"শ্রীভগবান এবং জীবের মধ্যে পার্থক্যটি হচ্ছে চেতনার পরিমাণের। আমাদের চেতনা সীমিত আর শ্রীকৃষ্ণের চেতনা অসীম, অত্যন্ত গভীর। তাই আমরা হয়তো আমাদের পূর্ব জন্মের সবকিছু ভুলে যেতে পারি, কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ ভোলেন না। শ্রীকৃষ্ণ আমাদের প্রত্যেকটা কর্মের হিসাব রাখেন। তিনি তোমার হৃদয়ে বিরাজমানঃ ঈশ্বরঃ সর্বভূতানাম্ হৃদ্দেশেহর্জুন তিষ্ঠতি (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১৮/৬১) উনি হিসেব রাখছেন। তুমি কিছু করতে চেয়েছিলে, শ্রীকৃষ্ণ বলেন "ঠিক আছে" "কর"। তুমি বাঘ হতে চেয়েছিলে? শ্রীকৃষ্ণ বলবেন "ঠিক আছে, "তুমি বাঘ হয়ে অন্য পশুদের শিকার কর আর তাজা রক্ত পান করে তোমার ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্ত কর"। অতএব শ্রীকৃষ্ণ তোমাকে সুযোগ প্রদান করেন। একইভাবে যদি তুমি কৃষ্ণময় হতে চাও, কৃষ্ণভাবনাময় হতে চাও আর ভগবানের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে চাও, তবে ভগবান তোমাকে সেই সুবিধাও দেবেন। সবরকম সুবিধা ভগবান তোমাকে দেবেন। যদি তুমি কিছু হতে চাও, তিনি তোমাকে তা হওয়ার পূর্ণ সুবিধা দেবেন। যদি তুমি ভগবানকে ভুলতে চাও, তবে তিনি তোমাকে এতোই বুদ্ধি দেবেন যাতে তুমি তাকে চিরকালের জন্য ভুলে থাকতে পার। আর যদি তুমি ভগবানের সঙ্গ লাভ করতে চাও, তিনি তোমাকে সে সুযোগও দেবেন, ব্যক্তিগত সঙ্গ লাভের সুযোগ দেবেন, ঠিক যেমন ব্রজগোপিকারা এবং গোপবালকেরা ভগবানের সাথে খেলাধুলা করতেন।
|