BN/Prabhupada 0891 - কৃষ্ণ কালের ক্রমপর্যায়ে এই বিশ্বে বহু যুগ পর আবার আসেন

Revision as of 07:03, 10 July 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750522 - Lecture SB 06.01.01-2 - Melbourne

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ,

ভক্তঃ আগে আপনি বলছিলেন আবার কত বছর পর কৃষ্ণ এই জগতে আসবেন মনুষ্যরূপে?

প্রভুপাদঃ গণনা করে দেখ, আমি তোমাদেরকে বলেছি যে ব্রহ্মার দিন, ১২ ঘণ্টা, কীভাবে হয় মানে ৪৩,০০০০০ বছরকে ১০০০ দিয়ে গুণ কর। কত আসে? ৪৩,০০০০০ গুণ ১০০০

ভক্তঃ ৪৩০ কোটি বছর

প্রভুপাদঃ না, না।

পরমহংসঃ ৪ বিলিয়ন ৩শ মিলিয়ন

প্রভুপাদঃ ওহ্‌ , মতভেদ হচ্ছে (হাসি)

মধুদ্বিষঃ অস্ট্রেলিয়াতে ওরা অন্যভাবে গণনা করে (হাসি)

প্রভুপাদঃ যাই হোক, তোমাদের অস্ট্রেলিয়ান গণনায় কি বলে? বল আমাকে।

মধুদ্বিষঃ ঠিকই আছে। তাদের বিলিয়নের হিসাব আলাদা।

প্রভুপাদঃ ওহ্‌ যাই হোক, আমি তোমাকে সঠিক হিসাবটা বলছি। ৪ মিলিয়ন আমেরিকান গণনা অনুযায়ী। (হাসি) ৪৩ লক্ষ বছরকে ১ হাজার দিয়ে গুণ কর সেটি ইংরেজ গণনায় কত হয়? (হাসি)

পরমহংসঃ ৪৩০ কোটি

প্রভুপাদঃ হুহ্‌?

পরমহংসঃ ৪৩০ কোটি

প্রভুপাদঃ সেটা হচ্ছে ১২ ঘণ্টা। এইভাবে আরেকটা ১২ ঘণ্টা, রাত যোগ কর তাহলে আট বিলিয়ন।

পরমহংসঃ ৬০ কোটি প্রভুপাদঃ কৃষ্ণ এই সময় পর আসেন (হাসি) ব্রহ্মার একদিনে তিনি একবার আসেন

ভক্ত (৪)ঃ শ্রীল প্রভুপাদ, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুও কি ব্রহ্মার প্রতিদিনে একবার আসেন  ?

প্রভুপাদঃ হ্যাঁ। কৃষ্ণের পরপর। কৃষ্ণ দ্বাপর যুগে আসেন। চারটি যুগের সময়কাল আছে - সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি কৃষ্ণ দ্বাপর যুগের শেষে আসেন। আর চৈতন্য মহাপ্রভু আসেন কলিযুগে তাই প্রায় একই যুগ চক্রে যেমন সূর্য অনেক ঘণ্টা পর উদয় হয় , ঠিক সেইরকম এবং সূর্য কখনও অস্ত যায় না। সূর্য ইতিমধ্যেই আকাশে আছে এটা হয়ত অস্ট্রেলিয়াতে দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু অন্য দেশের লোকের কাছে তা হয়ত দেখা যাচ্ছে। সূর্য মারা যায় নি। তেমনই, কৃষ্ণও কালক্রমে এই বিশ্বে আবির্ভূত হতে থাকেন অনেক বছর পর পর, আট বিলিয়ন, নয় বিলিয়ন বছর পর। এরপর তিনি আরেকটি ব্রহ্মাণ্ডে যান ঠিক সূর্যের মতো , অস্ট্রেলিয়াতে অস্ত যাবার পর তা অন্য কোন দেশে যায়

তেমনই, কৃষ্ণও এই ব্রহ্মাণ্ডে তাঁর লীলা সংবরণ করে তিনি অন্য ব্রহ্মাণ্ডে যান এইভাবে চলতে থাকে ... আট মিলিয়ন, নয় মিলিয়ন বছর... শুধু কল্পনা কর, এইরকম কত কত ব্রহ্মাণ্ড আছে। তিনি একটা ব্রহ্মাণ্ডে ১২৫ বছর থাকেন সবকিছুই বলা আছে। সব গণনা আছে শাস্ত্রে। এখন আমরা কল্পনা করতে পারি যে কত কত ব্রহ্মাণ্ড আছে এইসব নিয়ে জড় জগত। সেই কথা বলা আছে...

অথবা বহুনৈতেন
কিম্‌ জ্ঞাতেন তবার্জুন
বিষ্ট্যভ্যহম্‌ ইদম্‌ কৃতস্নম্‌
একাংশেন স্থিতো জগত
(গীতা ১০.৪২)

এই জড় সৃষ্টি হচ্ছে ভগবানের সম্পূর্ণ সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ আর চার ভাগের তিন ভাগ হল চিন্ময় জগত। সেটিই ভগবান। কোন সস্তা ভগবান না। "আমি ভগবান"। আমরা এইসব সস্তা ভগবান মানি না।