BN/Prabhupada 0838 - ভগবান ব্যতিরেকে সব কিছু অকর্মণ্য হয়ে যাবে: Difference between revisions

(Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 0838 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1973 Category:BN-Quotes - L...")
 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0837 - We May be Very Powerful so long Krsna Keeps us Powerful|0837|Prabhupada 0839 - When We Are Children and Not Polluted, We Should Be Trained Up in Bhagavata-dharma|0839}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0837 - আমরা ততদিনই খুব শক্তিশালী থাকতে পারি, যতদিন কৃষ্ণ চান|0837|BN/Prabhupada 0839 - যখন আমরা শিশু থাকি, আমরা তখন কলুষিত নই, তখনই আমাদের ভাগবত ধর্ম শিক্ষা দেয়া উচিৎ|0839}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:03, 13 August 2021



731201 - Lecture SB 01.15.21 - Los Angeles

প্রদ্যুম্নঃ অনুবাদ - "আমার সেই একই গাণ্ডিব ধনুক আছে, সেই একই তীর, সেই একই ঘোড়ার দ্বারা টানা সেই একই রথ এবং আমিও সেই একই অর্জুন হয়ে এসব ব্যবহার করছি যাকে সমস্ত রাজারা সম্মান জানাতো। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণের অনুপস্থিতিতে এক মুহূর্তের মধ্যে এই সবকিছুই শুন্য আর অর্থহীন হয়ে গেল। ঠিক যেমন ভস্মে ঘি ঢালার মতো যাদুর প্রভাবে সৃষ্ট ধনসম্পদ সঞ্চয়ে যেমন কোন লাভ হয় না, বা উষর ভূমিতে বীজ বপন করলে যেমন কোন শস্য হয় না। (ভাগবত ১.১৫.২১)"

প্রভুপাদঃ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক। তদ্‌ অভূদ্‌ অসৎ ঈশ-রিক্তম্‌ । ভগবান ব্যতিরেকে সব কিছু অকর্মণ্য হয়ে যাবে। ব্যাস্‌। আধুনিক সভ্যতা অনেক কিছু পেয়েছে, কিন্তু ভগবানকে বাদ দিলে সেই সবকিছু এক মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এবং এর লক্ষণও আছে ... যে কোন সময়। বর্তমানে, এই নাস্তিক সভ্যতা যখনই কোন যুদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে, আমেরিকা পারমাণবিক বোমা ফেলতে প্রস্তত, রাশিয়া... যেই দেশ প্রথম পারমাণবিক বোমা ফেলবে সে-ই জয়ী হবে কিন্তু আসলে কেউই জয়ী হবে না, কারণ তাঁরা উভয়েই বোমা ফেলার জন্য প্রস্তুত আমেরিকাও শেষ হয়ে যাবে, রাশিয়াও শেষ হয়ে যাবে। এই হচ্ছে অবস্থা। তাই তুমি যতই সভ্যতার উন্নয়ন, বৈজ্ঞানিক উন্নতি, অর্থনৈতিক উন্নতি কর না কেন কিন্তু যদি তা ভগবৎ বিহীন হয়, তাহলে যে কোন সময় তা ধ্বংস হয়ে যাবে যে কোন সময়।

ঠিক যেমন রাবণের মতো। রাবণ, হিরণ্যকশিপুরা ছিল অসুর। নিরীশ্বর অসুর। রাবণ বৈদিক দর্শনে অত্যন্ত দক্ষ পণ্ডিত এবং জাগতিকভাবে অনেক শক্তিশালী ছিল সে তার রাজধানীকে সোনার লঙ্কা বানিয়েছিল, সবগুলি অট্টালিকা, সবকিছু স্বর্ণ দিয়ে বানিয়েছিল বলা হয় যে, রাবণের ভাই ছিল... পৃথিবীর আরেক প্রান্তে এটা আমার উপদেশ যে ... আমি বলছি না যে এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আরেক প্রান্তে... রাবণ ছিল শ্রীলঙ্কায় এবং সেখান থেকে বিশ্বের আরেক প্রান্ত মানে, সাবওয়েতে গেলে ব্রাজিল হচ্ছে এবং ব্রাজিলে স্বর্ণখনি আছে এবং রামায়ণে বলা হয়েছে যে রাবণের ভাই পৃথিবীর আরেক প্রান্তে বাস করতেন এবং রামচন্দ্র ভূগর্ভস্থ পথ দিয়ে গিয়েছিলেন তো এটিকে বিবেচনায় নিয়ে আমরা ধরতে পারি যে, রাবণ ব্রাজিল থেকে সমস্ত স্বর্ণ নিয়ে এসেছিল এবং সেগুলোকে বড় বড় বাড়ি বানাতে ব্যবহার করেছিল রাবণ এতো শক্তিশালী ছিল যে, সে স্বর্ণলঙ্কা বানিয়েছিল "স্বর্ণের রাজধানী" ঠিক যেমন, একজন লোক কোন অনুন্নত দেশ থেকে তোমাদের দেশে এলো, নিউ ইয়র্ক বা কোন শহরে, যখন সে এখানকার আকাশছোঁয়া অট্টালিকাগুলি দেখবে, আশ্চর্য হয়ে যাবে যদিও আজকাল আকাশছোঁয়া অট্টালিকা সব জায়গাতেই আছে, কিন্তু আগে তা ছিল আশ্চর্যকর

এইভাবে যে কোন কিছুর উদাহরণ দেখতে পারি, কিন্তু আমরা রাবণের উদাহরণ দেখতে পারি রাবণ জাগতিক দিক দিয়ে অনেক উন্নত ছিল এবং তার যথেষ্ট বৈদিক জ্ঞানও ছিল সে ছিল এক ব্রাহ্মণের সন্তান। সবকিছুই ছিল তার। কিন্তু তার একমাত্র দোষ ছিল যে, সে ভগবান শ্রীরামের কোন পরোয়া করত না। সেটাই তার একমাত্র দোষ। "ওহ্‌, রাম আবার কি? আমি কোন পরোয়া করি না। স্বর্গে যাওয়ার জন্য কোন ধর্ম অনুষ্ঠান বা যজ্ঞ করার দরকার নেই"। রাবণ বলল, "আমি চন্দ্রগ্রহে যাবার জন্য একটি সিঁড়ি বানাব। তোমরা কেন এই উপায় ঐ উপায় চেষ্টা করছ? আমিই সেটা করে দেখাব"। স্বর্গের সিঁড়ি। অতএব এই সমস্ত লোকগুলি রাবণের মতো চেষ্টা করছে কিন্তু আসলে ওদের উচিৎ রাবণের থেকে শিক্ষা নেয়া যে, তার এই নাস্তিকতা তাকে শেষ করে দিয়েছে। সে সবকিছু হারিয়েছে

তাই অর্জুনের এই উপদেশ... তিনি বললেন যে, সোহম্‌ধনুস্ত ঈষবঃ তিনি কিছু রাখালদের দ্বারা পরাস্ত হয়েছিলেন। তিনি শ্রীকৃষ্ণের মহিষীদের রক্ষা করতে পারেন নি এবং ঐ রাখালেরা তাঁদের নিয়ে গিয়েছিলেন। তাই তিনি শোক করছেন যে, "আমার কাছে এই ধনুক আছে যার দ্বারা আমি কুরুক্ষেত্রে যুদ্ধ করেছি, এবং আমি জয়ী হয়েছিলাম কারণ শ্রীকৃষ্ণ আমার রথে উপবিষ্ট ছিলেন। সেটিই একমাত্র কারণ। এখন সেই একই তীর ধনুক আমার কাছে আছে যা আমি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলাম কিন্তু এখন কৃষ্ণ নেই । তাই এইসব অকর্মণ্য হয়ে গেছে। ঈষারিক্ত, অসৎ অভুৎ অসৎ মানে যার কোন অস্তিত্ব নেই , বা যা নিত্যকাল থাকে না "তাই আমার এই তীর ধনুক আমার কাছেই আছে, কিন্তু সেসব এখন অকর্মণ্য" তাই আমাদের এই থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ যে, ভগবান ছাড়া, আত্মা ছাড়া এই জড় সবকিছুর কোনই মূল্য নেই, যতই বিশাল কিছু হোক না কেন।