"সুতরাং আমাদের ভক্তি অনুশীলনের প্রক্রিয়াটা স্বয়ং ভগবানকে ব্যক্তিগত ভাবে উপস্থিত দেখার জন্য নয়। ঠিক যেমন কর্মীরা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলে,'আমরা কি ভগবানকে সামনাসামনি দেখেছি কি না?' না, এটা আমাদের পদ্ধতি না। আমাদের প্রক্রিয়াটি আলাদা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের যেমনটি শিক্ষা দিয়েছেন, আশ্লিষ্য বা পাদরতাং পিনষ্টু মামদর্শনান্মর্মহতাং করোতু বা অদর্শনাম (চ.চৈ. অন্ত ২০.৪৭)। প্রত্যেক ভক্তই দেখতে চায়, কিন্তু শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে,"এমন কি তুমি যদি আমাকে অদর্শন দ্বারা চির জনমের জন্যও মর্মাহত কর, সেটাও কোন ব্যাপার নয়। তবু তুমি আমার প্রাণনাথ। " এটাই শুদ্ধ ভক্ত। এরকম একটি গান আছে-'হে আমার প্রিয় প্রভু, দয়া করে আমার সামনে আসো আর তোমার বাঁশি বাজিয়ে নৃত্য কর।' এটা ভক্তি না। না, এটা ভক্তি হতে পারে না। মানুষ ভাবতে পারে, আহা, তিনি কতো মহান ভক্ত, তিনি কৃষ্ণকে তার সামনে এসে নৃত্য করার জন্য বলেছেন। এর মানে হচ্ছে সে শ্রীকৃষ্ণকে আদেশ করছে। একজন ভক্ত শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে কোন কিছু পাওয়ার জন্য তাঁকে আদেশ করেন না কিংবা চান না, শুধুই ভালবাসেন। এটাই শুদ্ধ ভক্তি।"
|