BN/Prabhupada 0855 - যদি আমি জাগতিক উপভোগ বন্ধ করি তাহলে আমার সমস্ত ভোগ শেষ। না: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0854 - Greater than the Greatest, and Smaller than the Smallest. That is God|0854|Prabhupada 0856 - Spirit Soul is Person as much as God is also Person|0856}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0854 - বৃহত্তম থেকেও বৃহত্তর এবং ক্ষুদ্রতম থেকেও ক্ষুদ্রতর। এই হচ্ছে ভগবান|0854|BN/Prabhupada 0856 - ভগবানের মতো চিন্ময় আত্মাও একজন ব্যক্তি|0856}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
Line 31: Line 31:


<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
<!-- BEGIN TRANSLATED TEXT -->
যদি আমি জাগতিক উপভোগ বন্ধ করি তাহলে আমার সমস্ত ভোগ শেষ। না। আমরা যতদিন এই জগতে থাকব আমি ইন্দ্র হতে পারি, ব্রহ্মা হতে পারি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারি, এটা ওটা । এই চারটি জিনিস কখনও এড়ানো যায় না। এই হচ্ছে জাগতিক অস্তিত্ব। এটাই আমাদের সমস্যা কিন্তু যদি এই সমস্যা সমাধান করতে হয়, তাহলে পন্থা হচ্ছেঃ নিবৃত্ত অন্যাভিলাষিতাশুন্যম্‌। জাগতিক ভোগের জন্য আকাঙ্ক্ষা করা উচিৎ নয়। ভোগ তো থাকছেই এটা ভাবা উচিৎ নয় যে, "আমি যদি জাগতিক ভোগ পরিত্যাগ করি, তাহলে আমার ভোগ শেষ।" না। তা শেষ নয়। যেমন কোন অসুস্থ মানুষের মতো সেই খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, অন্যান্য কাজ করছে, কিন্তু... তাঁর খাওয়া-দাওয়া, ঘুম আর একজন সুস্থ মানুষের খাওয়া-দাওয়া ঘুম এক নয়। তেমনই, আমাদের ভোগ - আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষা এগুলো সব ভয়ে পূর্ণ আমরা কোনরকম বাধা ছাড়া ভোগ করতে পারি না। অনেক অনেক বাধা আছে।  
আমরা যতদিন এই জগতে থাকব আমি ইন্দ্র হতে পারি, ব্রহ্মা হতে পারি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারি, এটা ওটা । এই চারটি জিনিস কখনও এড়ানো যায় না। এই হচ্ছে জাগতিক অস্তিত্ব। এটাই আমাদের সমস্যা কিন্তু যদি এই সমস্যা সমাধান করতে হয়, তাহলে পন্থা হচ্ছেঃ নিবৃত্ত অন্যাভিলাষিতাশুন্যম্‌। জাগতিক ভোগের জন্য আকাঙ্ক্ষা করা উচিৎ নয়। ভোগ তো থাকছেই এটা ভাবা উচিৎ নয় যে, "আমি যদি জাগতিক ভোগ পরিত্যাগ করি, তাহলে আমার ভোগ শেষ।" না। তা শেষ নয়। যেমন কোন অসুস্থ মানুষের মতো সেই খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, অন্যান্য কাজ করছে, কিন্তু... তাঁর খাওয়া-দাওয়া, ঘুম আর একজন সুস্থ মানুষের খাওয়া-দাওয়া ঘুম এক নয়। তেমনই, আমাদের ভোগ - আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষা এগুলো সব ভয়ে পূর্ণ আমরা কোনরকম বাধা ছাড়া ভোগ করতে পারি না। অনেক অনেক বাধা আছে।  


আমরা যদি বাধাহীন সুখ পেতে চাই... সুখ আছে। ঠিক একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। সেই খাচ্ছে-দাচ্ছে আর একজন সুস্থ লোকও খাচ্ছে। কিন্তু অসুস্থ লোকের কাছে খাবার তেতো লাগবে জন্ডিস আক্রান্ত মানুষকে যদি মিছরি দেয়া হয়, তার কাছে তা তেতো লাগবে। বাস্তব। কিন্তু সেই একই মানুষ যদি জন্ডিস থেকে ভাল হয়ে যায়, তাহলে সেটি তার কাছে মিষ্টি লাগবে ঠিক তেমনই এই জাগতিক জীবনের স্থিতিতে অনেক ধরণের সমস্যা আছে, আমরা পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারি না। যদি জীবনের পূর্ণ ভোগ পেতে হয়, তাহলে চিন্ময় স্তরে উন্নীত হতে হবে দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌ ([[Vanisource:BG 8.15 (1972)|গীতা ৮/১৫]]) ভগবদগীতায় জড় জগতকে এইভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুঃখালয়ম্‌। এটি দুঃখভোগের জায়গা কিন্তু তুমি যদি বল যে, "না আমি ব্যবস্থা করেছি, আমার এখন  ব্যাংকে অনেক টাকা আছে। আমার সুন্দরী স্ত্রী আছে, ছেলেমেয়ে আছে, ওরাও ভাল। তাই আমার এসব দরকার নেই। আমি এই জড় জগতেই থাকব।" শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অশাশ্বতম্‌। "না, তুমি এখানে থাকতে পারবে না। তোমাকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া হবে।" দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌। যদি এখানে থাকতে চাও এই জড় জগতের দুঃখের মধ্যেই, সেটাও অনুমোদন করা হবে না। কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। তথা দেহান্তরপ্রাপ্তিঃ  
আমরা যদি বাধাহীন সুখ পেতে চাই... সুখ আছে। ঠিক একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। সেই খাচ্ছে-দাচ্ছে আর একজন সুস্থ লোকও খাচ্ছে। কিন্তু অসুস্থ লোকের কাছে খাবার তেতো লাগবে জন্ডিস আক্রান্ত মানুষকে যদি মিছরি দেয়া হয়, তার কাছে তা তেতো লাগবে। বাস্তব। কিন্তু সেই একই মানুষ যদি জন্ডিস থেকে ভাল হয়ে যায়, তাহলে সেটি তার কাছে মিষ্টি লাগবে ঠিক তেমনই এই জাগতিক জীবনের স্থিতিতে অনেক ধরণের সমস্যা আছে, আমরা পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারি না। যদি জীবনের পূর্ণ ভোগ পেতে হয়, তাহলে চিন্ময় স্তরে উন্নীত হতে হবে দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌ ([[Vanisource:BG 8.15 (1972)|গীতা ৮/১৫]]) ভগবদগীতায় জড় জগতকে এইভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুঃখালয়ম্‌। এটি দুঃখভোগের জায়গা কিন্তু তুমি যদি বল যে, "না আমি ব্যবস্থা করেছি, আমার এখন  ব্যাংকে অনেক টাকা আছে। আমার সুন্দরী স্ত্রী আছে, ছেলেমেয়ে আছে, ওরাও ভাল। তাই আমার এসব দরকার নেই। আমি এই জড় জগতেই থাকব।" শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অশাশ্বতম্‌। "না, তুমি এখানে থাকতে পারবে না। তোমাকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া হবে।" দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌। যদি এখানে থাকতে চাও এই জড় জগতের দুঃখের মধ্যেই, সেটাও অনুমোদন করা হবে না। কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। তথা দেহান্তরপ্রাপ্তিঃ  
Line 45: Line 45:
:সংসিদ্ধিম্‌ পরমাম্‌ গতিঃ  
:সংসিদ্ধিম্‌ পরমাম্‌ গতিঃ  


:(গীতা ৮/১৫)  
:([[Vanisource:BG 8.15 (1972)|গীতা ৮/১৫]])  


"যদি কেূ আমার কাছে ফিরে আসে," মাম্‌ উপেত্য "তাহলে তাঁকে আর এখানে ফিরে আসতে হবে না, এই দুঃখময় জড় জগতে।" এখানে শুকদেব গোস্বামী উপদেশ দিচ্ছেন তুমি ভক্ত হও। তোমার সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।  
"যদি কেূ আমার কাছে ফিরে আসে," মাম্‌ উপেত্য "তাহলে তাঁকে আর এখানে ফিরে আসতে হবে না, এই দুঃখময় জড় জগতে।" এখানে শুকদেব গোস্বামী উপদেশ দিচ্ছেন তুমি ভক্ত হও। তোমার সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।  
<!-- END TRANSLATED TEXT -->
<!-- END TRANSLATED TEXT -->

Latest revision as of 07:06, 13 August 2021



750306 - Lecture SB 02.02.06 - New York

আমরা যতদিন এই জগতে থাকব আমি ইন্দ্র হতে পারি, ব্রহ্মা হতে পারি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারি, এটা ওটা । এই চারটি জিনিস কখনও এড়ানো যায় না। এই হচ্ছে জাগতিক অস্তিত্ব। এটাই আমাদের সমস্যা কিন্তু যদি এই সমস্যা সমাধান করতে হয়, তাহলে পন্থা হচ্ছেঃ নিবৃত্ত অন্যাভিলাষিতাশুন্যম্‌। জাগতিক ভোগের জন্য আকাঙ্ক্ষা করা উচিৎ নয়। ভোগ তো থাকছেই এটা ভাবা উচিৎ নয় যে, "আমি যদি জাগতিক ভোগ পরিত্যাগ করি, তাহলে আমার ভোগ শেষ।" না। তা শেষ নয়। যেমন কোন অসুস্থ মানুষের মতো সেই খাচ্ছে, ঘুমাচ্ছে, অন্যান্য কাজ করছে, কিন্তু... তাঁর খাওয়া-দাওয়া, ঘুম আর একজন সুস্থ মানুষের খাওয়া-দাওয়া ঘুম এক নয়। তেমনই, আমাদের ভোগ - আহার, নিদ্রা, মৈথুন এবং আত্মরক্ষা এগুলো সব ভয়ে পূর্ণ আমরা কোনরকম বাধা ছাড়া ভোগ করতে পারি না। অনেক অনেক বাধা আছে।

আমরা যদি বাধাহীন সুখ পেতে চাই... সুখ আছে। ঠিক একজন রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। সেই খাচ্ছে-দাচ্ছে আর একজন সুস্থ লোকও খাচ্ছে। কিন্তু অসুস্থ লোকের কাছে খাবার তেতো লাগবে জন্ডিস আক্রান্ত মানুষকে যদি মিছরি দেয়া হয়, তার কাছে তা তেতো লাগবে। বাস্তব। কিন্তু সেই একই মানুষ যদি জন্ডিস থেকে ভাল হয়ে যায়, তাহলে সেটি তার কাছে মিষ্টি লাগবে ঠিক তেমনই এই জাগতিক জীবনের স্থিতিতে অনেক ধরণের সমস্যা আছে, আমরা পূর্ণভাবে ভোগ করতে পারি না। যদি জীবনের পূর্ণ ভোগ পেতে হয়, তাহলে চিন্ময় স্তরে উন্নীত হতে হবে দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌ (গীতা ৮/১৫) ভগবদগীতায় জড় জগতকে এইভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে দুঃখালয়ম্‌। এটি দুঃখভোগের জায়গা কিন্তু তুমি যদি বল যে, "না আমি ব্যবস্থা করেছি, আমার এখন ব্যাংকে অনেক টাকা আছে। আমার সুন্দরী স্ত্রী আছে, ছেলেমেয়ে আছে, ওরাও ভাল। তাই আমার এসব দরকার নেই। আমি এই জড় জগতেই থাকব।" শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, অশাশ্বতম্‌। "না, তুমি এখানে থাকতে পারবে না। তোমাকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া হবে।" দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌। যদি এখানে থাকতে চাও এই জড় জগতের দুঃখের মধ্যেই, সেটাও অনুমোদন করা হবে না। কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নেই। তথা দেহান্তরপ্রাপ্তিঃ

কোথায় সব বিজ্ঞানীরা এসব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য? কিন্তু সমস্যা আছে। কে আছে তার পরিবার ছাড়তে চায়? সবারই পরিবার আছে, কিন্তু কেউই তার পরিবার ছাড়তে চায় না। কিন্তু জোর করেই তার থেকে তা ছিনিয়ে নেয়া হবে। আর তখন সে কান্না করবে, "ওহ্‌ আমি এখন মরে যাচ্ছি, আমি মরছি। আমার সংসারের কি হবে, আমার স্ত্রী পরিবার ওদের কি হবে?" তাকে বাধ্য হতে হয়। যেতেই হবে। এই হচ্ছে সমস্যা তো এই সব সমস্যার সমাধান কোথায়? এই সমস্যার কোন সমাধান নেই। যদি এই সমস্যার সমাধান চাও, তাহলে শ্রীকৃষ্ণ বলছেন -

মাম উপেত্য কৌন্তেয়
দুঃখালয়ম্‌ অশাশ্বতম্‌
নাপ্নুবন্তি মহাত্মানঃ
সংসিদ্ধিম্‌ পরমাম্‌ গতিঃ
(গীতা ৮/১৫)

"যদি কেূ আমার কাছে ফিরে আসে," মাম্‌ উপেত্য "তাহলে তাঁকে আর এখানে ফিরে আসতে হবে না, এই দুঃখময় জড় জগতে।" এখানে শুকদেব গোস্বামী উপদেশ দিচ্ছেন তুমি ভক্ত হও। তোমার সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।