BN/Prabhupada 1070 - ভগবত সেবা জীবের শাশ্বত ধর্ম

Revision as of 23:19, 3 September 2015 by Rishab (talk | contribs) (Created page with "<!-- BEGIN CATEGORY LIST --> Category:1080 Bengali Pages with Videos Category:Prabhupada 1070 - in all Languages Category:BN-Quotes - 1966 Category:BN-Quotes - L...")
(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)


Invalid source, must be from amazon or causelessmery.com

660219-20 - Lecture BG Introduction - New York

উপরে বর্ণিত সনাতন ধর্মের ধারণার আলোকে , ধর্ম শব্দটির সংস্কৃত মূল অর্থের আলোকে আমরা ধর্মের ধারণা বুঝার চেষ্টা করতে পারি | এর অর্থ হল যা কোন বস্তুর সাথে অবিচ্ছেদ্য ভাবে জড়িয়ে আছে। যেমনটি আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি, যখন আমরা "আগুনের " কথা বলি, সাথে সাথে এটাও পরিস্কার যে আগুনের সাথে তাপ ও আলো বিদ্যমান। তাপ ও আলোক ব্যতিত, আগুন শব্দের কোন অর্থই নেই। একইভাবে জীবের অবিচ্ছেদ্য বিষয়টি কি যা তার অস্তিত্বের সাথে সদা সর্বদা বর্তমান। সেই অবিচ্ছেদ্য অংশটি হল জীবের শাশ্বত গুনাবলী , এবং সেই শাশ্বত গুনাবলী হল জীবের সনাতন ধর্ম। জীবের স্বরূপ সম্পর্কে যখন সনাতন গোস্বামী শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন - আমরা ইতিমধ্যেই জীবের স্বরূপ সম্পর্কে আলোচনা করেছি - স্বরূপ অথবা জীবের প্রকৃত স্বত্তা , মহাপ্রভু প্রত্যুত্তরে বললেন, জীবের স্বরূপ হচ্ছে পরম পুরুষ ভগবানের সেবা করা। এখন যদি আমরা শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর এই উক্তিটি বিশ্লেষণ করি, আমরা পরিস্কারভাবেই দেখতে পাই যে প্রতিটি জীব ই কোন না কোন ভাবে অন্য জীবের সেবায় নিয়োজিত। প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী এক জীব অন্য জীবের সেবা করছে, এবং এইভাবে এক জীব অন্য জীবকে ভোগ করে। নিকৃষ্ট স্তরের প্রাণীরা মনুষ্যের সেবা করছে, ভৃত্য তার প্রভুর সেবা করছে, ক , খ এর সেবা করছে, খ করছে গ এর, গ করছে ঘ এর এবং এইভাবে বিস্তৃত। পরিস্থিতি অনুযায়ী এক বন্ধু অন্য বন্ধুর সেবা করছে, এবং মা তার ছেলের সেবা করছে অথবা স্ত্রী তার স্বামীর সেবা করছে , অথবা স্বামী তার স্ত্রীর। আমরা যদি এইভাবে অনুসন্ধান করতে থাকি , তাহলে দেখা যাবে যে, সমাজে এর ব্যতিক্রম নেই, যেখানে আমরা এই সেবা করার মানসিকতা দেখতে পাই না। রাজনীতিবিদেরা জনগনের সামনে তাদের প্রচারণা তুলে ধরে এবং তার সেবা করার ক্ষমতা সম্পর্কে ভোটারদের বোঝায়। ভোটার রা ও রাজনীতিবিদ কে তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করে এই প্রত্যাশা থেকে যে, রাজনীতিবিদরা সমাজের সেবা করবে। দোকানদার গ্রাহকদের সেবা করে এবং শিল্পী পুজিপতি দের সেবা করে। পুজিবাদীরা তাদের পরিবারের সেবা করে, পরিবারের অন্য সদস্যরা প্রধান কর্তা ব্যক্তিকে সেবা করে। এইভাবে আমরা দেখি যে, কেউ ই এই পরিধির বাইরে নয় - অন্য জীবের প্রতি সেবা করার অনুশীলন থেকে, তাই আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে সেবা করার প্রবণতা জীবের অস্তিত্বের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ , তাই এটা নিরাপদ ভাবেই বলা যায় যে, জীবের এই সেবা করার প্রবণতা তার নিত্য ধর্ম। যখন একজন মানুষ কোন সুনির্দিষ্ট বিশ্বাসে বিশ্বাসী , জন্ম ও পারিপার্শ্বিক স্থান কাল বিবেচনায়, এবং এইভাবে নিজেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান বা অন্য কোন সম্প্রদায়ভুক্ত বলে দাবি করে , এই উপাধি গুলো ক্ষনস্থায়ী ধর্ম। একজন হিন্দু তার বিশ্বাস পরিবর্তন করে মুসলিম হতে পারে, অথবা একজন মুসলিম তার বিশ্বাস পরিবর্তন করে হিন্দু বা খ্রিস্টান হতে পারে, কিন্তু সমস্ত পরিস্থিতিতেই, ধর্মীয় বিশ্বাসের এই পরিবর্তন কোন একজন ব্যক্তিকে অন্য জীবের প্রতি সেবা করার নিত্য মানসিকতা থেকে নিবৃত্ত করতে পারে না। একজন হিন্দু, বা মুসলিম বা খ্রিস্টান , সমস্ত পরিস্থিতিতেই, অন্য কারো ভৃত্য, তাই কোনো বিশ্বাসের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা সনাতন ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না, কিন্তু জীবের নিত্য সঙ্গী , সেবা করা, জীবের সনাতন ধর্ম। তাই, বাস্তবিক অর্থেই, আমরা ভগবানের সাথে সেবা করার সম্পর্কে সম্পর্কিত। ভগবান হলেন পরম ভোক্তা, এবং আমরা জীবেরা তাঁর নিত্য দাস। আমরা তার উপভোগ্যের জন্য সৃষ্ট। এবং আমরা যদি ভগবানের নিত্য সেবায় এইভাবে নিয়োজিত হই তাহলেই আমরা সুখী হই, অন্যথায় নয়। স্বাধীনভাবে, যা পূর্বে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, স্বাধীনভাবে, শরীরের যেকোন অঙ্গ, হাত, পা , আঙ্গুল, অথবা যেকোন অঙ্গ, সুখী হতে পারে না পাকস্থলীর সাথে যোগাযোগ ব্যতিরেকে, একইভাবে, জীব সুখী হতে পারে না পরম পুরুষোত্তম ভগবানের সেবা ব্যতিরেকে। দেব দেবীদের উপাসনা ভগবত গীতায় অনুমোদন নেই। কারণ... ভগবত গীতার সপ্তম অধ্যায়ের ২০ তম শ্লোকে বলা হয়েছে, ভগবান বললেন, কামৈস তৈস তৈর ঋত জ্ঞানা প্রপদ্যন্তে ন্য দেবতা কামৈস তৈস তৈর ঋত জ্ঞানা | যারা কামের দ্বারা আচ্ছাদিত, তারাই ভগবান, কৃষ্ণকে বাদ দিয়ে দেবতাদের পূজা করে |