BN/Prabhupada 0878 - ভারতবর্ষের বৈদিক অধঃপতন

Revision as of 07:04, 22 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730412 - Lecture SB 01.08.20 - New York

পরমার্থের পথে উন্নত পরমহংসদের, এবং জড় ও চেতনের পার্থক্য নিরূপণ করার মাধ্যমে যাঁদের অন্তর নির্মল হয়েছে, তাঁদের অন্তরে অপ্রাকৃত ভক্তিযোগ বিজ্ঞান বিকশিত করার জন্য তুমি স্বয়ং অবতরণ কর। তাহলে আমার মতো স্ত্রীলোকেরা কিভাবে তোমাকে সম্যক্‌রূপে জানতে পারবে।

প্রভুপাদঃ এখানে কুন্তীদেবী দৈন্য সহকারে... এই হচ্ছে বৈষ্ণবের লক্ষণ। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুন্তীদেবীর কাছে এসেছেন তাঁর চরণধূলি গ্রহণ করতে কারণ কৃষ্ণ তাঁর পিসিমা কুন্তীদেবীকে সম্মান জানাতে এসেছেন, কৃষ্ণ তাঁর পিসিমার চরণ স্পর্শ করতেন। পক্ষান্তরে, যদিও কুন্তীদেবী এতো উন্নত অবস্থা ছিলেন বলতে গেলে প্রায় মা যশোদার মতো স্তরে, এতো উন্নত ভক্ত ছিলেন ... তিনি এতোই বিনয়ী ছিলেন যে "হে কৃষ্ণ, আপনি পরমহংসদের জন্য, এবং আমরা কি দেখতে পারি? আমরা তো স্ত্রীলোক।"

তাই ভগবদগীতায় যেমনটা প্রতিপন্ন করা হয়েছে, স্ত্রীয়ো বৈশ্যস্তথা শুদ্রাঃ (গীতা ৯/৩২) ভগবদগীতার আরেক স্থানে বলা হয়েছে, "স্ত্রী-শুদ্র দ্বিজবন্ধুনাম্‌ শুদ্র, স্ত্রী এবং দ্বিজবন্ধু। দ্বিজবন্ধু মানে যারা ব্রাহ্মণ পরিবারে বা ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম নিয়েছে, উচ্চকুলে... বৈদিক পন্থা অনুসারে, চারটি বিভাগ রয়েছেঃ চাতুর্বর্ণ্যং ময়া সৃষ্টং গুণকর্ম ... (গীতা ৪/১৩) গুণ ও কর্ম অনুসারে, প্রথম শ্রেণীর মানুষ হচ্ছেন ব্রাহ্মণেরা, বুদ্ধিমান শ্রেণী তারপর ক্ষত্রিয়রা, এরপর বৈশ্য এবং তারপর শুদ্র। তাই এই ব্যাখ্যার দ্বারা, স্ত্রী, শুদ্র এবং দ্বিজবন্ধু দ্বিজবন্ধু, তারাও একই দলের অন্তর্ভুক্ত দ্বিজবন্ধু মানে সে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম নিয়েছে, কিন্তু তাঁর কোন যোগ্যতা। অর্থাৎ গুণের দ্বারা বিচার করতে হবে। এটি অত্যন্ত ব্যবহারিক যেমন কেউ হয়তো হাইকোর্টের বিচারকের ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছে এর মানে এই নয় যে, যেহেতু সে হাইকোর্টের বিচারকের ছেলে, তাই সেও হাইকোর্টের বিচারকের হবে। এসবই চলছে। কারণ কেউ যদি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নেয় কোন গুণ ছাড়াই, সে তখন নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে দাবী করতে থাকে সেটি হচ্ছে ভারতে বৈদিক সভ্যতার অধঃপতন। এক নম্বরের একটা মূর্খ, কোন গুণ ছাড়াই, নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে দাবী করছে। গুণাবলী বিচারে সে শুদ্রের চেয়েও নীচে। তবু সে দাবী করছে। আর সেটাই মানুষ স্বীকার করে নিচ্ছে তাই

এই কথা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছেঃ গুণকর্ম বিভাগশঃ (গীতা ৪/১৩) কোন যোগ্যতা ছাড়াই... ব্রাহ্মণ মানে গুণ থাকতে হবে। কেবল দেহটি নয়। এরকম অনেক যুক্তি আছে, কিন্তু তাঁরা সেসব শুনবে না ওরা আমার এই আমাদের এই আন্দোলনে ঘোর বিরোধী, কারণ আমি ইউরোপ থেকে, আমেরিকা থেকে ব্রাহ্মণ বানাচ্ছি তাঁরা আমার বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা তাঁদের পরোয়া করি না না তো কোন বিবেকবান মানুষ তাঁদের পরোয়া করবে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে এই রকম প্রচারণা চলছে এমনকি আমার গুরুভ্রাতাদের মধ্যেও, তাঁরা আমাকে... যেহেতু তাঁরা নিজেরা করতে পারছে না, তাই তাঁরা দোষ খুঁজছে।