BN/Prabhupada 0874 - যিনি চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত, তিনি প্রসন্নাত্মা। তিনি আনন্দময়: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0873 - Bhakti Means that We have to Clear Ourself from the Designations|0873|Prabhupada 0875 - Chant Your Own God's Name. Where is the Objection|0875}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0873 - ভক্তি মানে সমস্ত উপাধি থেকে আমাদের মুক্ত হওয়া|0873|BN/Prabhupada 0875 - তোমার নিজের ভগবানের নাম নাও। এতে আপত্তি কি - কিন্তু ভগবানের নাম কীর্তন কর|0875}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:02, 1 August 2021



750519 - Lecture SB - Melbourne

যিনি চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত, তিনি প্রসন্নাত্মা। তিনি আনন্দময় বিদ্যাবিনয় - একজন ভদ্রলোক, অত্যন্ত পণ্ডিত ব্যক্তি বিদ্যাবিনয় সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি - গাভী, হাতি বিদ্যাবিনয় সম্পন্নে ব্রাহ্মণে গবি হস্তিনি এবং শুনি - শুনি মানে কুকুর এবং স্বপাক - মানে চণ্ডাল অনেক লোক আছে যারা ভিন্ন ধরণের মাংস খেতে পছন্দ করে কিন্তু যে কুকুরের মাংস খায় সে অত্যন্ত নিম্ন শ্রেণীর বলে পরিচিত শুনিচৈব স্বপাকে চ পণ্ডিতাঃ সমদর্শিনঃ (গীতা ৫/১৮) পণ্ডিত ব্যক্তি সবাইকে সমভাবে দেখেন সেই সমস্তর কি? চিন্ময় আত্মা। তিনি বাহ্যিক দেহ দেখেন না এর নাম ব্রহ্ম দর্শিন। পণ্ডিতা সমদর্শিনঃ আর কেউ যদি সেই স্তরে উন্নীত হতে পারেন -

ব্রহ্মভূত প্রসন্নাত্মা
ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি
সমঃ সর্বেষু ভূতেষু
মদ্ভক্তি লভতে পরাম্‌
(গীতা ১৮/৫৪)

যখন কেউ আত্ম উপলব্ধ হয় যে, সে এই দেহ নয় সে চিন্ময় আত্মা, ব্রহ্মভূতঃ , তাঁর লক্ষণ কি কি? প্রসন্নাত্মা, তিনি তৎক্ষণাৎ আনন্দপূর্ণ হন

আমরা যতদিন জাগতিক চেতনায় মগ্ন থাকব, দেহাত্মবুদ্ধিতে, ততদিন সর্বদা আমাদের উদ্বেগ থাকবে এটাই হচ্ছে পরীক্ষা। যারই উদ্বেগ আছে, সেই জাগতিক স্তরে আছে। এবং যিনি চিন্ময় চেতনায় আছেন, তিনি প্রসন্নাত্মা। তিনি আনন্দময়। প্রসন্নাত্মা মানে কি? ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতিঃ তিনি কোন কিছু চান না এবং তাঁর কোন কিছু হারিয়ে গেলে তিনি সেতার জন্য কান্না করেন না। ব্যাস্‌। এই জড় জগতে আমাদের যা নেই তার জন্য আমরা লালায়িত হচ্ছি আর আমাদের যদি কিছু থাকে, সেটা হারিয়ে গেলে আমরা কান্না করি। দুটো কাজ - শোচনা, আর আকাঙ্ক্ষা। সবাই অনেক বড় মানুষ হতে চাইছে। এর নাম আকাঙ্ক্ষা। আর যদি তার অধিকারের কিছু হারিয়ে যায়, তাহলে সে কান্না করে তাই চিন্ময় স্তরে উন্নীত হলে এই দুটি জিনিস শেষ হয়ে যাবে

ব্রহ্মভূত প্রসন্নাত্মা
ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি
সমঃ সর্বেষু ভূতেষু
মদ্ভক্তি লভতে পরাম্‌
(গীতা ১৮/৫৪)

যদি পারমার্থিকভাবে কেউ উপলব্ধ না হয়, তাহলে সবাইকে সে সমান দেখতে পারবে না সমঃ সর্বেষু ভূতেষু মদ্ভক্তিম্‌ লভতে পরাম্‌ তাহলেই কেউ প্রকৃত ভক্ত হতে পারবেন, ব্রহ্মভূত স্তর পার হবার পর

তাই ভক্তিপথ এতো সহজ নয় কিন্তু চৈতন্য মহাপ্রভুর দয়ায় আমরা তোমাদের দেশে শ্রীবিগ্রহ স্থাপন করেছি তোমরা অনেক ভাগ্যবান যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তোমাদের দেশে এসেছেন এটি শিক্ষা দিতে যে কীভাবে সমস্ত উদ্বেগ হতে মুক্ত হতে হয় এটি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আন্দোলন সকলেই উদ্বেগপূর্ণ, কিন্তু সবাই এই উদ্বেগ থেকে মুক্ত হতে পারে যদি সে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দেখানো পন্থায় চলে এবং শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ কি? খুবই সরল।

হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্‌
কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা
(চৈতন্য চরিতামৃত আদিলীলা ১৭/২১)

এটা মহাপ্রভুর নিজের মতামত নয় তা বৈদিক শাস্ত্রের কথা, বৃহন্নারদীয় পুরাণ, সেখানে এই নির্দেশ দেয়া আছে যেহেতুএই যুগের মানুষেরা অত্যন্ত পতিত, তাই এই যুগের অত্যন্ত সরল পন্থা দেয়া হয়েছে তারা কোন কঠিন তপস্যা করতে পারবে না, তা সম্ভব নয় তাই তাঁদের কেবল ভগবানের দিব্য নাম কীর্তনের উপদেশ দেয়া হয়েছে ব্যাস্‌। যে কেউ তা করতে পারে, তা একদমই কঠিন না। যদি আপনি বলেন যে, "আপনি ভারতের লোক আপনার চৈতন্য ভারতীয়, তিনি হরে কৃষ্ণ কীর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি কেন জপ করব? আমার নিজের ভগবান আছে।" ঠিক আছে, যদি তোমার নিজের ভগবান থাকে, তাহলে তাঁর নামই জপ কর চৈতন্য মহাপ্রভু কেবল কৃষ্ণের নামই নিতে বলেন নি যদি ভগবানের সাথে তোমার কোন সম্পর্ক থাকে এবং তুমি তাঁর নাম, ঠিকানা জান, (হাসি) তাহলে তুমি তাঁর নামই জপ কর দুর্ভাগ্যবশত তুমি জান না যে ভগবান কে, তাঁর ঠিকানাও জান না, তাঁর কার্যকলাপও জান না তাই কৃষ্ণনাম গ্রহণ কর। এটি খাঁটি আর আমরা তোমাদের তাঁর বাবার নাম, মায়ের নাম, তাঁর ঠিকানা সব কিছু দিচ্ছি যদি তোমার নিজের ভগবানের নাম থাকে, তাহলে চৈতন্য মহাপ্রভু বলছেন তুমি তাঁর নাম জপ কর তোমার ভগবানের কোন নাম আছে? কেউ জানে?

ভক্তঃ জিহোভা।

প্রভুপাদঃ জিহোভা, ঠিক আছে। তুমি জিহোভা জপ কর। তাই এটি হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ যে যদি তুমি মনে কর এটা ভগবানের নাম তাহলে তাই জপ কর নাম্নামাকারি বহুধা নিজসর্ব শক্তি স্তত্রার্পিতা নিয়মিতঃ স্মরণে ন কালঃ (অন্ত্যলীলা ২০/১৬) এটাই চৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ যে ভগবানের নাম ভগবানেরই সমান