BN/Prabhupada 0735 - আমরা এতোটাই মূর্খ যে আমরা পরজন্মে বিশ্বাস করি না

Revision as of 17:47, 29 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0023: VideoLocalizer - changed YouTube player to show hard-coded subtitles version)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 7.9.41 -- Mayapura, March 19, 1976

এখন এখানে অনেক ছেলেরা রয়েছে। তো ও যদি বলে, "না, না, না। আমি একজন যুবক হবো না। আমি বাচ্চাই থাকব," এটি সম্ভব নয়। তাকে তার দেহ পরিবর্তন করতেই হবে। সে দেহ পরিবর্তন করতে চায় কিনা এ ব্যাপারে কোন প্রশ্নই আসে না। না, তাকে করতেই হবে। ঠিক একইভাবে, এই দেহটি যখন শেষ হয়ে যাবে, তুমি হয়ত বলতে পার যে, "আমি বিশ্বাস করি না যে অন্য আরেকটি দেহ আছে," কিন্তু আছে- "অবশ্যই।" ঠিক একই রকমভাবে, একটি যুবক ছেলে ভাবতে পারে, "এই দেহটি খুব সুন্দর। আমি খুব উপভোগ করছি। আমি বৃদ্ধ হবো না।" না, তোমাকে অবশ্যই হতে হবে। এটি হচ্ছে প্রকৃতির আইন। তুমি বলতে পার না। একইভাবে, মৃত্যুর পর, যখন এই দেহটি শেষ হয়ে যাবে, তোমাকে অবশ্যই আরেকটি দেহ ধারণ করতে হবে। তথা দেহান্তর প্রাপ্তি। আর এই কথা কে বলছেন? পরম পুরুষোত্তম ভগবান, তিনি বলছেন, সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। আর তুমি যদি তোমার সাধারণ যুক্তি দ্বারা বুঝতে চেষ্টা কর যে আইন কি, খুব সহজ একটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে এখানে। তো আরও জীবন আছে। তুমি অস্বীকার করতে পার না। জীবন আছে। কিন্তু সেই জীবন , সেই দেহ তোমার হাতে নয়। এই মুহূর্তে, যখন জীবন সেখানে রয়েছে, তুমি তোমার জ্ঞান নিয়ে গর্ববোধ করছ। তুমি ভগবানের অস্তিত্ব মেনে নেয়ার ব্যাপারে খুবই উদ্ধত। তুমি বোকার মতো এটি করতে পার। কিন্তু মৃত্যুর পর তুমি সম্পূর্ণরূপে প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণাধীন। এটি তুমি এড়িয়ে যেতে পারবে না। ঠিক যেমন, তুমি যখন একটি মূর্খ, তুমি বলতে পার, "আমি সরকারের আইন বিশ্বাস করি না। আমার যা খুশি তাই করবো।" কিন্তু যখন তোমাকে গ্রেপ্তার করা হবে, তখন সব শেষ। তখন শুধু চড় আর জুতার বারি, এই যা।

তাই আমরা এতোই মূর্খ যে আমরা পরজন্মে বিশ্বাস করি না। এটি শুধুই মুর্খামি। পরবর্তী জীবন আছে, বিশেষ করে যেখানে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, তুমি বলতে পার, "আমরা এটা বিশ্বাস করি না," তোমরা বিশ্বাস করতেও পার কিংবা নাও করতে পার, সেটা কোনই ব্যাপার নয়। তুমি প্রকৃতির আইনের অধীন। প্রকৃতেঃ ক্রিয়মাণানি গুণৈঃ কর্মাণি সর্বশঃ। (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ৩.২৭)। কারণং গুণসঙ্গোহস্য সদসদ্‌যোনিজন্মসু (শ্রীমদ্ভগবতগীতা ১৩.২২)। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন। কেন একজন সুন্দরভাবে অবস্থান করছে? কেন একজন অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে, একজন ব্যক্তি......। একটি জীব খুব সুন্দরভাবে খাচ্ছে, খুব সুন্দর খাবার, যেখানে আরেকটি প্রাণী মল খাচ্ছে? এটি কোন দুর্ঘটনা নয়। এটি আকস্মিকভাবে হয়নি। কর্মনা দৈব-নেত্রেণ। (শ্রীমদ্ভাগবত ৩.৩১.১)। কারণ একজন এমনভাবে কর্ম করেছে যে তাকে মল খেতে হচ্ছে, তাকে অবশ্যই খেতে হবে। কিন্তু মায়া, ছলনাময়ী শক্তি এতোই চালাক, যে যখন কোন প্রাণী মল খাচ্ছে, সে ভাবছে, "আমি স্বর্গীয় সুখ ভোগ করছি।" একে বলে মায়া। তাই এমন কি মল আহার করেও সে ভাবছে আমি স্বর্গের আনন্দ উপভোগ করছি। যদি সে মায়া দ্বারা মোহিত না হতো , সে ... যদি সে স্মরণ করতে পারত যে "আমি ছিলাম...... পূর্ব জন্মে আমি মানুষ ছিলাম, আর আমি সুন্দর সুন্দর খাবার খেতাম। এখন আমি মল আহার করতে বাধ্য হচ্ছি," তাহলে সে আর চলতে পারত না। এটিকে বলে প্রক্ষেপাত্মিকা শক্তি মায়া। আমরা ভুলে যাই। বিস্মৃতি।