BN/Prabhupada 0151 - আমাদের আচার্যদের কাছ থেকে শিখতে হবে
Lecture on SB 7.6.1 -- Madras, January 2, 1976
তাই আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা তৈরি করছি কিন্তু এটি সফল হবে না। আমি গত রাতে এতটুকুই ব্যাখ্যা করেছি যে, আমরা স্বাধীনভাবে চিন্তা করছি এবং আমরা অনেক জিনিস স্বাধীনভাবে সুখী হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছি। এটা সম্ভব নয়। সেটা সম্ভব না। এটা মায়ার ভ্রান্ত খেলা। দৈবী হ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দুরত্যয়া। আপনি অতিক্রম করতে পারবেন না তাহলে চূড়ান্ত সমাধান কি? মামেব যে প্রপদ্যন্তে মায়ামেতাং তরন্তি তে (ভ.গী. ৭.১৪) যদি আমরা কৃষ্ণতে আত্মসমর্পণ করি তারপর আমরা আমাদের মূল অবস্থার পুনরুজ্জীবিত করতে পারি। যেটা... কৃষ্ণভাবনামৃত মানে, এতকিছু জিনিস চেতনার মধ্যে রাখার পরিবর্তে... তারা সব কলুষিত চেতনা। এটা সত্য... আমরা চেতনা পেয়েছি, এটা সত্য, কিন্তু আমাদের চেতনা দূষিত। তাই আমাদের চেতনাকে শুদ্ধ করতে হবে। শুদ্ধ চেতনা মানে ভক্তি। ভক্তির, সংজ্ঞা নারদ পঞ্চরাত্রে দেওয়া আছে... রূপ গোস্বামী...রূপ গোস্বামী বলেছেন,
- অন্যাভিলাষিতা শুন্যম্
- জ্ঞানাকর্মাদি অনাবৃতম
- আনুকুল্যেন কৃষ্ণানু
- শীলম ভক্তিরুউত্তমা
- (ব্রহ্ম সংহিতা ১.১.১১)
এই হচ্ছে প্রথম শ্রেনীর ভক্তি এখানে অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই অন্যাভিলাষিতা কারণ এখানে এই জড় জগতে, জড় প্রকৃতির নিয়ন্ত্রনের অধীনে প্রকৃতে ক্রিয়মানানি গুণৈ কর্মানি সর্বশ, অহংকার বিমুঢ়াত্মা কর্তা...(ভ.গী.৩.২৭) আমরা প্রকৃতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীনে, জড় প্রকৃতির। কিন্তু কারণ আমরা হচ্ছি বোকা, আমরা আমাদের অবস্থান ভুলে গেছি, তাই অহংকার, মিথ্যা অহংকার। এই হচ্ছে মিথ্যা অহংকার, "আমি ভারতীয়, আমি আমেরিকান, আমি ব্রাহ্মণ, আমি ক্ষত্রিয়।" এই হচ্ছে মিথ্যা অহংকার। তাই জন্য নারদ পঞ্চরাত্রে বলা হয়েছে সর্বোপাধি বিনির্মুক্তং (চৈ.চ.মধ্য ১৯.১৭০) অতএব, এই সব পদ থেকে মুক্ত হতে হবে, স্বাধীন হতে হবে, "আমি ভারতীয়," "আমি আমেরিকান," আমি এই, "" আমি সেই। "" আমি ... " সর্বপাধি বিনিমুক্তং তৎ পরত্বেন নির্মলম। যখন সে শুদ্ধ হবে। নির্মলম, কোনও পদ ছাড়াই, যে "আমি কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।" অহম্ ব্রহ্মাস্মি।
এই হচ্ছে অহম্ ব্রহ্মাস্মি। কৃষ্ণ হচ্ছে পরব্রহ্ম। তাঁর বর্ণনা করা হয়েছে শ্রীমদ্ভাগবতে। অর্জুন... পরম ব্রহ্ম পরম ধাম পবিত্রং পরমম ভবান পুরুষাং শাশ্বতাম আদ্যম (ভ.গী.১০.১২) অর্জুন বুঝতে পেরেছেন এবং তিনি বলেন, "আপনি সমস্ত কর্তৃপক্ষ দ্বারা মান্যতা প্রাপ্ত।" প্রহ্লাদ মহারাজ একজন কর্তৃপক্ষ। আমি কর্তৃপক্ষকে বর্ণনা করেছি। ব্রহ্মা কর্তৃপক্ষ, ভগবান শিব কর্তৃপক্ষ এবং কপিল কর্তৃপক্ষ, কুমার, চার কুমার, তারা কর্তৃপক্ষ এবং মনু কর্তৃপক্ষ। একইভাবে, প্রহ্লাদ মহারাজ কর্তৃপক্ষ। জনক মহারাজ কর্তৃপক্ষ। এই বারোজন কর্তৃপক্ষ। তাই অর্জুন নিশ্চিত করেন যে "আপনি নিজে বলছেন, আপনি পরমেশ্বর ভগবান" মত্তঃ পরতরং নান্যৎ (ভ.গী.৭.৭) "এবং ভগবদগীতার আলোচনা অনুসারে, আমি আপনাকে পর-ব্রহ্ম গ্রহণ করি। এবং শুধুমাত্র তাই নয়, সব কর্তৃপক্ষ, তারা আপনাকে গ্রহণ করেছেন।" সম্প্রতি, আমাদের সময়ে, রামানুজাচার্য, মধ্বাচার্য, সকল আচার্য, তারা কৃষ্ণকে গ্রহণ করেছেন। এমনকি শঙ্করাচার্য, তিনি কৃষ্ণকে গ্রহণ করেছেন। তাই ভগবান স্বয়ং কৃষ্ণ। সমস্ত আচার্যরা পরম পুরুষ ভগবান কৃষ্ণকে গ্রহণ করেছেন।
সুতরাং আমাদেরকে আচার্যদের কাছ থেকে শিখতে হবে, কোন সাধারণ লোক বা কোন নিজ তৈরি আচার্যের কাছ থেকে নয়। না। এটা করব না। শুধু যেমন আমরা... কখনও কখনও আদালতে আমরা অন্য আদালতের কিছু রায় প্রদান করি এবং এটি খুব গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয় কারণ এটি কর্তৃপক্ষ। আমরা রায় গঠন করতে পারব না। অনুরূপভাবে ভগবদ-গীতাতে আচার্য উপাসনা, এটি সুপারিশ করা হয়েছে। আমাদেরকে আচার্যের কাছে যেতে হবে। আচার্যবান পুরুষ বেদাঃ একজন যিনি আচার্যকে গ্রহণ করেছেন পরম্পরা ধারার মাধ্যমে, তিনি জানেন এই জিনিস।" তাই সকল আচার্যরা কৃষ্ণকে গ্রহণ করেন, পরম পুরুষ ভগবান বলে। নারদ, তিনি গ্রহণ করেন, ব্যাসদেব তিনি গ্রহণ করেন। এবং অর্জুন গ্রহণ করেছেন, যিনি ব্যাক্তিগতভাবে কৃষ্ণকে শুনেছেন, ভগবদগীতায়। এবং ভগবান ব্রহ্মা, গতকাল কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, "দ্বাপর-যুগের আগে কৃষ্ণের নাম কি ছিল?" না, সেখানে ছিল। শাস্ত্রে কৃষ্ণ আছে। বেদে অর্থব বেদে এবং অন্যান্যদের মধ্যে, কৃষ্ণ নাম আছে। এবং ব্রহ্ম সংহিতাতে ভগবান ব্রহ্মা, তিনি ব্রহ্মসংহিতাতে লিখেছেন- এটা পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ঈশ্বর পরমঃ কৃষ্ণ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ (ব্র.সং.৫.১) অনাদির আদি। অনাদির আদি গোবিন্দ সর্ব কারন কারনম (ব্র.সং ৫.১) এবং কৃষ্ণ আরও বলেছেন, মত্ত্ব পরতরোং নান্বাৎ কিঞ্চিদ অস্থি ধনঞ্জয় (ভ.গী.৭.৭) অহং সর্বস্য প্রভবো (ভ.গী.১০.৮) সর্বস্য মানে সমস্ত দেবতা সহ, সমস্ত জীব সত্ত্বা, সবকিছু। এবং বেদান্ত বলছে, জন্মাদস্য যতোঃ (শ্রী.ভা.১.১.১) সুতরাং কৃষ্ণ হচ্ছে পরম সর্বোচ্চ পুরুষ, ঈশ্বর পরমঃ ভগবান ব্রহ্মা থেকে, তিনি বৈদিক জ্ঞান বিতরণকারী এবং কৃষ্ণ বলেছেন, বেদেশ্চ সর্বৈর অহমেব বেদ্য (ভ.গী.১৫.১৫) এই চূড়ান্ত লক্ষ্য।