BN/Prabhupada 0872 - মানব সমাজকে অবশ্যই চারশ্রেণীতে বিভক্ত করা প্রয়োজন

Revision as of 07:04, 22 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750519 - Lecture SB - Melbourne

বর্তমানে বাস্তবিকভাবেই কোন ব্রাহ্মণ নেই, ক্ষত্রিয় নেই। বৈশ্য নেই, কেবল শুদ্র, চতুর্থ শ্রেণীর লোক তাই চতুর্থ শ্রেণীর মানুষের দ্বারা পরিচালিত সমাজে তুমি কখনও সুখ আশা করতে পার না। তা সম্ভব না। তাই সারা পৃথিবীজুড়েই বিশৃঙ্খল অবস্থা। কেউই সুখী না। তাই এই মানব সমাজকে চার ভাগে বিভক্ত করা প্রয়োজন। ব্রাহ্মণ মানে প্রথম শ্রেণীর আদর্শ মানুষ যাতে করে তাঁর চরিত্র দেখে, তাঁর আচরণ দেখে অন্যরা শিখবে ও অনুসরণ করবে যদ্‌ যদাচরতি শ্রেষ্ঠঃ (গীতা ৩/২১) এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন মানে আমরা প্রথম শ্রেণীর মানুষ বানাতে চাইছি এটা হচ্ছে কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন। এই উদ্দেশ্যে আমাদের এইসব নিয়মকানুন রয়েছে কোন অবৈধ সঙ্গ না, কোন মাংসাহার না, কোন নেশা না এবং কোন জুয়া খেলা না একজন প্রথম শ্রেণীর লোকের এই হচ্ছে প্রাথমিক যোগ্যতা তাই আমরা আমাদের সাধ্যমতো অল্প প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আদর্শ প্রথম শ্রেণীর মানুষ বানাতে কিন্তু আগে তা ছিল। চতুঃ...

এখনও আছে। কেউই এরকম ভাবে না যে সবাই একই বুদ্ধিমত্তার বা একই ধরণের। না। এখনও একটি বুদ্ধিমান শ্রেণীর লোকজন আছে ঠিক যেমন বিজ্ঞানী, দার্শনিক, ধর্মবিদ্‌ তাঁদের প্রথম শ্রেণীর মানুষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এখন কেউই বুঝতে পারবে না যে কে প্রথম শ্রেণীর আর কে শেষ শ্রেণীর তাই সমাজের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য প্রথম শ্রেণীর, দ্বিতীয় শ্রেণীর, তৃতীয় শ্রেণীর মানুষ অবশ্যই থাকতে হবে ঠিক যেমন দেহে বিভিন্ন ধরণের অঙ্গ আছে মাথা, বাহু, উদর এবং পা। এটাই স্বাভাবিক তাই মাথা ছাড়া কেবল যদি বাহু, উদর এবং পা থাকে, তাহলে সেটি কেবল একটি মৃতদেহ মাত্র তাই যদি এই মানব সমাজ প্রথম শ্রেণীর লোকদের দ্বারা পরিচালিত না হয়, তাহলে সারা সমজাটাই একটা মৃত সমাজ। চাতুর্বর্ণং ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম ... (গীতা ৪/১৩) জন্মের দ্বারা নয়, গুণের দ্বারা। যে কেউই পছন্দ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর, দ্বিতীয় শ্রেণীর হওয়ার প্রশিক্ষণ নিতে পারে, তবেই তার নাম সভ্যতা

কিছু লোককে অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর শিক্ষায় থাকতে হবে কিছু লোককে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষা দিতে হবে এবং আরও কিছু তৃতীয় শ্রেণীর প্রশিক্ষণ পাবে এবং বাকিরা, যাঁদের এইভাবে শিক্ষা দেয়া যাবে না, তারা বাকি তিন শ্রেণীর মানুষের সেবা করবে তাঁদের বলা হয় শুদ্র। তাই ...

(বিরতি) ... তা সম্ভব নয়। একজন মানুষকে যদি সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যদি সে উপদেশ নিতে চায়, তাহলে সে প্রথম শ্রেণীর হতে পারবে জন্ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি নিম্নকুলে জন্ম নিতে পারে, কিছু আসে যায় না। কিন্তু যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সে প্রথম শ্রেণীর হতে পারে। সেটিই ভগবদ্গীতার শিক্ষা

মাম্‌ হি পার্থ ব্যাপাশ্রিত্য
যেহপি স্যুঃ পাপযোনয়ঃ
স্ত্রীঃ শুদ্রাঃ তথা বৈশ্য
স্তেহপি পরাম্‌ গতিম্‌
(গীতা ৯/৩২)

পরাম্‌ গতিম্‌। পরাম্‌ গতিম্‌ মানে ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়া। সেটিই আমাদের প্রকৃত আলয়, চিন্ময় জগত এবং সেখানে নিত্যকাল বাস করা। আনন্দে, পূর্ণজ্ঞানময় হয়ে সেটিই আমাদের প্রকৃত অবস্থান এই জগতে আমরা জড় বস্তু উপভোগের জন্য এসেছি আর আমরা যতই জাগতিক ভোগের পরিকল্পনা করছি, ততই আমরা আরও আরও বন্ধনে জড়িয়ে পড়ছি সেটা আমরা জানি না। তারা ভাবছে জড় ইন্দ্রিয়ের উপভোগ করাটাই জীবনের লক্ষ্য। না, সেটি জীবনের লক্ষ্য নয়। সেটি হচ্ছে আরও আরও জড়িয়ে পড়ার রাস্তা।