BN/Prabhupada 0603 - এই মৃদঙ্গ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0603 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1974 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|Hindi|HI/Prabhupada 0602 -पिता परिवार के नेता हैं|0602|HI/Prabhupada 0604 - अगर मैंने जारी रखा, कृष्ण दिव्य मंच पर मुझे रखने की कृपा करेंगे|0604}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0602 -পিতা হলেন পরিবাবের নেতা|0602|BN/Prabhupada 0604 - যদি আমি চালিয়ে যাই তাহলে শ্রীকৃষ্ণ আমাদের দিব্য স্তরে উন্নীত করবেন|0604}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 18: Line 18:


<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
<!-- BEGIN VIDEO LINK -->
{{youtube_right|-akyf7iDE6s|এই মৃদঙ্গ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে<br/> - Prabhupāda 060}}
{{youtube_right|Ay3zDiDYObc|এই মৃদঙ্গ প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে<br/> - Prabhupāda 060}}
<!-- END VIDEO LINK -->
<!-- END VIDEO LINK -->


Line 30: Line 30:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT (from DotSub) -->
যমরাজের কাজ হল এটি দেখা যে এই জীবটি কি পরিমাণ পাপী এবং সেই অনুযায়ী তাকে একটি দেহ দেয়া। কর্মণা দৈব নেত্রেণ ([[Vanisource:SB 3.31.1|ভাগবত ৩.৩.১.১]])। মৃত্যুর পর আপনার বিচার হবে। আমাদের প্রত্যেকের-ই। অবশ্যই যদি কেউ কৃষ্ণভাবনামৃতের পন্থা অবলম্বন করেন, তবে পন্থাটি স্বয়ংক্রিয়। স্বাভাবিকভাবেই কেউ তার প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাবে। বিচারের কোনও প্রশ্নই আসে না। বিচার সেই সব অপরাধী, দুষ্কৃতকারীদের জন্য যারা কৃষ্ণ ভাবনাময় নয়। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় হন, এমনকি যদি আপনি এক জীবনে কার্যসিদ্ধি করতে নাও পারেন, যদি আপনার পতনও হয়, তা সত্ত্বেও, আপনাকে আরেকবার মনুষ্যজীবনের সুযোগ দেয়া হবে, যাতে করে আপনি যেখানে শেষ করেছিলেন, যেখানে পতন হয়েছিল সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারেন। এটি হল... সুতরাং স্বল্পমপি অস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ যদি আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করেছেন, তো খুব নিষ্ঠাসহকারে তা পালন করার চেষ্টা করুন, অর্থাৎ বিধি-নিষেধগুলো পালন করুন এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কারুন। ব্যাস্। পাঁচটি জিনিস। কোন অবৈধ যৌনসঙ্গ নয়, কোন দ্যুতক্রীড়া নয়, কোন আমিষাহার নয়... আমরা যৌনসঙ্গ নিষেধ করি না, কিন্তু অবৈধ যৌনতা পাপ। গর্হিত পাপ। দুর্ভাগ্যবশত ওরা এতোই বদমাশ যে একজনের সঙ্গে যৌনসঙ্গের পর আরেক জন, তারপর আরেক জন, আরেক জন... এটি মায়ার মোহময়ী প্রভাব। কিন্তু যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণেই দৃঢ় থাকেন... মামেব যে প্রপদ্যতে মায়ামেতাং তরন্তি তে ([[Vanisource:BG 7.14 (1972)|গীতা ৭.১৪]]) যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণকমল অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে না। কিন্তু যদি আপনি তথাকথিত ব্রহ্মচারী, তথাকথিত গৃহস্থ, তথাকথিত সন্ন্যাসী হওয়ার অভিনয় করেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে। আমরা সেই অভিজ্ঞতাটি পাচ্ছি। তখন আপনার নিশ্চয়ই পতন হবে। শ্রীকৃষ্ণ একজন ধারাবাহিক অপরাধী, কপট ভক্তকে সহ্য করবেন না। মায়া খুবই শক্তিশালী।তৎক্ষণাৎ তাকে গ্রাস করে নেবেঃ "চলে এস।তুমি এখানে কি করছ? কেন তুমি এই সংস্থায় রয়েছ? বেরিয়ে যাও।" এটি হল যমরাজের কাজ। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় থাকুন, যমরাজ আপনাকে স্পর্শও করবে না। ঠিক যেই মুহুর্তে আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত শুরু করছেন, আপনার মৃত্যু তখনই প্রতিহত হয়ে গেল। আপনার মৃত্যু প্রতিহত হয়ে গেল। কেউই মরতে প্রস্তুত নয়। সেটিই বাস্তব সত্য। আপনি বলতে পারেন, আমি বলতে পারি, "না, আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।" সেটি আরেক ধরণের বদমায়েশি। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায়, কেউই মরতে চায় না। সেটিই সত্যি। কিন্তু যদি আপনি এই ব্যাপারে ঐকান্তিক হন যে, "আমি এই মৃত্যুর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে চাই," তাহলে সেটি হল কৃষ্ণভাবনামৃত। সেজন্য উপদেশ দেয়া হয়েছে, অহো নৃ-লোকে পীয়েত হরি-লীলামৃতং বাচাঃ "হে মানবকুল, তোমরা এই দুর্লভ শরীর লাভ করেছ। অনবরত কৃষ্ণ-কথামৃত পান করতে থাকো।" এই উপদেশটি দেয়া হয়েছে, "অহো নৃ-লোকে" এই মানবসমাজে। এটি কোন কুকুরসমাজ বা বেড়ালসমাজের উদ্দেশ্যে বলা হয় নি। তারা এটি করতে পারে না। তারা এটি করার সামর্থ্য নেই। তাই 'নৃলোকে' কথাটি বলা হয়েছে। নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে। পঞ্চম স্কন্ধের আরেকটি শ্লোকেঃ নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে, কষ্টান্ কামান্ অর্হতে বিড-ভুজাং যে ([[Vanisource:SB 5.5.1|ভাগবত ৫.৫.১]]) এসব কথা ভাগবতে উল্লেখ করা হয়েছে। কোন তুলনাই হয় না। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে শ্রীমদ্ভাগবতের সমান আর কোন গ্রন্থ হয় না। কোন তুলনাই হয় না। কোন তুলনা নেই। এখানকার প্রত্যেকটি শব্দ মানব সমাজের কল্যাণের জন্য। প্রত্যেকটি শব্দ, প্রতিটি শব্দ। তাই আমরা গ্রন্থ বিতরণের ওপর এতো জোর দিই। যে কোনভাবেই হোক, যদি একটি গ্রন্থও কারও হাতে যায়, তাহলে সেই-ই উপকৃত হবে। কমপক্ষে সে এটি বিচার করবে যে, "ওহ্ ওরা এতো দাম নিল।একটু দেখাই যাক না, এই গ্রন্থে কি রয়েছে।" যদি সে একটি শ্লোকও পড়ে, তবু তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। একটি শ্লোক, একটি শব্দ। এটি এতোটাই অপূর্ব। সেজন্য আমরা এতো জোর দিচ্ছি, "দয়া করে গ্রন্থ বিতরণ কর, গ্রন্থ বিতরণ কর।" একটি বৃহৎ মৃদঙ্গ। আমরা কীর্তন করছি, মৃদঙ্গ বাজাচ্ছি। এটি একটি কক্ষেই বা তার চেয়ে একটু দূর থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই মৃদঙ্গ বাড়ি-বাড়ি যাবে, দেশে দেশে যাবে, সমাজে সমাজে যাবে। সুতরাং মানব সমাজের জন্য উপদেশ। নৃলোকে মানে মানবদেহ, মানব সমাজে। আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি না যে "এটি মার্কিন সমাজ" অথবা "এটি ইউরোপীয় সমাজ", এটি ভারতীয় সমাজ... না, সমগ্র মানব সমাজ। সমস্ত মানুষেরা। সে কোন ধরণের তা কোন ব্যাপার নয়। সমস্ত মানুষেরা। সভ্য মানুষদের কি কথা, এমন কি অসভ্য মানুষ, অনার্যেরাও। তাদের কথাও শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ ([[Vanisource:SB 2.4.18|ভাগবত ২.৪.১৮]]) এই নামগুলো সেখানে রয়েছে। কিরাত মানে কৃষ্ণাঙ্গ, আফ্রিকার লোকেরা। তাদের কিরাত বলা হয়। কিরাত-হুণ-আন্ধ্রা। হুণ, উত্তর মেরুর জাতি বা সমাজসমূহ, রাশিয়ান, জার্মানদের ঊর্ধে, তাদের হুণ বলা হয়। এতো পরিমাণে রয়েছে যে আমরা জানি না। খসাদয়ঃ, মঙ্গোলিয়ানরা। খসাদয়ঃ মানে সে সমস্ত লোকেরা যাদের দাঁড়ি-গোঁফ খুব একটা বাড়ে না, এই মঙ্গোলীয় জাতিরা। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ যবন, ম্লেচ্ছেরা, যবন মানে মুসলমান এবং এরকম অন্যেরা। তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নৃলোকে। কারণ এটি নৃলোক। সকল মানুষেরা। ওপর থেকে, বাহ্যিকভাবে, অমুক জাতি অমুক জাতি থেকে উন্নত হতে পারে। সেটি সত্যি। আর্য এবং অনার্যেরা। বিভাগ রয়েছেঃ সভ্য-অসভ্য, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিষ্ট-অশিষ্ট, কালো-সাদা; এই-সেই। এসব রয়েছে... এগুলো বাহ্যিক... কিন্তু সেটি দেহগত পার্থক্য।  
যমরাজের কাজ হল এটি দেখা যে এই জীবটি কি পরিমাণ পাপী এবং সেই অনুযায়ী তাকে একটি দেহ দেয়া। কর্মণা দৈব নেত্রেণ ([[Vanisource:SB 3.31.1|ভাগবত ৩.৩.১.১]])। মৃত্যুর পর আপনার বিচার হবে। আমাদের প্রত্যেকের-ই। অবশ্যই যদি কেউ কৃষ্ণভাবনামৃতের পন্থা অবলম্বন করেন, তবে পন্থাটি স্বয়ংক্রিয়। স্বাভাবিকভাবেই কেউ তার প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাবে। বিচারের কোনও প্রশ্নই আসে না। বিচার সেই সব অপরাধী, দুষ্কৃতকারীদের জন্য যারা কৃষ্ণ ভাবনাময় নয়। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় হন, এমনকি যদি আপনি এক জীবনে কার্যসিদ্ধি করতে নাও পারেন, যদি আপনার পতনও হয়, তা সত্ত্বেও, আপনাকে আরেকবার মনুষ্যজীবনের সুযোগ দেয়া হবে, যাতে করে আপনি যেখানে শেষ করেছিলেন, যেখানে পতন হয়েছিল সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারেন। এটি হল...  
 
সুতরাং স্বল্পমপি অস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ ([[Vanisource:BG 2.40 (1972)|BG 2.40]]) যদি আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করেছেন, তো খুব নিষ্ঠাসহকারে তা পালন করার চেষ্টা করুন, অর্থাৎ বিধি-নিষেধগুলো পালন করুন এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কারুন। ব্যাস্। পাঁচটি জিনিস। কোন অবৈধ যৌনসঙ্গ নয়, কোন দ্যুতক্রীড়া নয়, কোন আমিষাহার নয়... আমরা যৌনসঙ্গ নিষেধ করি না, কিন্তু অবৈধ যৌনতা পাপ। গর্হিত পাপ। দুর্ভাগ্যবশত ওরা এতোই বদমাশ যে একজনের সঙ্গে যৌনসঙ্গের পর আরেক জন, তারপর আরেক জন, আরেক জন... এটি মায়ার মোহময়ী প্রভাব। কিন্তু যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণেই দৃঢ় থাকেন... মামেব যে প্রপদ্যতে মায়ামেতাং তরন্তি তে ([[Vanisource:BG 7.14 (1972)|গীতা ৭.১৪]]) যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণকমল অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে না। কিন্তু যদি আপনি তথাকথিত ব্রহ্মচারী, তথাকথিত গৃহস্থ, তথাকথিত সন্ন্যাসী হওয়ার অভিনয় করেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে। আমরা সেই অভিজ্ঞতাটি পাচ্ছি। তখন আপনার নিশ্চয়ই পতন হবে। শ্রীকৃষ্ণ একজন ধারাবাহিক অপরাধী, কপট ভক্তকে সহ্য করবেন না। মায়া খুবই শক্তিশালী।তৎক্ষণাৎ তাকে গ্রাস করে নেবেঃ "চলে এস।তুমি এখানে কি করছ? কেন তুমি এই সংস্থায় রয়েছ? বেরিয়ে যাও।" এটি হল যমরাজের কাজ। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় থাকুন, যমরাজ আপনাকে স্পর্শও করবে না। ঠিক যেই মুহুর্তে আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত শুরু করছেন, আপনার মৃত্যু তখনই প্রতিহত হয়ে গেল। আপনার মৃত্যু প্রতিহত হয়ে গেল। কেউই মরতে প্রস্তুত নয়। সেটিই বাস্তব সত্য। আপনি বলতে পারেন, আমি বলতে পারি, "না, আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।" সেটি আরেক ধরণের বদমায়েশি। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায়, কেউই মরতে চায় না। সেটিই সত্যি। কিন্তু যদি আপনি এই ব্যাপারে ঐকান্তিক হন যে, "আমি এই মৃত্যুর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে চাই," তাহলে সেটি হল কৃষ্ণভাবনামৃত।  
 
সেজন্য উপদেশ দেয়া হয়েছে, অহো নৃ-লোকে পীয়েত হরি-লীলামৃতং বাচাঃ ([[Vanisource:SB 1.16.8|ভাগবত 1.16.8]]) "হে মানবকুল, তোমরা এই দুর্লভ শরীর লাভ করেছ। অনবরত কৃষ্ণ-কথামৃত পান করতে থাকো।" এই উপদেশটি দেয়া হয়েছে, "অহো নৃ-লোকে" এই মানবসমাজে। এটি কোন কুকুরসমাজ বা বেড়ালসমাজের উদ্দেশ্যে বলা হয় নি। তারা এটি করতে পারে না। তারা এটি করার সামর্থ্য নেই। তাই 'নৃলোকে' কথাটি বলা হয়েছে। নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে। পঞ্চম স্কন্ধের আরেকটি শ্লোকেঃ নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে, কষ্টান্ কামান্ অর্হতে বিড-ভুজাং যে ([[Vanisource:SB 5.5.1|ভাগবত ৫.৫.১]]) এসব কথা ভাগবতে উল্লেখ করা হয়েছে। কোন তুলনাই হয় না। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে শ্রীমদ্ভাগবতের সমান আর কোন গ্রন্থ হয় না। কোন তুলনাই হয় না। কোন তুলনা নেই। এখানকার প্রত্যেকটি শব্দ মানব সমাজের কল্যাণের জন্য। প্রত্যেকটি শব্দ, প্রতিটি শব্দ। তাই আমরা গ্রন্থ বিতরণের ওপর এতো জোর দিই। যে কোনভাবেই হোক, যদি একটি গ্রন্থও কারও হাতে যায়, তাহলে সেই-ই উপকৃত হবে। কমপক্ষে সে এটি বিচার করবে যে, "ওহ্ ওরা এতো দাম নিল।একটু দেখাই যাক না, এই গ্রন্থে কি রয়েছে।" যদি সে একটি শ্লোকও পড়ে, তবু তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। একটি শ্লোক, একটি শব্দ। এটি এতোটাই অপূর্ব। সেজন্য আমরা এতো জোর দিচ্ছি, "দয়া করে গ্রন্থ বিতরণ কর, গ্রন্থ বিতরণ কর।" একটি বৃহৎ মৃদঙ্গ। আমরা কীর্তন করছি, মৃদঙ্গ বাজাচ্ছি। এটি একটি কক্ষেই বা তার চেয়ে একটু দূর থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই মৃদঙ্গ বাড়ি-বাড়ি যাবে, দেশে দেশে যাবে, সমাজে সমাজে যাবে। সুতরাং মানব সমাজের জন্য উপদেশ। নৃলোকে মানে মানবদেহ, মানব সমাজে। আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি না যে "এটি মার্কিন সমাজ" অথবা "এটি ইউরোপীয় সমাজ", এটি ভারতীয় সমাজ... না, সমগ্র মানব সমাজ। সমস্ত মানুষেরা। সে কোন ধরণের তা কোন ব্যাপার নয়। সমস্ত মানুষেরা। সভ্য মানুষদের কি কথা, এমন কি অসভ্য মানুষ, অনার্যেরাও। তাদের কথাও শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ (ভাগবত ২.৪.১৮) এই নামগুলো সেখানে রয়েছে। কিরাত মানে কৃষ্ণাঙ্গ, আফ্রিকার লোকেরা। তাদের কিরাত বলা হয়। কিরাত-হুণ-আন্ধ্রা। হুণ, উত্তর মেরুর জাতি বা সমাজসমূহ, রাশিয়ান, জার্মানদের ঊর্ধে, তাদের হুণ বলা হয়। এতো পরিমাণে রয়েছে যে আমরা জানি না। খসাদয়ঃ, মঙ্গোলিয়ানরা। খসাদয়ঃ মানে সে সমস্ত লোকেরা যাদের দাঁড়ি-গোঁফ খুব একটা বাড়ে না, এই মঙ্গোলীয় জাতিরা। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ যবন, ম্লেচ্ছেরা, যবন মানে মুসলমান এবং এরকম অন্যেরা। তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নৃলোকে। কারণ এটি নৃলোক। সকল মানুষেরা। ওপর থেকে, বাহ্যিকভাবে, অমুক জাতি অমুক জাতি থেকে উন্নত হতে পারে। সেটি সত্যি। আর্য এবং অনার্যেরা। বিভাগ রয়েছেঃ সভ্য-অসভ্য, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিষ্ট-অশিষ্ট, কালো-সাদা; এই-সেই। এসব রয়েছে... এগুলো বাহ্যিক... কিন্তু সেটি দেহগত পার্থক্য।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 17:05, 29 June 2021



Lecture on SB 1.16.8 -- Los Angeles, January 5, 1974

যমরাজের কাজ হল এটি দেখা যে এই জীবটি কি পরিমাণ পাপী এবং সেই অনুযায়ী তাকে একটি দেহ দেয়া। কর্মণা দৈব নেত্রেণ (ভাগবত ৩.৩.১.১)। মৃত্যুর পর আপনার বিচার হবে। আমাদের প্রত্যেকের-ই। অবশ্যই যদি কেউ কৃষ্ণভাবনামৃতের পন্থা অবলম্বন করেন, তবে পন্থাটি স্বয়ংক্রিয়। স্বাভাবিকভাবেই কেউ তার প্রকৃত আলয় ভগবদ্ধামে ফিরে যাবে। বিচারের কোনও প্রশ্নই আসে না। বিচার সেই সব অপরাধী, দুষ্কৃতকারীদের জন্য যারা কৃষ্ণ ভাবনাময় নয়। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় হন, এমনকি যদি আপনি এক জীবনে কার্যসিদ্ধি করতে নাও পারেন, যদি আপনার পতনও হয়, তা সত্ত্বেও, আপনাকে আরেকবার মনুষ্যজীবনের সুযোগ দেয়া হবে, যাতে করে আপনি যেখানে শেষ করেছিলেন, যেখানে পতন হয়েছিল সেখান থেকে আবার শুরু করতে পারেন। এটি হল...

সুতরাং স্বল্পমপি অস্য ধর্মস্য ত্রায়তে মহতো ভয়াৎ (BG 2.40) যদি আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করেছেন, তো খুব নিষ্ঠাসহকারে তা পালন করার চেষ্টা করুন, অর্থাৎ বিধি-নিষেধগুলো পালন করুন এবং হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ কারুন। ব্যাস্। পাঁচটি জিনিস। কোন অবৈধ যৌনসঙ্গ নয়, কোন দ্যুতক্রীড়া নয়, কোন আমিষাহার নয়... আমরা যৌনসঙ্গ নিষেধ করি না, কিন্তু অবৈধ যৌনতা পাপ। গর্হিত পাপ। দুর্ভাগ্যবশত ওরা এতোই বদমাশ যে একজনের সঙ্গে যৌনসঙ্গের পর আরেক জন, তারপর আরেক জন, আরেক জন... এটি মায়ার মোহময়ী প্রভাব। কিন্তু যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণেই দৃঢ় থাকেন... মামেব যে প্রপদ্যতে মায়ামেতাং তরন্তি তে (গীতা ৭.১৪) যদি আপনি শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণকমল অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে না। কিন্তু যদি আপনি তথাকথিত ব্রহ্মচারী, তথাকথিত গৃহস্থ, তথাকথিত সন্ন্যাসী হওয়ার অভিনয় করেন, তাহলে আপনার অধঃপতন হবে। আমরা সেই অভিজ্ঞতাটি পাচ্ছি। তখন আপনার নিশ্চয়ই পতন হবে। শ্রীকৃষ্ণ একজন ধারাবাহিক অপরাধী, কপট ভক্তকে সহ্য করবেন না। মায়া খুবই শক্তিশালী।তৎক্ষণাৎ তাকে গ্রাস করে নেবেঃ "চলে এস।তুমি এখানে কি করছ? কেন তুমি এই সংস্থায় রয়েছ? বেরিয়ে যাও।" এটি হল যমরাজের কাজ। কিন্তু যদি আপনি কৃষ্ণভাবনাময় থাকুন, যমরাজ আপনাকে স্পর্শও করবে না। ঠিক যেই মুহুর্তে আপনি কৃষ্ণভাবনামৃত শুরু করছেন, আপনার মৃত্যু তখনই প্রতিহত হয়ে গেল। আপনার মৃত্যু প্রতিহত হয়ে গেল। কেউই মরতে প্রস্তুত নয়। সেটিই বাস্তব সত্য। আপনি বলতে পারেন, আমি বলতে পারি, "না, আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না।" সেটি আরেক ধরণের বদমায়েশি। সবাই মৃত্যুকে ভয় পায়, কেউই মরতে চায় না। সেটিই সত্যি। কিন্তু যদি আপনি এই ব্যাপারে ঐকান্তিক হন যে, "আমি এই মৃত্যুর প্রক্রিয়াকে বন্ধ করতে চাই," তাহলে সেটি হল কৃষ্ণভাবনামৃত।

সেজন্য উপদেশ দেয়া হয়েছে, অহো নৃ-লোকে পীয়েত হরি-লীলামৃতং বাচাঃ (ভাগবত 1.16.8) "হে মানবকুল, তোমরা এই দুর্লভ শরীর লাভ করেছ। অনবরত কৃষ্ণ-কথামৃত পান করতে থাকো।" এই উপদেশটি দেয়া হয়েছে, "অহো নৃ-লোকে" এই মানবসমাজে। এটি কোন কুকুরসমাজ বা বেড়ালসমাজের উদ্দেশ্যে বলা হয় নি। তারা এটি করতে পারে না। তারা এটি করার সামর্থ্য নেই। তাই 'নৃলোকে' কথাটি বলা হয়েছে। নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে। পঞ্চম স্কন্ধের আরেকটি শ্লোকেঃ নায়ং দেহো দেহভাজাং নৃলোকে, কষ্টান্ কামান্ অর্হতে বিড-ভুজাং যে (ভাগবত ৫.৫.১) এসব কথা ভাগবতে উল্লেখ করা হয়েছে। কোন তুলনাই হয় না। সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডে শ্রীমদ্ভাগবতের সমান আর কোন গ্রন্থ হয় না। কোন তুলনাই হয় না। কোন তুলনা নেই। এখানকার প্রত্যেকটি শব্দ মানব সমাজের কল্যাণের জন্য। প্রত্যেকটি শব্দ, প্রতিটি শব্দ। তাই আমরা গ্রন্থ বিতরণের ওপর এতো জোর দিই। যে কোনভাবেই হোক, যদি একটি গ্রন্থও কারও হাতে যায়, তাহলে সেই-ই উপকৃত হবে। কমপক্ষে সে এটি বিচার করবে যে, "ওহ্ ওরা এতো দাম নিল।একটু দেখাই যাক না, এই গ্রন্থে কি রয়েছে।" যদি সে একটি শ্লোকও পড়ে, তবু তার জীবন ধন্য হয়ে যাবে। একটি শ্লোক, একটি শব্দ। এটি এতোটাই অপূর্ব। সেজন্য আমরা এতো জোর দিচ্ছি, "দয়া করে গ্রন্থ বিতরণ কর, গ্রন্থ বিতরণ কর।" একটি বৃহৎ মৃদঙ্গ। আমরা কীর্তন করছি, মৃদঙ্গ বাজাচ্ছি। এটি একটি কক্ষেই বা তার চেয়ে একটু দূর থেকে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই মৃদঙ্গ বাড়ি-বাড়ি যাবে, দেশে দেশে যাবে, সমাজে সমাজে যাবে। সুতরাং মানব সমাজের জন্য উপদেশ। নৃলোকে মানে মানবদেহ, মানব সমাজে। আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি না যে "এটি মার্কিন সমাজ" অথবা "এটি ইউরোপীয় সমাজ", এটি ভারতীয় সমাজ... না, সমগ্র মানব সমাজ। সমস্ত মানুষেরা। সে কোন ধরণের তা কোন ব্যাপার নয়। সমস্ত মানুষেরা। সভ্য মানুষদের কি কথা, এমন কি অসভ্য মানুষ, অনার্যেরাও। তাদের কথাও শ্রীমদ্ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ (ভাগবত ২.৪.১৮) এই নামগুলো সেখানে রয়েছে। কিরাত মানে কৃষ্ণাঙ্গ, আফ্রিকার লোকেরা। তাদের কিরাত বলা হয়। কিরাত-হুণ-আন্ধ্রা। হুণ, উত্তর মেরুর জাতি বা সমাজসমূহ, রাশিয়ান, জার্মানদের ঊর্ধে, তাদের হুণ বলা হয়। এতো পরিমাণে রয়েছে যে আমরা জানি না। খসাদয়ঃ, মঙ্গোলিয়ানরা। খসাদয়ঃ মানে সে সমস্ত লোকেরা যাদের দাঁড়ি-গোঁফ খুব একটা বাড়ে না, এই মঙ্গোলীয় জাতিরা। কিরাত-হুনান্ধ্র-পুলিন্দ-পুল্কশ আভীর-শুম্ভ যবনঃ খসাদয়ঃ যবন, ম্লেচ্ছেরা, যবন মানে মুসলমান এবং এরকম অন্যেরা। তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নৃলোকে। কারণ এটি নৃলোক। সকল মানুষেরা। ওপর থেকে, বাহ্যিকভাবে, অমুক জাতি অমুক জাতি থেকে উন্নত হতে পারে। সেটি সত্যি। আর্য এবং অনার্যেরা। বিভাগ রয়েছেঃ সভ্য-অসভ্য, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, শিষ্ট-অশিষ্ট, কালো-সাদা; এই-সেই। এসব রয়েছে... এগুলো বাহ্যিক... কিন্তু সেটি দেহগত পার্থক্য।