BN/Prabhupada 0956 - কুকুরের পিতা কুকুর সন্তানকে বলবে না - স্কুলে যাও। ওরা কুকুর প্রজাতির

Revision as of 07:17, 10 June 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


750623 - Conversation - Los Angeles

ডাঃ মাইজ: মন কীভাবে জানতে পারে যে সেখানে একটি আত্মা আছে?

প্রভুপাদঃ প্রফেসরদের থেকে শিক্ষা নিয়ে যাদের মন নির্মল আছে। শিক্ষার্থীরা তোমার কাছে কেন আসছে? কারণ তাদের মন নির্মল নেই। তোমাকে তাদের মন নির্মল করতে হবে, মনবিজ্ঞান শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে, অনুভুতি...চিন্তা, অনুভুতি,ইচ্ছা। তাই তাকে একজন জ্ঞানী ব্যাক্তির কাছে যেতে হবে যিনি জানেন কিভাবে মন কে বুঝতে হয়, কিভাবে মনের কার্যকলাপ বুঝতে হয়, কিভাবে তাদের সাথে ব্যবহার করা উচিত। তার জন্য শিক্ষার দরকার। একটি কুকুর সেই শিক্ষা নিতে পারে না, কিন্তু একজন মানুষ নিতে পারে। তাই এটা হচ্ছে প্রতিটা মানুষের কর্তব্য, কীভাবে মন কে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, কুকুর এবং বিড়ালের মতো আচরণ করা না। সেই মানুষ।তার জিজ্ঞাসু হওয়া উচিত, " কেন এটা হচ্ছে? কেন এটা হচ্ছে?" এবংতার শিক্ষা নেয়া উচিত। সেটাই মনুষ্য জীবন। এবং যদি সে জিজ্ঞাসা না করে, যদি সে শিক্ষা না নেয়, তাহলে তার এবং কুকুরের মধ্যে কি পার্থক্য আছে? সেও কুকুর হয়ে থাকবে। সে মনুষ্য দেহের এই সুযোগটি পেয়েছে। তার কোনটা কি তা বুঝতে পারার এই সুবিধা গ্রহণ করা উচিত, নিজেকে কুকুরের স্তরে রাখা উচিত নয়, শুধু খাওয়া, ঘুম, যৌন জীবন এবং আত্মরক্ষা। এটাই হল কুকুর এবং মানুষের মধ্যে তফাৎ। যদি সে এই সম্বন্ধে জিজ্ঞাসু না হয় যে কীভাবে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তাহলে সে একজন মানুষও না। একটি কুকুর কখনো জিজ্ঞাসা করে না। কুকুর জানে যে " যখন আমি ঘেউ ঘেউ করি, লোকেরা বিরক্ত হয়।" সে কখনও জিজ্ঞাসা করবে না, " কিভাবে এই ঘেউ ঘেউ করার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে হয়?"(হাসি) কারণ সে কুকুর, সে সেটা করতে পারে না। একটি মানুষ জানতে পারে যে "লোকে আমাকে ঘৃণা করে আমি কিছু ভুল করি।কিভাবে মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়?" সেই হল মানুষ। সেটাই হল মানুষ এবং কুকুরে মধ্যে পার্থক্য। সুতরাং বৈদিক নির্দেশ হল, " যাও এবং অনুসন্ধান করো। তুমি এই মনুষ্য দেহ পেয়েছ।" অথাতো ব্রহ্ম জিজ্ঞাসা। " এখন এটিই হচ্ছে সময় আত্মার সম্পর্কে অনুসন্ধান করার।" তদ্‌ বিজ্ঞানার্থম্‌ স গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ (মুণ্ডক উপনিষদ ১/২/১২) যদি তুমি এই বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে চাও, তাহলে সঠিক গুরুর কাছে যাও এবং তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করো। সেই একই জিনিস যা আমরা আমাদের সন্তানদের নির্দেশ দেইঃ " যদি তুমি জীবনে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চাও, স্কুলে যাও, কলেজে যাও, শিক্ষা নাও। এটাই মানব সমাজ। কুকুরের পিতা কখনোই কুকুরকে বলবে না যে, " তুমি স্কুলে যাও।" না। তারা কুকুর।

জয়তীর্থঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজকাল আত্মার প্রকৃতি সম্পর্কে কোন শিক্ষা দেয় না।

প্রভুপাদঃ তাই সে বলে, "কি সমস্যা যদি আমি একটি কুকুর হয়ে যাই?" কারণ সেখানে কোন শিক্ষা নেই। সে মানুষ এবং কুকুরের মধ্যে পার্থক্য জানে না। তাই সে বলে যে," কি সমস্যা যদি আমি একটি কুকুর হয়ে যাই? আমি কোনও অপরাধমূলক অভিযোগ ছাড়াই যৌনতার জন্য আরও সুবিধা পাব।" এটি হচ্ছে শিক্ষার আধুনিকতা।

ডাঃ মাইজঃ তাহলে মন কিভাবে জানবে যে সেখানীক্তি আত্মা আছে?

প্রভুপাদঃ সেটাই তো আমি বললাম, যে তোমাকে শিক্ষা দিতে হবে। এই মানুষগুলো কীভাবে আত্মার বিষয়ে নিশ্চিত? তাদেরকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। অনুশীলন এবং জ্ঞানের দ্বারা। সবকিছু শিক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে। এবং তাই বৈদিক নির্দেশ হল তদ্‌ বিজ্ঞানার্থম্‌, "বিজ্ঞানটি জানতে" গুরুমেবাভিগচ্ছেৎ," তোমাকে অবশ্যই গুরু, শিক্ষক এর কাছে যেতে হবে।" তাই উত্তরটি হল যে তোমাকে অবশ্যই শিক্ষকের কাছে যেতে হবে যে তোমাকে শেখাতে পারবে কীভাবে আত্মা সেখানে আছে।