BN/Prabhupada 0789 - ক্ষেত্র, ক্ষেত্রজ্ঞ এবং এই ক্ষেত্রের পর্যবেক্ষণকারী

Revision as of 07:12, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on BG 13.4 -- Paris, August 12, 1973

ভক্তঃ অনুবাদঃ "এখন মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর, ক্ষেত্র কি, তা কার থেকে উৎপন্ন হয়েছে, তার বিকার কি, ক্ষেত্রজ্ঞ কি এবং তার প্রভাবগুলো কি কি?

শ্রীল প্রভুপাদঃ তৎ ক্ষেত্রম্‌ (গীতা ১৩/৪)। ইদম্‌ শরীরম্‌ কৌন্তেয় ক্ষেত্রম্‌ ইতি অভিধীয়তে (গীতা ১৩/২) শ্রীকৃষ্ণ ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা করেছেন, ক্ষেত্র মানে শরীরম্‌। শরীরম্‌ অর্থাৎ দেহ। তৎ ক্ষেত্রম্‌ প্রথমে তোমাকে এটি বুঝতে হবে যে এই দেহ অথবা অন্য কোন ক্ষেত্র, তিনটি জিনিস রয়েছেঃ ক্ষেত্র, ক্ষেত্রজ্ঞ, এবং এই ক্ষেত্রের অধীশ্বর। তুমি এটি সব জায়গাতেই মিলিয়ে দেখতে পার শ্রীকৃষ্ণ বলছেন, ক্ষেত্রজ্ঞম্‌ চাপি মাম্‌ বিদ্ধি দুজন ক্ষেত্রজ্ঞ এবং একটি ক্ষেত্র আছে। একটি ক্ষেত্র এবং সেখানে দুজন ব্যক্তি থাকেন। ক্ষেত্রজ্ঞ একজন সেই ক্ষেত্রে থাকেন, আরেকজন সেই ক্ষেত্র সম্পর্কে জ্ঞাত।

ঠিক যেমন এই বাড়িটিতে আমরা আছি এটি হচ্ছে ক্ষেত্র বাড়ির মালিক হচ্ছেন এর মালিক, এবং আমরা অবস্থানকারী । দুজন ক্ষেত্রজ্ঞ। দুজনের বিষয় সম্পর্কিত এই বাড়িতে একজন অবস্থানকারী, এবং আরেকজন মালিক ঠিক তেমনই . এই পৃথিবীর যে কোন স্থানেই তুমি যাও না কেন, সর্বত্র এই তিনটি বিষয় পাবে। এক, ক্ষেত্র, এবং অন্য দুজন হচ্ছেন সেই ক্ষেত্রের অবস্থানকারী এবং অন্যজন সেই ক্ষেত্রের মালিক যদি কেউ এই তিনটি বিষয় বুঝতে পারেন, তিনি সর্বত্রই এই তিনটি বিষয়কে দেখতে পারবেন ক্ষেত্র-ক্ষেত্রজ্ঞয়োঃ যদ্‌ জ্ঞানম্‌ এটি বোঝার জন্য এই জ্ঞান যে সব জায়গাতেই ক্ষেত্র আছে, এবং দুজন ব্যক্তি সেই ক্ষেত্রজ্ঞের ব্যাপারে আগ্রহী একজন মালিক আরেকজন সেই ক্ষেত্রে অবস্থানকারী যদি তুমি এই তিনটি বিষয় অধ্যয়ন কর, তদ্‌ জ্ঞানম্‌ জ্ঞানম্‌ সেটিই জ্ঞান। না হলে, সবকিছুই মূর্খ। ব্যাস্‌। মমতাম্‌ মম।

এই হচ্ছে জ্ঞান, কিন্তু বর্তমানে যে কাউকেই জিজ্ঞাসা কর না কেন যে মালিক কে, অবস্থানকারী কে এবং ক্ষেত্রজ্ঞ কি। যদি তুমি কেওব তিনটি প্রশ্নই কর, কেউই তোমাকে উত্তর দিতে পারবে না তার মানে বর্তমানে সবাই মূর্খ। ওরা জানে না। ক্ষেত্র-ক্ষেত্রজ্ঞয়োঃ যদ্‌ জ্ঞানম্‌ । শ্রীকৃষ্ণ বলছেন। " ক্ষেত্র এবং ক্ষেত্রজ্ঞের মধ্যে এই সম্পর্ক "

কৃষিকাজের মতো। জমিটি দেশ বা দেশের রাজার দ্বারা প্রচালিত এবং অন্য কেউ একটি ভাড়ায় নিচ্ছেন এবং সেটি তখন ক্ষেত্রজ্ঞ তাই শ্রীকৃষ্ণ দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন কৃষ্ণ নির্দেশনা দিচ্ছেন, এবং জীবেরা রয়েছে, তিনি সেই নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐ অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন

কৃষ্ণ এবং জীবাত্মা একই গাছেই অবস্থান করছে সেই কথা উপনিষদে ব্যাখ্যা করা আছে । একটি গাছে দুটো পাখি বসে আছে একজন সেই গাছের ফল খাচ্ছে, এবং আরেকজন পাশ থেকে কেবল দেখছেন সেই প্রত্যক্ষদর্শি পাখিটি হচ্ছেন শ্রীকৃষ্ণ আর যেই পাখিটি বসে বসে গাছের ফল খাচ্ছে সে হচ্ছে জীবাত্মা মায়াবাদী দার্শনিকেরা জীবাত্মা এবং পরমাত্মার মাঝে পার্থক্য করতে জানে না। ততারা এটি জানে কিন্তু যেহেতু তারা অদ্বৈতবাদী তাই তাদের তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে তারা বলে যে "আর কেউই নন।" না, কৃষ্ণ বলছেন দুই। একজন ক্ষেত্রজ্ঞ হচ্ছেন জীবাত্মা এবং আরেকজন ক্ষেত্রজ্ঞ হচ্ছেন পরমাত্মা দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য এই যে একক জীবাত্মা কেবল নিজের ক্ষেত্রটি সম্পর্কেই জানে কিন্তু আরেকজন জীব বা ক্ষেত্রজ্ঞ পরম চেতন, বা পরমেশ্বর তিনি সব দেহ সম্পর্কেই জানেন।