BN/Prabhupada 0722 - অলস হয়ো না, সবসময় নিযুক্ত থাকো

Revision as of 17:43, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Arrival Lecture -- Mexico, February 11, 1975, (With Spanish Translator)

আমি আপনাদের সবাইকে দেখে খুব খুশি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কত কত অংশেরা। আপনারা এসেছেন কৃষ্ণভাবনামৃতকে বুঝতে। সুতরাং এই পন্থার প্রতি নিষ্ঠাসহকারে লেগে থাকেন, আপনাদের জীবন সার্থক হবে। এখানে মূলনীতি হচ্ছে নিজেকে শুদ্ধ করা। ঠিক যেমন, যখন কেউ অসুস্থ থাকে বিভিন্ন নিয়ম পালনের মধ্য দিয়ে, ওষুধ দিয়ে এবং আহার নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে তাকে নিজেকে সুস্থ করে তুলতে হয়। ঠিক তেমনই আমাদের এই ভবরোগ হয়েছে যেখানে আমরা জড়দেহের মধ্যে আবৃত হয়ে আছি এবং এখানে দুঃখের লক্ষণগুলি হচ্ছে জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি যে ব্যক্তি এই জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হতে ঐকান্তিক এবং জন্ম-মৃত্যু-জরা-ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে চায়, তাঁকে অবশ্যই কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করতে হবে। এটি অত্যন্ত সহজ এবং সরল। যদি তুমি না জান, যদি তুমি অশিক্ষিতও হও, তোমার কোন ধনসম্পদ নেই, তুমি কেবল হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করে যাও। আর যদি তুমি শিক্ষিত, যুক্তিবাদী এবং দার্শনিকও হও, তাহলে আমাদের অনেক গ্রন্থ রয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় পঞ্চাশের মতো, সেগুলো পড়তে পার। আমাদের চার'শ পাতার প্রায় পচাত্তরের কাছাকাছি বই রয়েছে সেগুলো দার্শনিক, বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদদেরকে কৃষ্ণভাবনামৃত বোঝানোর জন্য। সেগুলো ইংরেজি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষায় প্রকাশ হয়েছে। সেগুলোর সুবিধা গ্রহণ কর। মন্দিরে বিগ্রহ পূজার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রবচন ব্যবস্থা কর, কমপক্ষে পাঁচ ঘণ্টার ক্লাসের ব্যবস্থা। ঠিক যেমন স্কুলকলেজে নিয়মিত ক্লাস হয়, পঁয়তাল্লিশ মিনিট ক্লাস হয় তারপর পাঁচ দশ মিনিটের বিরতি, তারপর আবার পঁয়তাল্লিশ মিনিটের ক্লাস, এইভাবে চলবে, আলোচনা করার মতো আমাদের যথেষ্ট গ্রন্থ আছে আর আমরা যদি সেই সবগুলি গ্রন্থ পড়তে শুরু করি, কমপক্ষে পঁচিশ বছর লাগবে তা পড়ে শেষ করতে। তোমরা সকলেই যুবক। আমি অনুরোধ করছি যে তোমরা দয়া করে তোমাদের সময় গ্রন্থ পড়ার কাজে লাগাও জপ কর, বিগ্রহ পূজা কর, এবং প্রচারে যাও, গ্রন্থ বিতরণ কর। অলস বসে থেকো না। সর্বদা যুক্ত থাক। তবেয় সেটি হবে কৃষ্ণভাবনামৃত।

ভগবদ্গীতাতে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,

মাম্‌ হি ব্যাপাশ্রিত্য
যেহপি স্যু পাপযোনয়ঃ
স্ত্রীয়ঃ বৈশ্যস্তথা শুদ্রঃ
তেহপি যান্তি পরাম্‌ গতিম্‌
(গীতা ৯/৩২)

এমন কোন বৈষম্য নেই যে, "এই পুরুষলোকগুলিই পাবে, এই স্ত্রীলোকেরা পাবে না।" না। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, 'যে কেউ' - স্ত্রীয় বৈশ্যস্তথা শুদ্রঃ। যিনিই কৃষ্ণভাবনামৃত গ্রহণ করবেন, তিনিই জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হবেন, এবং নিজের আলয়ে, ভগবদ্ধামে ফিরে যাবেন। সুতরাং এই আন্দোলনকে ঐকান্তিকভাবে গ্রহণ কর এবং বিধিবদ্ধ নিয়মগুলো পালন কর, মাংসাহার, অবৈধ সঙ্গ, নেশাজাতীয় দ্রব্য, এবং জুয়াখেলা- এইসব পাপকর্ম চলবে না এবং ষোল মালা জপ করতে হবে।