BN/Prabhupada 0717 - আমার পিতা ছিলেন একজন ভক্ত, তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন

Revision as of 17:41, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Room Conversation -- January 26, 1975, Hong Kong

শ্রীল প্রভুপাদঃ তাই যেমনটা প্রহ্লাদ মহারাজ বলেছেন যে জীবনের একেবারে শুরু থেকেই কৌমার আচরেৎ প্রাজ্ঞো ধর্মান্‌ ভাগবতানিহ (ভাগবত ৭/৬/১) তাঁর বয়স ছিল পাঁচ এবং তিনি জীবনের শুরু থেকেই কৃষ্ণ ভাবনাময় ছিলেন। তিনি তাঁর সহপাঠীদের মাঝে কৃষ্ণভাবনামৃত শিক্ষা দিতেন বিদ্যালয়ে তিনি ছোট শিশুদের কাছে কৃষ্ণভক্তি প্রচার করতেন তাই মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ , তাঁদের অনুসরণ করার চেষ্টা কর (চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ১৭/১৮৬) প্রহ্লাদ মহারাজ, ধ্রুব মহারাজদের মতো মহান ব্যক্তিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা কর তাঁরা ছিলেন শিশু, তবু তাঁরা ছিলেন সর্বোচ্চ স্তরের ভক্ত এরকম আরও আছে। চার কুমারেরও সর্বোন্নত ভক্ত ছিলেন অবশ্যই এর জন্য কিছুটা প্রচেষ্টার দরকার রয়েছে প্রহ্লাদ মহারাজের পিতা ছিল অসুর, এক নম্বর নাস্তিক। কিন্তু তারপরও মাতৃগর্ভে থাকাকালে প্রহ্লাদ মহারাজ নারদ মুনির কাছে থেকে কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল নারদ মুনি তাঁর মাকে উপদেশ দিচ্ছিলেন কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ তাঁর মায়ের গর্ভে থেকেই নারদ মুনির কাছ থেকে সেই সব দিব্য কথা শ্রবণ করেছিলেন সুতরাং তিনি মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার আগেই ভাগবত দর্শন সব জানতেন তাই তাঁর জীবনের একেবারে শুরু থেকেই তিনি ছিলেন ভাগবত। ভাগবত মানে মহান ভক্ত।

তাই আমরা প্রহ্লাদ মহারাজ এবং ধ্রুব মহারাজদের অনুসরণ করতে পারি অবশ্যই এর জন্য বাবা মায়ের সাহায্যের দরকার আছে । যদি জীবনের শুরু থেকেই আমরা ভাগবত ধর্ম বা ভক্তিযোগ অনুশীলন করি তাহলে আমাদের জীবন সার্থক হবে। ভাগ্যক্রমে আমাদের জীবনের শুরু থেকেই ভাগবত ধর্ম করার সুযোগ হয়েছিল। আমার পিতা ছিলেন একজন ভক্ত, এবং তিনি আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছিলেন তাই এটি প্রতিটি পিতামাতার কর্তব্য যে তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানদের ভাগবত ধর্ম শিক্ষা দেন তাহলেই তাঁদের জীবন সার্থক। নয়তো সেই জীবন ব্যর্থ। প্রতি মুহূর্তে অধঃপতনের সম্ভাবনা আছে অধঃপতন মানে জীবনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পারমার্থিক স্তরে উন্নীত হওয়া। এবং আমরা যদি তা না করি, তাহলে আমরা পশু জীবনে পতিত হব তোমরা চোখের সাম্নেই দেখেছ যে অনেক প্রজাতির জীবন আছে কেউ কুকুর বেড়ালও হতে পারে এই পরম বিজ্ঞান রয়েছে, কিন্তু মানুষের সেই জ্ঞান নেই না আছে স্কুল-কলেজে, কোথাও এই শিক্ষা দেয়া হয় না। এমন কি ঐ তথাকথিত শিক্ষিত শিক্ষক বা শিক্ষিত লোকগুলো এসব কথা জানেও না। জানে না ওরা। তাই যতদুর সম্ভব এই কৃষ্ণভাবনামৃতের দর্শন বোঝার চেষ্টা কর। এবং যখনই সময় পাও এই হরে কৃষ্ণমহামন্ত্র জপ করে যাও আমার মনে হয় তোমাদের যথেষ্ট সময় আছে । সেটিই আমার অনুরোধ। সেই কথাই আমরা সারা বিশ্বজুড়ে প্রচার করছি।