"যদি তুমি খুব সুন্দর একটি ফুল রং কর, কতটা শ্রম তোমাকে দিতে হবে। তবুও তা কখনই প্রাকৃতিক বা সত্যিকারের ফুলের মতো সুন্দর হবে না। তাই এটা ভেবো না যে প্রাকৃতিক ফুলটি দুর্ঘটনাক্রমে এসেছে। না। এটি শ্রীকৃষ্ণের পরিচালিত যন্ত্রের মাধ্যমে এসেছে। সেটিই হচ্ছে কৃষ্ণভাবনাময় উপলব্ধি। এই কথা শাস্ত্রে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, 'পরাস্য শক্তির্বিবিধৈব শ্রুয়তে' (শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৬/৮)। পরা বা পরমেশ্বর ভগবান, তাঁর বহু প্রকার শক্তি রয়েছে। ঠিক যেমন একটি যন্ত্র ক্রিয়াশীল, তেমনই সেই সব শক্তিগুলোও ক্রিয়াশীল। একজন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত শক্তি বা ক্ষমতা তুমি দেখতে পার। ঠিক যেমন বিমানে একজন বিমানচালক বসে রয়েছে; সে একটি বোতাম টিপছে, সঙ্গে সঙ্গে তা চলতে শুরু করে। কেবলমাত্র একটি বোতাম চাপার ফলেই এতো বিশাল একটি যান্ত্রিক ব্যবস্থা চলতে শুরু করে। সুতরাং এটি হচ্ছে শক্তির ব্যবস্থাপনা। ঠিক তেমনই, এই সম্পূর্ণ জড় জগতটিও একটি নির্দিষ্ট বোতাম চাপার ফলেই ক্রিয়াশীল হচ্ছে। এমনটা ভেব না যে এই সবকিছু আপনা থেকেই বা দুর্ঘটনাক্রমে চলছে। এই সমস্ত চিন্তা কেবল মুর্খামি মাত্র। সমস্ত কিছুর পেছনেই একটি হাত রয়েছে।"
|