BN/Prabhupada 0710 - আমরা লক্ষকোটি মতবাদ আর ধারণা তৈরি করছি এবং সেসবের দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়ছি

Revision as of 17:39, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 3.26.39 -- Bombay, January 14, 1975

যে কোন ধরণের যোগই হোক না কেন, হঠযোগ, জ্ঞানযোগ বা কর্মযোগ - এই সবই নিম্নমানের এসবের উর্ধে ভক্তিযোগ। যখন তুমি ভক্তিযোগের স্তরে আস, সেটিই তোমার জীবনের পরিপূর্ণতা। ভক্তিযোগেন মনসা সম্যক্‌ প্রণিহিতে অমলে (ভাগবত ১.৭.৪) ভক্তিযোগেন অমলাঃ মন তখন পূর্ণরূপে নির্মল হয়। "চেতোদর্পন মার্জনম্‌ (চৈতন্য চরিতামৃত ২০/১২) সেটিই ভক্তিযোগের সরাসরি প্রভাব। কারণ এখন মন কলুষিত আছে, এবং ইন্দ্রিয় ও ইন্দ্রিয় বিষয়ের প্রভাবে আমরা লক্ষকোটি ধরণের ধারণা আর মনোভাব নিয়ে বসে আছি আর এই সব ধারণার দ্বারা আবদ্ধ হয়ে আছি এইভাবে আমাদের কোটি কোটি দেহ ধারণ করতে হচ্ছে এবং এই জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধির চক্রে ঘুরতে হচ্ছে। এই হচ্ছে পরিণাম। তাই উচিত হচ্ছে মনকে শুদ্ধ করা। সেটি হচ্ছে হরে কৃষ্ণমহামন্ত্রের মাধ্যমে। চেতোদর্পণ মার্জনম্‌ ভব মহা দাবাগ্নি নির্বাপনণম্‌ যখন আমাদের মন নির্মল ... এই মহা দাবাগ্নি এই যে আমাদের বাসনার বিস্তার, লক্ষ কোটি বিস্তার ... এর নাম মহাদাবাগ্নি।। ভবমহা দাবাগ্নি। ভবমহা দাবাগ্নি। তাই গুরুর দায়িত্ব হচ্ছে শিষ্যকে এই ভবমহাদাবগি থেকে উদ্ধার করা। সংসার দাবানল লীঢ়লোক ত্রাণায় কারুণ্য ঘনাঘনত্বম্‌ কারুণ্য। করুণা।

গুরু মানে কি? গুরুঢ় কাছে করুণা আছে। ঠিক যেমন মেঘ সমুদ্রের থেকে জল পেয়েছে ঠিক তেমনই গুরুও শ্রীকৃষ্ণের করুণাসমুদ্র থেকে করুণামেঘ পেয়েছেন। ঘনাঘনত্বম্‌ আর কেবল এই মেঘের বৃষ্টি থেকেই সংসার দাবানল নিভবে। আর কোন জল দানের ব্যবস্থা কাজে আসবে না। যদি কোন বনে আগুন লাগে, তাহলে তোমার দমকল বাহিনী বা বালতি ভরে জল দেয়া কোনটাই কাজে লাগবে না। অসম্ভব। না তুমি সেখানে যেতে পারবে, আর না পারবে তোমার দমকল বা বালতি ভরে জল দেয়ার ব্যবস্থা করতে। তাহলে কীভাবে সেই জল নিভবে। ঘনাঘনত্বম্‌। ' যদি আকাশে মেঘ থাকে, আর বৃষ্টি হয় তাহলে সেই বিশাল দাবানল অচিরেই নিভে যাবে। সেই মেঘ হচ্ছেন শ্রীগুরুদেব। তিনি জল ঢালেন। তিনিই বর্ষণ করেন। শ্রবণ কীর্তন জলে করয়ে সেচন (শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত ১৯/১৫২) সেই জলটি কি? সেই জল হচ্ছে শ্রবণ কীর্তন। ভবমহাদাবাগ্নি, জড় অস্তিত্বের আগুন ক্রমাগত জ্বলেই যাচ্ছে। সেই আগুন কেবল মেঘবারি থেকেই নেভানো যাবে। আর সেই বৃষ্টি হচ্ছে শ্রবণ কীর্তন। শ্রবণ মানে শোনা। কীর্তন মানে ভগবানের নামমহিমা কীর্তন করা। এটিই একমাত্র পন্থা। শ্রবণ কীর্তন জলে করয়ে সেচন।