BN/Prabhupada 0978 - যদি তোমাদের ব্রাহ্মণ প্রয়োজন না হয়, তবে তোমাদের ভোগ করতে হবে

Revision as of 07:09, 19 August 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


730408 - Lecture BG 04.13 - New York

ত্যাক্ত্বা দেহং পুনর্জন্ম নৈতি (গীতা ৪.৯) মানুষ এই জড় দেহের প্রতি অত্যন্ত আসক্ত তারা পরবর্তী জন্মে কুকুর এবং বিড়াল জন্ম পেতে তৈরি, কিন্তু তারা নিজ আলয়ে ফিরে যেতে, ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে প্রস্তুত নয়। এটাই সমস্যা। সমস্যাটা কেন? কারণ মানব সমাজ বিশৃঙ্খলায় রয়েছে। বিশৃঙ্খল অবস্থা। এখানে অবশ্যই চার শ্রেণীর বিভাগ থাকতে হবে। একটি শ্রেণী অবশ্যই ব্রাহ্মণ হবে, বুদ্ধিমান শ্রেণীর মানুষ। এবং একজন ক্ষত্রিয় হতে হবে, একটি শ্রেণী, প্রশাসক। মনুষ্য জাতির জন্য ভাল পরামর্শের মস্তিষ্ক প্রয়োজন, ভাল প্রশাসক, ভাল উৎপাদক এবং ভাল কর্মী। সেটাই হল ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্রের বিভাজন। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেনঃ চাতুর্বণ্যং ময়া সৃষ্টং (গীতা ৪.১৩)। মনুষ্য জাতির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য, চারটি বিভাজন থাকা উচিত। যদি তোমরা সেটাকে না বল, " আমাদের ব্রাহ্মণ প্রয়োজন নেই।" যদি তোমাদের ব্রাহ্মণ প্রয়োজন না হয়, তবে তোমাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে।

এবং যদি তোমরা মনে কর " শরীরের এই অংশটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, সবসময় খায়। একে কেটে ফেল।" তখন তুমি মরে যাবে। তেমনি, তোমার দেহকে ভাল রাখার জন্য, জীবিত রাখার জন্য, তোমার অবশ্যই মাথা থাকা দরকার, হাত থাকা দরকার, পেট থাকা দরকার, পা থাকা দরকার। তুমি বলতে পার না যে "আমি দেহের এই অংশটি উপেক্ষা করতে পারি।" না। একইরকমভাবে, চাতুর্বণ্যং ময়া সৃষ্টং (গীতা ৪.১৩)। সমাজের চারটি বিভাজন থাকা দরকার, অন্যথায় এটি বিশৃঙ্খল বা মৃতদেহ হবে।

বর্তমান সময়ে, সমস্যাটি হল এখানে কোন ব্রাহ্মণ নেই, কোন ক্ষত্রিয় নেই। এখানে শুধু বৈশ্য আর শুদ্র আছে, উদর, বৈশ্য মানে উদর এবং শুদ্র মানে পা। সুতরাং, চারটি বিভাগের মধ্যে যদি কেউ একটি চায়, তখন সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। চারটি বর্ণই থাকতে হবে। যদিও তুলনামূলকভাবে, মাথা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, তারপরও আপনি পা কে অবহেলা করতে পারেন না।

তাই আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। তাতে কিছু যায় আসে না, যদি কেউ খুব বুদ্ধিমান হয়। কেউ অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন। কেউ অল্প বুদ্ধিসম্পন্ন। চারটি বর্ণই সেখানে রয়েছে। সবথেকে বুদ্ধিমান শ্রেণী হল মাথা, মস্তিস্ক। আর তারপরের বুদ্ধিমান শ্রেণী হল, প্রশাসক, সরকার। তারপরের বুদ্ধিমান শ্রেণী, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী। তারপরের বুদ্ধিমান শ্রেণী হল কর্মী। তাদের সবাইকে দরকার। তবে বর্তমান সময়ে কেবল এই বণিক শিল্পপতি এবং শ্রমিক রয়েছেন। কোন মস্তিষ্ক নেই। কীভাবে সমাজ পরিচালনা হবে? কীভাবে মানব সমাজ নিখুঁত হয়ে উঠবে, কীভাবে মানব সমাজের লক্ষ্য পূরণ হবে, এই বিষয়গুলোর জন্য, কোন মস্তিষ্ক নেই।