BN/Prabhupada 0876 - যখন তুমি চিন্ময় আনন্দ সাগরে আসবে, তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 8: Line 8:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0875 - Chant Your Own God's Name. Where is the Objection|0875|Prabhupada 0877 - If You Are Not Ideal, Then it Will Be Useless to Open a Center|0877}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0875 - তোমার নিজের ভগবানের নাম নাও। এতে আপত্তি কি - কিন্তু ভগবানের নাম কীর্তন কর|0875|BN/Prabhupada 0877 - যদি তুমি আদর্শ না হও, তাহলে একটি কেন্দ্র খোলা হবে অর্থহীন|0877}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:02, 1 August 2021



750519 - Lecture SB - Melbourne

যখন তুমি চিন্ময় আনন্দ সাগরে আসবে, তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাবে প্রভুপাদঃ ঠিক যেমন কৈরব চন্দ্রিকা, চাঁদ প্রথম দিনে একটি সরু রেখার মত থাকে, তারপর তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় - চাঁদের আকার এবং চন্দ্রকিরণ দুই বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই এই উদাহরণ দেয়া হয়েছে। তুমি যতই কৃষ্ণভাবনাময় হবে, ততই তোমার জীবনের উজ্জ্বলতা বাড়তে থাকবে। শ্রেয়ঃ কৈরব চন্দ্রিকা বিতরণম্‌ বিদ্যাবধূ জীবনম্‌ তখন সেই জীবন জ্ঞানে পূর্ণ হবে। বিদ্যাবধূ জীবনম্‌। আনন্দাম্বুধি বর্ধনম্‌ আর জ্ঞানময় জীবনের বর্ধন মানে আনন্দেরও বর্ধন। আনন্দ, আমরা আনন্দ চাই। তাই তুমি আরও আরও আনন্দময় জীবন পাবে। আনন্দাম্বুধি বর্ধনম্‌। এবং প্রতিপদম্‌ পূর্ণামৃতাস্বাদনম্‌ - জীবনের প্রতি পদে পদে ... জাগতিক জীবনে আমরা কেবল দুঃখের, সমস্যার অভিজ্ঞতাই পেয়েছি। ঠিক উল্টো। আনন্দাম্বুধি বর্ধন ... অম্বুধি মানে সাগর। এই জগতের সাগর বৃদ্ধি পায় না কিন্তু যখন চিন্ময় আনন্দের সাগরের কথা হচ্ছে, তা প্রতিনিয়ত বাড়ে ঠিক যেমন এই ছেলেগুলি। এরা ইউরোপ , আমেরিকা থেকে এসেছে এরা ভারতীয় নয়। কিন্তু এরা কেন কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলনে লেগে থাকছে যদি না এরা কোন ক্রমশ বর্ধমান চিন্ময় আনন্দ না পাবে? এরা তো বোকা মূর্খ নয়। এরা শিক্ষিত এরা কেন এসব গ্রহণ করেছে? আনন্দাম্বুধি বর্ধনম্‌ এই আনন্দ কেবল বৃদ্ধি পাচ্ছে

তাই যে-ই এই পন্থা গ্রহণ করবে, তারই আনন্দাম্বুধি-বর্ধনম্‌ হবে প্রতিপদম্‌ পূর্ণামৃতাস্বাদনম্‌ঃ এবং তিনিই বুঝতে পারবেন জীবনের অর্থ কি, আনন্দের মানে কি। পরম্‌ বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণসংকীর্তনম্‌ঃ "হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র সঙ্কীর্তনের জয় হোক।"

এই হচ্ছে পন্থা। কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে এই জ্ঞানকে যতদূর সম্ভব প্রসার করা এবং কৃষ্ণের কৃপায় আমাদের এই মেলবোর্ন মন্দির হয়েছে আর এর সব কৃতিত্ব আমাদের শ্রীমান মধুদ্বিষ স্বামীর তোমরা এই সুযোগ গ্রহণ কর। সেটাই আমার একমাত্র অনুরোধ তুমি যদি কিছুই না কর, কেবল এখানে এসো এবং আমাদের সঙ্গে জপ কীর্তন কর। তাহলে ধীরে ধীরে তুমি সব জানতে পারবে অতঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ্‌ গ্রাহ্যম্‌ ইন্দ্রিয়ৈঃ (চৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ১৭/১৩৬) শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর নাম, তাঁর রূপ, তাঁর লীলা, তাঁর গুণাবলী, ইত্যাদি আমরা এইসব ভোঁতা ইন্দ্রিয় দ্বারা বুঝতে পারব না। তা সম্ভব না। অতঃ শ্রীকৃষ্ণ নামাদি ন ভবেদ্‌ গ্রাহ্যম্‌ ইন্দ্রিয়ঃ "তাহলে? আমাদের কেবল ইন্দ্রিয়গুলোই আছে, এই দিয়ে আমরা কি বুঝতে পারব?" সেবোন্মুখে হি জিহবাদৌ। যদি তুমি তোমার ইন্দ্রিয়গুলো ভগবানের সেবায় যুক্ত করবে স্বয়ম্‌ এব স্ফুরত্যদঃ। তখন কৃষ্ণ তোমার হৃদয়ে প্রকাশ করবেন, "এই দেখ আমাকে"। এই হচ্ছে পন্থা। সেবোন্মুখে হি জিহবাদৌ - এই কথাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি তুমি তোমার জিহ্বাকে কেবল ভগবানের সেবায় যুক্ত কর, তাহলে ক্রমে ক্রমে তোমার মধ্যে তা প্রকাশ পাবে। তাহলে জিহ্বাকে কিভাবে নিযুক্ত করতে হবে? বলা হয়নি যে, "যদি তুমি দেখ, স্পর্শ কর, ঘ্রাণ নাও," না। "যদি তুমি স্বাদ গ্রহণ কর"। জিহ্বার কাজ কি? জিহ্বার কাজ হচ্ছে যে, আমরা ভাল ভাল আহার আস্বাদন করতে পারি, এবং উচ্চারণ করতে পারি। এই দুটো কাজ কর। জিহ্বা দ্বারা হরে কৃষ্ণ কীর্তন কর এবং যততা পার প্রসাদ গ্রহণ কর। (হাসি) এবং তুমি ভক্ত হও।

অনেক ধন্যবাদ।

ভক্তগণঃ জয় শ্রীল প্রভুপাদ।