BN/Prabhupada 0795 - আধুনিক দুনিয়ায় সবাই খুব সক্রিয়, কিন্তু মূর্খ সক্রিয়, রজ ও তমগুণে

Revision as of 07:13, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Lecture on SB 1.2.24 -- Los Angeles, August 27, 1972

উদাহরণটি হচ্ছেঃ যদি তুমি তোমার কার্য সমাধা করতে চাও তোমার আগুন দরকার কাঠ আগুনেরই একটি স্তর তেমনই ধোঁয়াও আগুনের একটি স্তর কিন্তু যেমন আগুন দরকার তেমনই সত্ত্বগুণের স্তরে আসাটা প্রয়োজন বিশেষ করে এই মনুষ্য জন্মে। অন্যান্য জীব প্রজাতিতে ওরা অধিকাংশই তমোগুণে আছে ঠিক যেমন মাটি। মাটির গাছ বা চারা ইত্যাদি উৎপাদনের ক্ষমতা আছে কিন্তু এই ভূমিতেই এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে কোন কিছুই জন্মাতে পারে না, মরুভূমি। মাটির ক্ষমতা আছে, যদি তুমি জল দাও, তাহলে এর গাছ জন্মানোর ক্ষমতা আছে , কিন্তু ঐ স্থানে... ঠিক তেমনই যারা ঐ তমোগুণে আচ্ছন্ন তাদের পরম সত্য সম্বন্ধে কোন জ্ঞানই নেই। সেটি তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই এটি একটি ক্রমপর্যায়ের বিবর্তন। তমোগুণ থেকে রজোগুণ। এবং রজোগুণ। সেখানে স্বল্প মাত্রায় কাজ হয় যেমন পশুরা। ওরাও কাজ করছে কুকুরের মতো। সমুদ্রের পাড়ে এবং অন্যান্য জায়গায় আমরা দেখেছি ওরা খুব দ্রুত এদিক ওদিক দৌড়ে চলেছে, কিন্তু কোন উদ্দেশ্য নেই। একটা বানরও খুব সক্রিয়। তোমাদের দেশে বানর দেখো নি। আমাদের দেশে অনেক বানর আছে। অযথা ঝামেলা করে। কিন্তু ওরা খুবই সক্রিয় কিন্তু মানুষ দেহে ওরা হয়তো এতো সক্রিয় নয়। কিন্তু ওদের মস্তিস্ক আছে এবং ওরা মাথা খাটিয়ে কাজ করে।

মূর্খের মতো কাজ করার কোন মানে নেই প্রকৃত মস্তিষ্ক ছাড়া কেবল সক্রিয় হওয়া খুবই বিপদজনক বুদ্ধিমত্তা সহকারে সক্রিয়তা প্রয়োজন। ঠিক যেমন উচ্চ আদালতের বিচারপতির মতো তাঁকে অনেক মোটা অংকের টাকা বেতন দেয়া হয় কিন্তু তিনি কেবল তাঁর চেয়ারেই বসে থাকেন, এবং ভাবেন অন্যরা ভাবতে পারে, "আমরা এতো কঠিন পরিশ্রম করছি, আমরা তো এতো টাকা মাইনে পাচ্ছি না, আর এই লোকটি কত্তো টাকা পাচ্ছে। তিনি তো কেবল বসেই আছেন।" কারণ মূর্খের মতো কাজ করার কোন মূল্য নেই। সেটি খুব ভয়ঙ্কর। তাই এই আধুনিক পৃথিবী, সবাই খুব সক্রিয়। কিন্তু মূর্খের মতো সক্রিয়। রজো ও তমো গুণে। রজস্‌ তমস্‌। তাই লোকেরা সংশয় নিয়ে কাজ করছে। মূর্খের মতো কাজ করলে তাতে বিপদ আছে বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ধীরসুলভ কাজ প্রয়োজন কারণ, তুমি যতক্ষণ না আগুনের স্তরে আসছ, তুমি জাগতিক বস্তুকে কাজে লাগাতে পারবে না। আগুন লাগবে না। ঠিক তেমনই তোমার জীবনকে সার্থক করতে গেলে জলজ প্রজাতি থেকে উদ্ভিদ জীবন, সে থেকে কীট জন্ম, কীট জন্ম থেকে সরীসৃপ জন্ম সরীসৃপ থেকে পাখি জীবন, সে থেকে পশু জীবন, সে থেকে মানুষ জীবন, এরপর সভ্য জীবন। এইভাবে ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে আমরা মানুষ জন্মে আসি বৈদিক জ্ঞান হচ্ছে মানুষ জীবনের জন্য, পশু জীবনের জন্য।