BN/Prabhupada 0669 - মনকে ঠিক করা মানে হচ্ছে মনকে শ্রীকৃষ্ণে নিবদ্ধ করা

Revision as of 17:26, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 6.16-24 -- Los Angeles, February 17, 1969

ভক্তঃ শ্লোক সংখ্যা ১৭ঃ "যিনি তার আহার, বিহার, নিদ্রা, ও কর্ম পরিমিত ভাবে সম্পাদন করেন তিনি যোগানুশীলনের দ্বারা সকল জড় দুঃখ দুর্দশার প্রশমন করতে পারেন (গীতা ৬/১৭)

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। তোমাকে কেবল... ঐ সব তথাকথিত যোগ ক্লাসে অংশ নেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। শরীরের মেদভুঁড়ি ঝরানোর জন্য পাঁচ টাকা বা পাঁচ ডলার দাও, শরীর ঠিক রাখ, ইত্যাদি ইত্যাদি। কেবল এই পন্থাটি অনুশীলন কর। যতটা দরকার খাও, যতটুকু ঘুম দরকার কেবল ততটুকুই ঘুমাও। তোমার স্বাস্থ্য দারুন থাকবে। বাইরের কোন অতিরিক্ত সাহায্যের দরকারই পড়বে না। কেবল এটি অনুশীলন করলেই তোমার সবকিছুই ঠিক থাকবে। পড়তে থাকো।

ভক্তঃ শ্লোক সংখ্যা ১৮ , "যখন যোগী যোগ অনুশীলনের মাধ্যমে তার মনের গতিবিধিকে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত হন, সমস্ত জড় বাসনা থেকে মুক্ত হন, তিনিই যোগারুঢ় হয়েছেন। (গীতা ৬/১৮)

শ্রীল প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। মনকে প্রশান্ত রাখার জন্য। সেটিই হচ্ছে যোগের সিদ্ধি। মনকে... তুমি কিভাবে সেটি করবে? যদি তুমি... জড় স্তরে তুমি তোমার মনকে কখনই সাম্যাবস্থায় রাখতে পারবে না। তা সম্ভব নয়। এই ভগবদগীতাকেই উদাহরণ হিসেবে নাও। যদি তুমি প্রতিদিন চারবার করেও পড়, তোমার ক্লান্তিবোধ হবে না । কিন্তু অন্য যে কোন বই না, এক ঘণ্টা পড়ার পরই তুমি ক্লান্ত হয়ে যাবে। এই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র তুমি সারাদিন রাত জপ করতে পার, তুমি কখনই ক্লান্ত হবে না। কিন্তু অন্য যে কোনও একটি নাম করতে শুরু কর, কেবল আধা ঘণ্টার মধ্যেই শেষ। বিরক্তি এসে যাবে। দেখলে? তাই মনকে নিয়ন্ত্রণ করা মানে মনকে শ্রীকৃষ্ণে নিবদ্ধ করা। তাহলেই সব ধরণের যোগ করা হয়ে গেল। তুমি একজন আদর্শ যোগী হয়ে যাবে। আর কিছুই করার দরকার নেই। কেবল তোমার মনকে নিবদ্ধ কর। স বৈ মনঃ কৃষ্ণ-পদারবিন্দয়োঃ বচাংসি বৈকুণ্ঠ (ভাগবত ৯/৪/১৮) যদি তুমি কথা বল, তাহলে কৃষ্ণকথা বল। যদি তুমি খাও, তাহলে কৃষ্ণপ্রসাদ খাও। যদি চিন্তা করতে চাও, কৃষ্ণচিন্তা কর। যদি কর্ম কর, কৃষ্ণকর্ম কর। এইভাবে এই যোগের অনুশীলন সার্থক হবে। অন্য কোনও ভাবে নয়। আর সেইটিই হচ্ছে যোগের পরম পূর্ণতা। জড় বাসনা থেকে মুক্তি। যদি তুমি কেবল শ্রীকৃষ্ণের জন্য চিন্তা কর, তাহলে জড় বাসনার জায়গাটা কোথায়? সব ধরণের জড় বাসনার পরিসমাপ্তি। তোমাকে কৃত্রিমভাবে কিছু চেষ্টা করতে হবে না। "ওহ্‌ আমি কোন সুন্দরী মেয়ের দিকে তাকাবো না, চোখ বন্ধ করে থাকব।" তুমি তা করতে পারবে না। কিন্তু যদি তুমি তোমার মনকে কৃষ্ণভাবনামৃতে নিবদ্ধ কর, তাহলে অনেক সুন্দরই মেয়েদের সাথে তুমি নাচতেও পার। সেটি ঠিক আছে, ঠিক যেমন ভাই বোনের মধ্যে (আকর্ষণের) কোন প্রশ্নই নেই। এই ধরণের যোগসিদ্ধি অত্যন্ত ব্যবহারিক। কৃত্রিমভাবে তুমি তা করতে পারবে না।

কেবল কৃষ্ণভাবনামৃতেই সমস্ত পূর্ণতা রয়েছে। এটি বোঝার চেষ্টা কর। সমস্ত সিদ্ধি । কারণ সেটি চিন্ময় স্তর। চিন্ময় স্তরটি নিত্য, আনন্দময় এবং জ্ঞানপূর্ণ। তাই তাতে কোন দুঃখদুর্দশা নেই। হ্যাঁ। পড়তে থাকো।