BN/Prabhupada 0951 - আম গাছের একদম চূড়ায় সবচেয়ে পাকা আমটি রয়েছে

Revision as of 07:16, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720902 - Lecture Festival Sri Vyasa-puja - New Vrindaban, USA

আম গাছের চূড়ায় একটি সুমিষ্ট পাকা ফল রয়েছে শ্রীল প্রভুপাদঃ এই কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনটি এতোটাই সুন্দর, যে এটি যে কোনও মানুষকে পূর্ণ করে তোলে। জ্ঞানে পূর্ণ, শক্তিতে পূর্ণ, বয়সে পূর্ণ, সবকিছুতে। আমাদের অনেক কিছুর প্রয়োজন। এই জীবনের পরিপূর্ণতা, সেই প্রক্রিয়া যে কিভাবে জীবনকে পরিপূর্ণ করা যায়, তা আসছে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে। শ্রীকৃষ্ণ, তিনিই সবকিছুর উৎস। তাই এই জ্ঞানের পূর্ণতাও ওনার কাছ থেকেই আসছে, এবং ধারাবাহিকভাবে লক্ষ লক্ষ বছর পরে — শ্রীকৃষ্ণ আসেন। তিনি ব্রহ্মার একদিনে একবার আসেন। তাই ব্রহ্মার দিনগুলো, এমনকি একদিনও, একদিনের আয়ু, এটি গণনা করা খুব কঠিন। সহস্র-যুগ-পর্যন্তমর্হদ যদ্‌ ব্রাহ্মণো বিদুঃ (গীতা ৮/১৭) ব্রহ্মার একদিন মানে ৪৩৩ লক্ষ বছর। তাই ব্রহ্মার প্রতি একদিনে শ্রীকৃষ্ণ একবার করে আসেন। তার মানে ৪৩৩ লক্ষ বছর পর শ্রীকৃষ্ণ আসেন। তিনি কেন আসেন? কিভাবে একজন মানুষ তার জীবনকে সার্থক করে তুলতে পারে সেই সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করতে। তাই শ্রীমদভগবদগীতা হছে শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী যা এই যুগে এই দিনে প্রদান করা হয়েছে। এখন ব্রহ্মার একদিনে আমরা ২৮ তম যুগ অতিবাহিত করছি। না ২৮ তম...ব্রহ্মার একদিনে ৭১জন মনু আসেন এবং একজন মনুর আয়ু... সেটিও বহু লক্ষ বছর, ৭২ মন্বন্তর।

আমরা যথার্থ জ্ঞান হিসেব করতে আগ্রহী নই। এই যথার্থ জ্ঞানটি আসছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে। এবং এটি পরম্পরার ধারায় এসেছে, গুরু পরম্পরা। উদাহরণস্বরূপ, একটি আম গাছ। গাছের একদম শিখরে পাকা ফল রয়েছে এবং সেটার স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তো আমি যদি ওপর থেকে ফলটি ছুঁড়ে ফেলি, তাহলে এটা নষ্ট যাবে। তাই এটাকে একজন থেকে আরেকজনের হাতে হাতে করে দিতে হবে...তারপর এটা নিচে নেমে আসবে। তাই সমস্ত বৈদিক জ্ঞান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে। এবং এটি পরম্পরা ধারায় নেমে আসছে। ঠিক যেমন আমি মাত্র বর্ণনা করলাম যে , শ্রীকৃষ্ণ এই দিব্য জ্ঞান ব্রহ্মাকে দান করেছিলেন, এবং ব্রহ্মা নারদকে দান করেছিলেন। নারদ মুনি এই দিব্যজ্ঞান ব্যাসদেবকে দান করেছিলেন। ব্যাসদেব এই জ্ঞান মধ্বাচার্যকে দিয়েছিলেন। মধ্বাচার্য পরম্পরা ধারায় এই জ্ঞান দিয়েছিলেন, পরবর্তীতে মাধবেন্দ্র পুরী। মাধবেন্দ্র পুরী সেই জ্ঞান ঈশ্বরপুরী কে দিয়েছিলেন। ঈশ্বরপুরী সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন ভগবান শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে। তিনি সেই জ্ঞান দিয়েছিলেন তার কাছের শিষ্যদের, ষড়গোস্বামীদের। ষড়গোস্বামীগণ সেই জ্ঞান দান করেছিলেন শ্রীনিবাস আচার্য, জীব গোস্বামীকে। তারপর কবিরাজ গোস্বামী, বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর, জগন্নাথ দাস বাবাজী, তারপর ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, গৌর কিশোর দাস বাবাজী মহারাজ, তারপর আমার গুরুদেব, ভক্তিসিদ্ধান্ত স্বরস্বতী। তারপর আমরা সেই একই জ্ঞান দান করছি।

ভক্তবৃন্দঃ জয় প্রভুপাদ। হরিবোল।

প্রভুপাদঃ আমরা জ্ঞান তৈরি করি না, কারণ আমরা কিভাবে তৈরি করবো? নিখুঁত জ্ঞান মানে আমাকেও নিখুঁত হতে হবে। কিন্তু আমি ত্রুটিমুক্ত নই। আমরা প্রত্যেকেই, যখন আমি কথা বলছিলাম, কারণ... আমরাকেও ত্রুটিমুক্ত নই কারণ বদ্ধজীবনে আমরা চারটি ত্রুটি যুক্ত। প্রথম ত্রুটি টি হল আমরা ভুল করি। আমরা প্রত্যেকেই যারা এখানে বসে আছি, কেও বলতে পারবে না যে সে তার জীবনে কোন ভুল করে নি। না, এটাই স্বাভাবিক। " মানুষ মাত্রই ভুল করে"।