BN/Prabhupada 0152 - পাপী ব্যাক্তি কৃষ্ণভাবনামৃতে আসতে পারে না



Lecture on BG 1.31 -- London, July 24, 1973

সকলেই, প্রত্যেকে চায় গৃহ,ক্ষেত্র,সুতাপ্তবিত্ত (ভ.গী.৫.৫.৮), পারিবারিক জীবন এবং কিছু জমি নিয়ে সুখী হতে। সেই সময়ে কোন শিল্প ছিল না। অতএব শিল্পের কোন মানে নেই। ভূমি। আপনার জমি থাকলে, তাহলে আপনি আপনার খাদ্য উৎপাদন করতে পারেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা আমাদের জীবন। এখানে এই গ্রামে আমরা খুঁজে পাই এতটা জমি খালি পড়ে আছে, কিন্তু তারা তাদের খাদ্য উৎপাদন করছে না। তারা গরু হত্যা করছে এবং তাদের খাচ্ছে এইভাবে তাদের খাদ্য তৈরি করছে। এটা ভাল নয়। গৃহ ক্ষেত্র। আপনি গৃহস্থ হয়েছেন, আপনি ভূমি থেকে খাদ্য তৈরী করুন, গৃহ ক্ষেত্র। এবং যখন আপনি খাদ্য তৈরী করবেন, তারপর সন্তান জন্ম দিন, গৃহ,ক্ষেত্র-সুতাপ-বিত্ত। ভারতের গ্রামগুলিতে এখনও এই পদ্ধতি আছে, দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে, যদি সেই কৃষক একটি গাভী রাখতে না পারে তাহলে সে বিয়ে করবে না। জরু এবং গরু। জরু মানে স্ত্রী এবং গরু মানে গাভী। তাই একজনের উচিত স্ত্রী রাখা যদি তিনি একটি গরুও রাখতে সক্ষম হন তবে তাকে রাখা উচিত। জরু এবং গরু। কারণ আপনি যদি একটি স্ত্রী রাখেন, সেখানে সন্তানও থাকবে। কিন্তু যদি আপনি তাদের গরুর দুধ না দিতে পারেন, তাহলে সন্তানরা শরীর খারাপ হয়ে যাবে, খুব সুস্থ হবে না। তাদের যথেষ্ট দুধ খাওয়া উচিত। তাই গরুকে তাই মা বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ একজন মা সন্তানের জন্ম দেয়, আরেকটি মা দুগ্ধ সরবরাহ করে।

তাই প্রত্যেকেরই মা গাভীর প্রতি অনুগত হওয়া উচিত, কারণ তিনি দুধ সরবরাহ করছেন। তাই আমাদের শাস্ত্র অনুযায়ী সাতটি মা আছে। আদৌ মাতা, বাস্তব মা, যার শরীর থেকে আমি জন্ম গ্রহণ করেছি। আদৌ মাতা, সে মা। গুরু-পত্নি, শিক্ষকের স্ত্রী। সেও মা। আদৌ মাতা, গুরু-পত্নি, ব্রাহ্মিনি একজন ব্রাহ্মণের স্ত্রী, তিনিও মা .. আদৌ মাতা, গুরু পত্নী, ব্রাহ্মণ পত্নী, রাজপত্নী, রাণী মা তাই কত হল? আদৌ মাতা গুরু-পত্নী, ব্রাহ্মণ পত্নী, রাজপত্নী, তারপর ধেনু ধেনু মানে গরু। সেও মা। এবং ধাত্রী। ধাত্রী মানে প্রসুতি সেবিকা। ধেনু ধাত্রি তথা পৃথ্বী, পৃথিবীও,পৃথিবীও মা। সাধারণত মানুষ মাতৃভূমির যত্ন নেয়, যেখানে সে জন্মগ্রহণ করে। সেটা ভালো. কিন্তু এছাড়া তাদের উচিত মা গরুর যত্ন নেওয়া। কিন্তু তারা মায়ের যত্ন নিচ্ছে না। অতএব তারা পাপী। তাদের কষ্ট ভোগ করতে হবে তাদের অবশ্যই থাকতে হবে, যুদ্ধ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদির মধ্যে থাকতে হবে। যত তাড়াতাড়ি মানুষ পাপী হয়ে যায়, তখন প্রকৃতির শাস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আ্সে। আপনি এটি এড়াতে পারবেন না।

অতএব কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে সকল সমস্যার সমাধান। মানুষকে পাপী হবার জন্য শিক্ষা দিও না কারণ একটি পাপী মানুষ কৃষ্ণ ভাবনাময় হতে পারে না। কৃষ্ণভাবনা হওয়ার অর্থ হচ্ছে তিনি তার পাপী কার্যকলাপ ছেড়ে দিবে।