BN/Prabhupada 0975 - আমরা ক্ষুদ্র ভগবান, অনু, ভগবানের গুণাবলীর আদলে গড়া: Difference between revisions

 
(Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
 
Line 9: Line 9:
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- END CATEGORY LIST -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
<!-- BEGIN NAVIGATION BAR -- DO NOT EDIT OR REMOVE -->
{{1080 videos navigation - All Languages|English|Prabhupada 0974 - Our Greatness is Very, Very Small, Infinitesimal. God is Great|0974|Prabhupada 0976 - There is No Question of Overpopulation. This is a False Theory|0976}}
{{1080 videos navigation - All Languages|Bengali|BN/Prabhupada 0974 - আমাাদের মহত্ত্ব হচ্ছে আমরা খুবই ক্ষুদ্র, আর ভগবান হচ্ছেন বিশাল|0974|BN/Prabhupada 0976 - অতিরিক্ত জনসংখ্যার কোন প্রশ্নই নেই। এটি একটি মিথ্যা তত্ত্ব|0976}}
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- END NAVIGATION BAR -->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->
<!-- BEGIN ORIGINAL VANIQUOTES PAGE LINK-->

Latest revision as of 07:08, 19 August 2021



730408 - Lecture BG 04.13 - New York

আমরা আকাশে ছোট স্পুটনিক ভাসাতে পারি, এবং তার জন্য আমরা অনেক কৃতিত্ব নিই, যে আমরা খুব মহান বিজ্ঞানী হয়ে গেছি। আমরা ভগবানের পরোয়া করি না। সেটা বোকামি। বোকারা সেভাবে বলবে। কিন্তু যে বুদ্ধিমান, সে জানে যে ভগবান আকাশে লক্ষ কোটি গ্রহ ভাসিয়ে রেখেছেন, এবং তার তুলনায় আমরা এমন কি বা করেছি? সেটি বুদ্ধিমত্তা। আমরা আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানচর্চায় খুব গর্বিত হয়ে উঠেছি, এবং তাই বর্তমান সময়ে, আমরা ভগবানের অস্তিত্বকে অস্বীকার করছি। মাঝে মাঝে আমরা বলি যে " আমি এখন ভগবান হয়ে গেছি।" এগুলো মূর্খের প্রলাপ।

পরম বুদ্ধিমত্তার তুলনায় তুমি কিছুই নও ... তিনিও বুদ্ধিমান। যেহেতু আমরা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই আমরা ভগবান সম্পর্কে জানতে পারি যদি আমরা আমাদের সম্পর্কে জানি। ঠিক যেমন যদি তুমি এক বিন্দু সমুদ্রের জল সম্পর্কে জান, যদি তুমি রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ কর, তুমি সেই বিন্দু জলে অনেকগুলো রাসায়নিক দ্রব্য পাবে। তখন তুমি সমুদ্রের উপাদান কি তা বুঝতে পারবে। সেই একই উপাদান। তবে বেশি পরিমাণে। সেটাই হচ্ছে ভগবান এবং আমাদের মধ্যে পার্থক্য। আমরা ক্ষুদ্র ভগবান, আমরা বলতে পারি, অণু, ভগবানের গুণাবলীর আদলে গড়া। তাই, আমরা অনেক গর্বিত। কিন্তু আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত নয়, কারণ আমাদের জানা উচিত যে আমাদের সব গুণাবলী গুলো আমরা ভগবানের থেকে পেয়েছি। যেহেতু আমরা ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মূলত এই সমস্ত গুণাবলী ভগবানের মধ্যে রয়েছে।

এবং তাই বেদান্ত-সূত্রে বলা আছে ভগবান কি, পরম সত্য কি? অথাতো ব্রহ্ম-জিজ্ঞাসা। যখন আমরা ভগবান সম্পর্কে, পরম সত্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি, অবিলম্বে উত্তর দেওয়া হয়ঃ জন্মাদি অস্য যতঃ (ভাগবত ১.১.১)। পরম সত্য সে যার থেকে সবকিছু আসে, সবকিছুর উৎপত্তি। সবকিছু ভগবানের থেকেই আসছে। তিনিই সমস্ত সরবরাহের মূল উৎস। এখন আমাদের অবস্থান কী? সেখানে অসংখ্য জীব রয়েছে। নিত্য নিত্যানাম্‌ চেতনশ্চেতনানাম্‌ (কঠোপনিষদ ২.২.১৩) সেটাই বৈদিক তথ্য। ভগবানও চেতন, আমাদের মতো, কিন্তু তিনি হচ্ছেন মূল চেতন। এবং আমরাও চেতন।

ঠিক যেমন একজন পিতা। পিতার কুড়িজন সন্তানও থাকতে পারে। বিশজন পুত্র. পূর্বে, তাদের একশ পুত্র হত। এখন পিতাদের তেমন কোনও শক্তি নেই। তবে পাঁচ হাজার বছর আগে পর্যন্ত, রাজা ধৃতরাষ্ট্র শত পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। এখন আমরা বলি যে, আমাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এটাই সত্য নয়। বর্তমান সময়ে, অধিক জনসংখ্যার প্রশ্ন কোথায়? এখন আমরা কজন শত সন্তানের জন্ম দিচ্ছি? না। কেও না। কিন্তু পূর্বে, একজন পিতা শত সন্তানের জন্ম দিতে পারতেন। তাই অতিরিক্ত জনসংখ্যার কোন প্রশ্নই ওঠে না। এবং যদি অতিরিক্ত জনসংখ্যা হয়, আমরা বেদসমূহ থেকে তথ্য পাইঃ একো বহুনাম্‌ যো বিদধাতি কামান্‌। একজন পরম চেতন ভগবান অসংখ্য চেতন জীবের ভরণপোষণ করতে পারেন।