BN/Prabhupada 0772 - সমস্ত বৈদিক সভ্যতার উদ্দেশ্য হচ্ছে – মানুষদের মুক্তি প্রদান করা

Revision as of 07:09, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.5.13 -- New Vrindaban, June 13, 1969

প্রভুপাদঃ শ্রীমদ্ভাগবতের প্রতিটি শব্দ শব্দাংশ, বিস্তরভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। এই হচ্ছে শ্রীমদ্ভাগবত, বিদ্যা ভাগবতাবধি। কারোর শিক্ষার সীমা বোঝা যাবে সে শ্রীমদ্ভাগবত কতোটা বুঝতে পেরেছে তা দেখে। বিদ্যা অর্থাৎ শিক্ষা। এই জ্ঞান, ঐ জ্ঞান এসব নয় যখন কেউ শ্রীমদ্ভাগবত সত্যিকারের অর্থে বুঝতে পেরেছেন তখন বুঝতে হবে যে তিনি সব ধরণের শিক্ষা সম্পূর্ণ করেছেন অবধি। অবধি মানে "সেটি হচ্ছে শিক্ষার সীমা"। বিদ্যা ভাগবতাবধি।

এখানে নারদ মুনি বলছেন, অখিলবন্ধমুক্তয়ে। "তোমাকে লোকের কাছে এমনভাবে এই সাহিত্য উপস্থাপন করতে হবে যে তারা যেন জীবনের বদ্ধ দশা থেকে মুক্ত হতে পারে। এমন নয় যে তোমার রচনার দ্বারা তুমি এমন কিছু লিখবে যার দ্বারা লোকেরা আরও বদ্ধ দশায় পড়বে..." সেটিই হচ্ছে ব্যাসদেবের প্রতি নারদ মুনির উপদেশের সারমর্মঃ "জীবের বদ্ধ দশা যেন চলতেই থাকে সেইরকম আজেবাজে সাহিত্য কেন উপস্থাপন করছ?" সমগ্র বৈদিক সভ্যতার উদ্দেশ্য হচ্ছে বদ্ধ জীবকে জড় বন্ধন থেকে মুক্ত করা। মানুষ জানে না যে শিক্ষা উদ্দেশ্য কি। শিক্ষা উদ্দেশ্য, সভ্যতার উদ্দেশ্য এবং সভ্যতার পরিপূর্ণতা হওয়া উচিৎ যে যাতে করে মানুষেরা জীবনের বদ্ধ দশা থেক মুক্ত হতে পারে। সেটিই সম্পূর্ণ বৈদিক সভ্যতার উদ্দেশ্য। মানুষকে মুক্তি দেয়া।

তাই বলা হয়েছে অখিলবন্ধমুক্তয়ে (ভাগবত১/৫/১৩) সমাধিনা, অখিলাস্য বন্ধস্য মুক্তয়ে, অখিলাস্য বন্ধস্য আমরা চিরকাল এই বদ্ধ দশায় আছি এটিই আমাদের অবস্থা এবং নারদ মুনি ব্যাসদেবকে এই নির্দেশ দিচ্ছেন যে "এমন একটি সাহিত্য উপস্থাপন কর যা মানুষকে মুক্তি দেবে এমন কিছু দিও না যা তাদেরকে আরও বেশি করে এই বদ্ধ দশায় রেখে দেয়"। অখিলবন্ধ। অখিল মানে সম্পূর্ণ। আর এটি কে দিতে পারেন? সেটিও বলা হয়েছে, অথো মহাভাগ ভবান্‌ অমোঘদৃক্‌ (ভাগবত ১/৫/১৩) যার দৃষ্টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার। যিনি স্পষ্ট দেখতে পান। (একটি বাচ্চা সম্পর্কে) ও বিরক্ত করছে।

মাতাজীঃ ও কি আপনাকে বিরক্ত করছে প্রভুপাদ?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ।

মাতাজীঃ দেখছি।

প্রভুপাদঃ স্পষ্ট দৃষ্টি। যদি কারোর স্পষ্ট দৃষ্টি নাই থাকে সে কীভাবে অন্যদের কল্যাণে কাজ করতে পারবে? তুমি জান না যে প্রকৃত মঙ্গল কি। ওদের দৃষ্টি অপরিষ্কার। যদি কারোর দৃষ্টি অপরিচ্ছন্ন থাকে... যদি তুমি জানোই না যে তোমার যাত্রার গন্তব্য কি তাহলে কীভাবে তুমি উন্নতি করবে? তাই যোগ্যতা হচ্ছে ... যারা মানব সমাজের কল্যাণ করতে চায় তাঁদের অবশ্যই পরিষ্কার দৃষ্টি থাকতে হবে। পরিষ্কার দৃষ্টি কি? সবাই নেতা হচ্ছে। সবাই জনসাধারণকে পরিচালনা করতে চাইছে কিন্তু সে নিজেই অন্ধ। সে নিজেই জানে না জীবনে চরম পরিণতি কি ন তে বিদু স্বার্থগতিম্‌ হি বিষ্ণুম্‌ (ভাগবত ৭/৫/৩১) তাই... ব্যাসদেব সেটি করতে পেরেছেন কারণ তাঁর পরিষ্কার দৃষ্টি ছিল নারদ মুনি তা নিশ্চিত করেছেন। নারদ তাঁর শিষ্যকে জানেন যে তাঁর অবস্থান কি। একজন গুরু জানেন অবস্থাটি কি। ঠিক যেমন ডাক্তার জানেন। কেবল নাড়ি দেখেই তিনি বুঝতে পারেন... একজন দক্ষ ডাক্তার জানেন যে তাঁর রোগীর অবস্থা কি, এবং সেই অনুযায়ী তিনি তাকে চিকিৎসা করেন, ওষুধ দেন ঠিক একইভাবে যিনি প্রকৃত সদ্‌গুরুদেব তিনি জানতে পারেন তাঁর শিষ্যের নাড়ি বুঝতে পারেন তাই সেই অনুযায়ী তিনি তাঁর শিষ্যকে রোগ সারাবার ওষুধ দিয়ে থাকেন