"আমরা প্রত্যেকেই আমাদের এই দেহকেই আমাদের স্বরূপ বলে পরিচয় দিচ্ছি। যেমন কেউ যদি আমাদের জিজ্ঞাসা করে যে আমি কে, উত্তরে আমি বলছি, 'আমি অমুক বাবু, আমি ভারতীয়, আমি এই, আমি ঐ,'। সে তাঁর দেহের পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু সে আসলে তা নয়। সে তার দেহ নয়। সেইটিই হচ্ছে আত্মোপলব্ধি। সেইটিই হচ্ছে ভগবদগীতার সূচনা, 'দেহিনোহস্মিন্ যথা দেহে (ভগবদগীতা ২/১৩)-দুটি বিষয় রয়েছে, দেহ, এই শরীরটি, এবং অস্মিন্ দেহে, সেখানে রয়েছে দেহিনঃ, দেহের মালিক। এটিই হচ্ছে পারমার্থিক শিক্ষার সূচনা। কারণ, সাধারণত শতকরা ৯৯.৯ ভাগ লোকই মনে করছে, 'এই দেহটিই আমি'।"
|