এবং অনুমোদিত। এটি মনোকল্পিত কোন মেকি বা বাজে জিনিস নয়। এটি বৈদিক নির্দেশের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ অনুমোদিত, শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন, সর্বধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ([[Vanisource:BG 18.66 (1972)|গীতা ১৮.৬৬]])। সুতরাং আমরা শুধুমাত্র এই দর্শনটিই শিক্ষা দিয়ে থাকি যে... শ্রীকৃষ্ণ, তিনি পরমেশ্বর ভগবান। আপনারা ভগবানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আপনারা জানেনই না ভগবান কি? ইনি হলেন ভগবান, শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর নাম, তাঁর কার্যকলাপ, এই সব কিছুই ভগবদ্গীতাতে বর্ণিত রয়েছে। আপনারা শুধু তাঁকে গ্রহণ করুন এবং তাঁর কাছে শরণাগত হন, এবং ঠিক যেমনটা শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদযাজী মাং নমস্কুরু ([[Vanisource:BG 18.65 (1972)|ভগবদ্গীতা ১৮.৬৫]]) সুতরাং আমরাও সেই একই কথা বলছি। ঠিক যেমনটা ভগবদ্গীতাতে উল্লেখ করা রয়েছে। আমরা ভুল ব্যাখ্যা করি না। আমরা ভগবদ্গীতাটিকে নষ্ট করে দিই নি। আমরা এসব বদমায়েশি করি না। কখনও কখনও লোকেরা বলে, "স্বামীজী আপনি অসাধারণ একটি কাজ করেছেন।" কিন্তু এমন কি অসাধারণ? আমি কোন জাদুকর নই। আমার একমাত্র কৃতিত্ব হচ্ছে আমি ভগবদ্গীতার কদর্থ করি নি। আমি এটি যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। সেই জন্যই এটি সফল হয়েছে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ।  
 
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:40, 4 June 2021



Lecture on BG 2.23 -- Hyderabad, November 27, 1972

সুতরাং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, যেহেতু লোকেরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভুল বোঝে... শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্গীতায় বলেছেন, "আমার কাছে শরণাগত হও"। তিনি কি করতে পারেন? তিনি তো ভগবান, তিনি শ্রীকৃষ্ণ। তিনি আপনার কাছে চাইছেন, আপনাকে আদেশ করছেন, "তুমি আত্মসমর্পণ কর, তাহলে আমি তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহম ত্বাং সর্ব পাপেভ্য ... কিন্তু তা সত্ত্বেও লোকেরা ভুল বুঝছে। "ওহ, আমি কেন শ্রীকৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করব। তিনি তো আমার মতই একজন মানুষ। হয়তো আমার চেয়ে কিছুটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে আমি কেন তার শরণাগত হব?" কারণ এখানে জড়রোগটি হল কেউই শরণাগত হতে চায় না। এখানে সকলেই অত্যন্ত গর্বস্ফীত। "আমি বড় কিছু একটা"। এটি হল জড় রোগ। সুতরাং এই জড় রোগ থেকে মুক্ত হতে হলে আপনাকে শরণাগত হতে হবে।

তদবিদ্ধি প্রণিপাতেন
পরিপ্রশ্নেন সেবয়া,
উপদেক্ষন্ত্যি তে জ্ঞানং
জ্ঞানীনস্তত্ত্ব-দর্শিনঃ
(গীতা ৪.৩৪)

সুতরাং যদি না তুমি শরণাগত হতে প্রস্তুত হও, বিষয়ী লোকদের জন্য এটি একটি বিশাল কঠিন কাজ। কেউই শরণাগত হতে চায় না। বরং সে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। এককভাবে, ব্যক্তিতে-ব্যক্তিতে, পরিবারে-পরিবারে, জাতিতে-জাতিতে, সকলেই চায় প্রভু হতে। শরণাগতির প্রশ্নই কোথায়? শরণাগতির কোন প্রশ্নই নেই। সুতরাং এটিই হল রোগ। তাই শ্রীকৃষ্ণ দাবী করছেন যে এই বদমায়েশি থেকে বা এই চিররোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য তুমি শরণাগত হও। সর্ব-ধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ (ভগবদ্গীতা ১৮.৬৬) "তাহলে? যদি আমি আত্মসমর্পণ করি, তাহলে সবকিছু ব্যর্থ হয়ে যাবে? আমার ব্যবসা, আমার কাজ, আমার পরিকল্পনা, এত্তো কিছু...?" না। "আমি তোমার দায়িত্ব গ্রহণ করব। আমিই তোমার সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করব।" অহং ত্বাং সর্ব পাপেভ্য মোক্ষয়স্যামি মা শুচঃ। "কোন দুশ্চিন্তা কোর না।" এতোটা নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা শরণাগত হতে প্রস্তুত নই। এটিই হল আমাদের ভবরোগ। সুতরাং শ্রীকৃষ্ণ আবার একজন ভক্তরূপে এসেছেন শুধুমাত্র এটি দেখাতে যে কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের শরণাগত হতে হয়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। কৃষ্ণ-বর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্র-পার্ষদং (শ্রীমদ্ভাগবত ১১.৫.৩২)

সুতরাং এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনটি অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক এবং অনুমোদিত। এটি মনোকল্পিত কোন মেকি বা বাজে জিনিস নয়। এটি বৈদিক নির্দেশের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ অনুমোদিত, শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন, সর্বধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ (গীতা ১৮.৬৬)। সুতরাং আমরা শুধুমাত্র এই দর্শনটিই শিক্ষা দিয়ে থাকি যে... শ্রীকৃষ্ণ, তিনি পরমেশ্বর ভগবান। আপনারা ভগবানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আপনারা জানেনই না ভগবান কি? ইনি হলেন ভগবান, শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর নাম, তাঁর কার্যকলাপ, এই সব কিছুই ভগবদ্গীতাতে বর্ণিত রয়েছে। আপনারা শুধু তাঁকে গ্রহণ করুন এবং তাঁর কাছে শরণাগত হন, এবং ঠিক যেমনটা শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, মন্মনা ভব মদ্ভক্ত মদযাজী মাং নমস্কুরু (ভগবদ্গীতা ১৮.৬৫) সুতরাং আমরাও সেই একই কথা বলছি। ঠিক যেমনটা ভগবদ্গীতাতে উল্লেখ করা রয়েছে। আমরা ভুল ব্যাখ্যা করি না। আমরা ভগবদ্গীতাটিকে নষ্ট করে দিই নি। আমরা এসব বদমায়েশি করি না। কখনও কখনও লোকেরা বলে, "স্বামীজী আপনি অসাধারণ একটি কাজ করেছেন।" কিন্তু এমন কি অসাধারণ? আমি কোন জাদুকর নই। আমার একমাত্র কৃতিত্ব হচ্ছে আমি ভগবদ্গীতার কদর্থ করি নি। আমি এটি যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছি। সেই জন্যই এটি সফল হয়েছে। আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। হরে কৃষ্ণ।