BN/Prabhupada 0145 - আমাদের অবশ্যই কিছু তপস্যা গ্রহণ করা উচিত



Lecture on SB 3.12.19 -- Dallas, March 3, 1975

স্বাধীনতা আপনা থেকে আসে না। ঠিক যেমন আপনাদের রোগ হয়। আপনি কিছু রোগের অধীনে আছেন, জ্বর বা অন্য কোন বেদনাদায়ক অবস্থার নিয়ন্ত্রণ অধীনে আছেন। অতএব আপনাকে কিছু অনুশোচনা সহ্য করতে হবে। ঠিক যেমন আপনার শরীরের কিছু ফোলা অংশের জন্য ভুগছেন। এটা খুব বেদনাদায়ক। তারপর, এটি নিরাময় করার জন্য, আপনাকে সার্জারি অপারেশন সহ্য করতে হবে, আপনি যদি নিরাময় করতে চান তাহলে। অতএব তপ্যসা এটাই তপ্যসা। তপ মানে বেদনাদায়ক অবস্থা, তপ। যেমন তাপমাত্রা্র মত, যদি আপনাকে উচ্চ তাপমাত্রায় রাখা হয়, ১১০ ডিগ্রিতে, তারপর এটি আপনার জন্য খুব অসহিষ্ণু হয়। এটা খুব বেদনাদায়ক। যদিও আমাদের ভারতীয়দের জন্য - আমরা ভারতে জন্মগ্রহণ করি, গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু - তবুও যখন, তাপমাত্রা একশতের বেশি হয়, এটি অসহনশীল হয়ে পরে। আর আপনাদের কথা কি বলব? আপনারা একটি ভিন্ন তাপমাত্রায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তেমনই আমরা কম তাপমাত্রা সহ্য করতে পারি না। যদি এটা ৫০ ডিগ্রির কম হয়, তাহলে আমাদের জন্য অসহনীয় হয়ে যায়। তাই আলাদা ধরনের জলবায়ু আছে, আলাদা তাপমাত্রা। এবং কানাডাতে শুন্য থেকেও চল্লিশ ড্রিগ্রী কম তারা সহ্য করে। তাই এটি জীবনের বিভিন্ন অবস্থার একটি প্রশ্ন। কিন্তু আমরা শর্তযুক্ত: উচ্চ মাপের তাপমাত্রা, কম তাপমাত্রা, উচ্চ মাপের ঠান্ডা। কিন্তু আমরা যে কোনও প্রকার শর্তাধীন জীবনের জন্য প্রশিক্ষিত হতে পারি। আমাদের ক্ষমতা আছে। একটি বাংলা প্রবাদ আছে, শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাহা সয়, মানে "এই শরীর "এটি যে কোন শর্ত সহ্য করতে পারে, আপনি যা অনুশীলন করবেন।" এটা এমন নয় যে, আপনি নির্দিষ্ট অবস্থার অধীনে রয়েছেন এবং আপনি যদি পরিবর্তিত হয়ে থাকেন তবে এটি এতটা অসহনশীল যে আপনি বেঁচে থাকতে পারবেন না। না। আপনি যদি অনুশীলন করেন ...

শুধু এই সময়ের মতো কেউ যাচ্ছে না। পূর্বে তারা হিমালয় পর্বতমালায় যাচ্ছিল, এবং সেখানে খুব শীত। এবং তপস্যা ... অনুশীলন, পদ্ধতি আছেঃ সংঘাতিক গরমের মধ্যে ধার্মিক ব্যক্তি বা ঋষিরা, তারা চারিদিকে থেকে আগুন জ্বালায়। প্রথম থেকেই উচ্চ তাপমাত্রা আছে, এবং তবুও তারা বৃত্তাকারে আগুন জ্বালায় এবং এইভাবে, ধ্যান চলে। এটা তপস্যা। এগুলির তপস্যার সামগ্রী। তীব্র গরম আছে এবং তবুও তারা সেটার ব্যবস্থা করে। ভীষন ঠান্ডা আছে, শত ডিগ্রীর কম, এবং তারা জলের নিচে যায় এবং শরীরকে এই পরিস্থিতীতে ফেলে এবং ধ্যান করে। এগুলি হচ্ছে তপস্য সামগ্রী। তপস্যা। অতএব ভগবান উপলব্ধি করার জন্য পূর্বে মানুষ যেমন তীব্র ধরনের আক্ষেপ সহ্য করত, এবং বর্তমান মুহূর্তে আমরা এত পতিত হয়ে পড়েছি, আমরা এই চারটি নিয়ম সহ্য করতে পারি না? এটা কি খুব কঠিন? আমরা কিছু তপস্যা প্রয়োগ করছি, যে "এই জিনিসগুলি করিও না। কোন অবৈধ যৌনতা নয়, কোন নেশা নয়, মাংস খাওয়া নয়, জুয়া খেলা নয়।" এই কৃষ্ণভাবনামৃতে আগে চলার জন্য এইগুলি তপস্যার বস্তু। তাই এটা কি খুব কঠিন? এটা কঠিন নয়। যদি কেউ অনুশীলন করতে পারেন, ঠান্ডা জলের মধ্যে ঘাড় পর্যন্ত ডুবে থেকে, এটা অবৈধ যৌনতা, মাংস খাওয়া এবং নেশা থেকেও কি আরো কঠিন নয়? আমরা পরামর্শ দিচ্ছি না, "কোন যৌনতা করো না।" অবৈধ যৌনতা করোনা সুতরাং অসুবিধা কোথায়? কিন্তু এই বয়সটি এত কম যে এই প্রাথমিক তপস্যা আমরা চালাতে পারি না। এটি অসুবিধা।

কিন্তু যদি আপনি ভগবানকে উপলব্ধি করতে চান, যেমন এখানে বলা হয়, তপস্যয়া, শুধুমাত্র তপস্যা, কেবল আক্ষেপ দ্বারা, কেউ বুঝতে পারে অন্যথায় নয়। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়। তাই এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তপস্যয়া। তপস্যা এবঃ "কেবলমাত্র তপস্যা।" অন্য কোন উপায় নেই। তপস্যা এব পরম্‌। পরম মানে পরমেশ্বর যদি আপনি পরমেশ্বর ভগবানকে বুঝতে চান, তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট ধরণের তপস্যার সাথে অবশ্যই একমত হতে হবে। অন্যথায় এটি সম্ভব নয়। প্রাথমিক সামান্য তপস্যা। যেমন একাদশী। এটি একটি তপস্যার বিষয়। প্রকৃতপক্ষে একাদশীর দিন আমাদের কোন খাবার খাওয়া উচিৎ নয় এমনকি জল পর্যন্ত। কিন্তু আমাদের আন্দোলনে আমরা এতটা কঠিন করছি না। আমরা বলছি,"একাদশী, আপনি শস্য খাবার খাবেন না। একটু ফল, দুধ খান।" এই হচ্ছে তপস্যা। তাই আমরা এই তপস্যার জন্য কোন বাহানা দিতে পারি না? যদি আমরা এই খুব, খুব সহজ সহ্যময় তপস্যা গ্রহণ করতে প্রস্তুত না হই, তাহলে কিভাবে আমরা আশা করতে পারি বাড়িতে ফিরে যাবার, ভগব্ধামে ফিরে যাবার? না সেটি সম্ভব নয়। তারপর এখানে বলা হয়েছে, তপস্যৈব তপস্যা এব। এভ মানে অবশ্যই। তোমাকে করতেই হবে। এখন এই তপস্যা, আক্ষেপ, তুমি কি ক্ষতিগ্রস্থ? আপনি ক্ষতিগ্রস্থ নন। এখন, যারা বাইরে থেকে আসবে, তারা আমাদের সমাজ, আমাদের সদস্য, ছেলে ও মেয়েদের দেখতে পাবে। তারা বলে, "উজ্জ্বল-চেহারা।" তারা বলে কিনা? তারা পার্থক্য দেখে। সাদা কাপড়ে এক পুজারী ... আমি লস এঞ্জেলেস থেকে হাওয়াই জাহাজে করে যাচ্ছিলাম। একজন পুজারী সে বিমানে আমার কাছে এসেছিল। তাই সে আমার অনুমতি জিজ্ঞাসা করছিল, "আমি কি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি?" " হ্যাঁ কেন নয়?" সুতরাং তার প্রথম প্রশ্ন ছিল যে " আমি আপনার শিষ্যকে দেখছি খুব উজ্জ্বল চেহারা। কিভাবে এটি করা হয়েছে?" সে আন্তরিক। সুতরাং ক্ষতি কোথায়? এইভাবে, এই সব জিনিস অস্বীকার করে, পাপী কার্যক্রম ত্যাগ করে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই নি। আমরা খুব সহজভাবে জীবনে বাঁচতে পারি। আমরা মেঝেতে বসতে পারি, আমরা মেঝেতে শুয়ে থাকতে পারি। আমাদের অনেক আসবাবপত্র প্রয়োজন হয় না, অনেক দামের সুন্দর পোষাকের। তাই তপস্যা প্রয়োজন। যদি আমরা আধ্যাত্মিক জীবনে উন্নতি চাই আমাদের অবশ্যই, কিছু ধরণের তপস্য গ্রহণ করতে হবে। এই কলি যুগে আমরা তীব্র ধরনের তপস্যা গ্রহণ করতে পারি না, যেমন ঠান্ডাতে, আমরা নিচে যাই, জলের নিচে, কখনও কখনও ডুবে বা কখনও কখনও উপর পর্যন্ত, এবং তারপর ধ্যান বা হরে কৃষ্ণ জপ। এটা সম্ভব নয়।নুন্যতম। তাই তপস্যা অবশ্যই থাকতে হবে। তাই আমদের এই শ্লোক দ্বারা এটি লক্ষ্য করা উচিত যে, আমরা যদি ভগবান উপলব্ধি সম্পর্কে গম্ভীর হয়ে থাকি, তবে কিছু তপস্যা অবশ্যই করা উচিত। এটা প্রয়োজন।