BN/Prabhupada 0985 - মনুষ্য জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরম সত্য সম্পর্কে অনুসন্ধান করা

Revision as of 07:10, 19 August 2021 by Vanibot (talk | contribs) (Vanibot #0005: NavigationArranger - update old navigation bars (prev/next) to reflect new neighboring items)
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


720905 - Lecture SB 01.02.07 - New Vrindaban, USA

পশু জীবনে আমরা তা পারি না। অনেক বড় বড় পশু, বাঘ, সিংহ এবং হাতি আছে এবং বড় বড় গাছও আছে, তারাও জীব। বড়, বড় তিমি মাছ সমুদ্রের মধ্যে, খুব বিশাল। বড়, বড় পাহাড়। পাহাড়, তারাও জীবন পেয়েছে। কিন্তু তারা ভগবান সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারে না, এটি সম্ভব নয়। তুমি এই মনুষ্য জন্মে ভগবান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পার, এটাই ঠিক। তাই যে কোন সভ্য সমাজে, ভগবানকে জানার ইচ্ছা থাকে, তাকেই ধর্ম বলা হয়। এক হতে পারে, বা স্তর বিভিন্ন হতে পারে। ঠিক ভারতের মত, তারাও জানতে চাইছে। এখন নয়, এই মুহূর্তে নয়। তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু শত সহস্র বছর পূর্বে। হাজার নয়। এমনকি দু'শো বছর আগেও, ভগবান সম্পর্কে জানতে ভারতবর্ষ এতটাই আগ্রহী ছিল। এমনকি একজন চাইনিজ ভদ্রলোক, তিনি একটি বই লিখেছেন, দার্শনিক, যা প্রস্তাবিত - আমি বইটির নাম, শিরোনাম ভুলে গিয়েছি - যা নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের ক্লাসে পড়ানো হয়। সেই বইয়ে তিনি লিখেছেন যে যদি তুমি ভগবান সম্পর্কে জানতে চাও, যদি তুমি ধর্ম সম্পর্কে জানতে চাও, তাহলে তুমি অবশ্যই ভারতে যাও। হ্যাঁ, সেটাই বাস্তব। কারণ অন্য কোন দেশে মহান সাধু সন্তরা ভগবানকে জানার জন্য নিজেকে ঐকান্তিকভাবে উৎসর্গ করেন নি। তাই সেখানে বেদান্ত সূত্র আছে।

তাই আমাদের জানা উচিত যে ভগবান এক। ভগবান ভিন্ন নন। ভগবানের কোন প্রতিযোগিতা হতে পারে না। মত্তঃ পরতরং নান্যৎ কিঞ্চিদস্তি ধনঞ্জয় (গীতা ৭.৭) ভগবানের থেকে শ্রেষ্ঠ কেও হতে পারে না। তাই ভগবানকে মহান বলা হয়। ভগবানকে পরম বলা হয়। তাই ধর্ম মানে, প্রথম শ্রেণীর ধর্ম মানে, অনুগামীরা কীভাবে ভগবানকে বোঝাার চেষ্টা করছে। এটাই প্রথম শ্রেণীর ধর্ম। এমন নয় যে আমরা কতগুলো পশু বলি দিতে পারি বা আমরা কতবার ... প্রতিটি ধর্মে অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে। তবে, আমাদের এই ফলাফলটি পরীক্ষা করতে হবে, ফলেন পরিচিয়তে। সবকিছু...ঠিক যেমন আমরা অনেক অধ্যয়ন করেছি, একজন বিজ্ঞানমনষ্ক, কিন্তু সেখানে পরীক্ষা রয়েছে। যদি কেউ পরীক্ষায় পাশ করে, তখন বোঝা যায় যে সে ভালভাবে অধ্যয়ন করেছে। এটা আমাদের সাধারণ জ্ঞান। স্কুল, কলেজ, সব জায়গায় রয়েছে। যদি আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারি আর নিজের বিজ্ঞাপন দেই, "ওহ, আমি এটা পড়েছি, আমি ওটা পড়েছি," তাহলে তার কি মূল্য থাকবে? ধর, কেউ ব্যবসা করছে। যদি আমরা দেখি যে ব্যবসা করে সে কিছু ধন উপার্জন করেছে, সে ধনী হয়ে গেছে, তবে আমরা বুঝব যে সে একজন সফল ব্যবসায়ী। কিন্তু যদি সে গরীব থাকে এবং সে বলে, "আমি এটা করেছি, আমি ওটা করেছি," তুমি তা বলতে পার কিন্তু আমরা তা ফলের দ্বারা দেখতে চাই। ফলেন পরিচীয়তে। এটি একটি সংস্কৃত ভাষ্য। কিন্তু আমাদের ফলের দ্বারা বুঝতে হবে, ফলেন, তুমি কি ফল পেয়েছ। তোমার পরীক্ষার খাতার মূল্য কত, তুমি কত নম্বর পেয়েছ। একইভাবে আমরা নিজেকে খুব ধার্মিক বলে জাহির করতে পারি, বিখ্যাত ধর্মের অনুসারী, কিন্তু এটা কি? তুমি কতটা ভগবৎ ভাবনাময় হতে পেরেছ, তুমি কতটা ভগবানকে ভালবাসতে শিখেছ।