"প্রতি যুগে, এক শ্রেণীর লোক থাকে যারা খুব বুদ্ধিমান হয়। সেই বুদ্ধিমান শ্রেণীর লোকদের ব্রাহ্মণ বলা হয়। পরের শ্রেণী হলো প্রশাসনিক। যারা রাজনীতিতে যোগ দেয় রাজ্যের, সরকারের প্রশাসনের, তাদের ক্ষত্রিয় বলা হয়। ক্ষত্রিয়োর প্রকৃত অর্থ হলো, 'যারা অন্যদের হতো হওয়া থেকে রক্ষা করে'। তারাই ক্ষত্রিয়। তার মানে এই প্রশাসনের, সরকারের কাজ। তো ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় তারপর বৈশ্য। বৈশ্য মানে যারা উৎপাদন করে, যারা সকলের ভক্ষণের জন্য জিনিস উৎপাদন করে। ব্যবসায়ী, শিল্পী, এদের বৈশ্য বলে। এবং শেষ, চতুর্থ শ্রেণী, তাদের শূদ্র বলে। শূদ্র মানে এরা বুদ্ধিমান, প্রশাসনিক বা শিল্পী নয়, কিন্তু এরা অন্যের সেবা করতে পারে। ব্যাস। সুতরাং বলা হয়েছে কলৌ শূদ্র সম্ভব। এই যুগে, বিশ্ববিদ্যালয় সেখান হচ্ছে কি করে শূদ্র হতে হয়।"
|