BN/Prabhupada 0096 - আমাদের ব্যাক্তি ভাগবত থেকে অধ্যয়ন করা উচিত
Lecture on BG 13.4 -- Miami, February 27, 1975
আমি চিন্তা করছি, "আমেরিকান, ভারতীয়, হিন্দু, মুসলিম," আমার হৃদয়ে এইসব নোংরা জিনিস। তুমি তোমার হৃদয় পরিষ্কার কর। হৃদি অন্তস্থঃ অভদ্রানি। এই নোংরা জিনিসগুলো আমার ভিতরে রয়েছে, তাই আমরা যদি আমাদের হৃদয়কে পরিষ্কার করি তবে আমরা এইসব উপাধি থেকে মুক্ত হব। নষ্ট-প্রায়েষু অভদ্রেষু নিত্যং ভাগবতসেবয়া (শ্রী.ভা.১.২.১৮) নষ্ট-প্রায়েষু। এই নোংরা জিনিসগুলি পরিষ্কার হবে যদি প্রত্যহ শ্রীমদ্ভাগবতম ও ভাগবদগীতা শোনা হয়। নিত্যম্ ভাগবত...
আর ভাগবত মানে ব্যক্তি ভাগবত এবং গ্রন্থ ভাগবত। ব্যক্তি ভাগবত হচ্ছেন গুরুদেব। অথবা কোনও বড় ভক্ত। তিনি ভাগবত, মহাভাগবত, ভাগবত। সুতরাং ভাগবত-সেবয়া মানে শুধুমাত্র এই নয় ভগবদ্গীতা এবং ভাগবতম পড়া, কিন্তু আমাদেরকে এই ব্যক্তি ভাগবত থেকে শিখতে হবে। এটা প্রয়োজন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু উপদেশ দিয়েছেন, ভাগবত পড় গিয়া ভাগবত স্থানে। "যদি তুমি ভাগবত শিখতে চাও, তাহলে ব্যক্তি ভাগবতের কাছে যাও যিনি স্বরূপ সিদ্ধ।" পেশাদার ব্যাক্তির কাছে না। সে তোমাকে সাহায্য করতে পারবে না। পেশাদার - আমি মন্দিরে যাই, গির্জায় যাই, এবং আবার নারকীয় জীবনেও যাই... , না। তুমি কেবল আত্মোপলব্ধ ব্যক্তি ভাগবতের সঙ্গ কর। এবং উনার কাছ থেকে এই একই গ্রন্থ শ্রবণ কর, একই জ্ঞান। শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধি। যেমন শ্রীকৃষ্ণ বলছেন তৎ সমাসেন মে শৃণু। মে শৃণুঃ "আমার কাছ থেকে শোনো অথবা আমার প্রতিনিধির কাছ থেকে শোনো, তাহলে তোমার লাভ হবে।"
তাই এইসব কেন্দ্র খুলতে হচ্ছে, কেবল পীড়িত লোকদের সুযোগ দেবার জন্য শুধু এই জীবনে নয়, জন্ম জন্মান্তরে।
- এই রূপে ব্রহ্মাণ্ড ভ্রমিতে কোন ভাগ্যবান জীব
- গুরু-কৃষ্ণ কৃপায় পায় ভক্তিলতা বীজ
সুতরাং এটি আমাদের দায়িত্ব, আমরা কৃষ্ণের জন্যে এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। শ্রীকৃষ্ণ ব্যক্তিগত ভাবে এসেছেন আমাদের শিক্ষা দিতে। যেমন তিনি আমাদের জন্য শ্রীমদ্ভাগবতম রেখে গেছেন। তারপর তিনি এটা গচ্ছিত রেখেছেন তাঁর ভক্তদের কাছে, সাধারণ মানুষদের কাছে বর্ণনা করার জন্য। এটি আমরা করার চেষ্টা করছি। আমরা আমাদের মন থেকে কিছু তৈরি করছি না। সমস্ত সম্পদ আগে থেকেই আছে। আমরা কেবল পিয়ন হিসাবে বিতরণ করছি। ব্যাস। এবং আমাদের কোন অসুবিধা নেই। যদি আমরা কেবল শ্রীকৃষ্ণের নির্দেশ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাকে যথযথভাবে উপস্থাপন করি, তবে আমাদের দায়িত্ব শেষ। আমাদের কিছু তৈরী করার প্রয়োজন নেই; না আমাদের কিছু তৈরী করার ক্ষমতা আছে। ঠিক যেমন অনেকে আছে তারা নতুন ধরনের ধারণা তৈরি করে, নতুন ধরনের দর্শন ..., সমস্ত অর্থহীন। এটা সাহায্য করবে না। প্রকৃত জ্ঞান লাভ কর।