BN/Prabhupada 0190 - এই জড় জীবনের জন্য নিড়াষ্কতি বাড়ান



Lecture on SB 7.6.11-13 -- New Vrindaban, June 27, 1976

যদি আমরা ভক্তি-্মার্গের এই নীতি অনুসরণ করি তবে আলাদাভাবে চেষ্টা করতে হবে না কিভাবে আলাদা হওয়া যায়। বিচ্ছিন্নতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুসরণ করা যায়। বাসুদেবে ভগবতি ভক্তি যোগ প্রয়োজিত জনয়তি আশু বৈরাগ্যম (শ্রী.ভা.১.২.৭)

বৈরাগ্য মানে আলাদা। ভক্তিযোগকে বৈরাগ্য বলা হয়। বৈরাগ্য। সার্ব্বভৌম ভট্টাচার্য বৈরাগ্য সন্মন্ধে একটি শ্লোক লিখেছেন।

বৈরাগ্য বিদ্যা নিজ ভক্তি
যোগ শিক্ষাষ্টকম এক পরুষ পুরান
শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য শরীর ধারী
কৃপাম্বুধির যশ তমহং প্রপদ্যে
(চৈ.চ.মধ্য ৬.২৫৪)

এখানে চৈতন্য মহাপ্রভু স্বংয় কৃষ্ণ। তিনি এসেছেন আমাদের বৈরাগ্য বিদ্যা শিক্ষা দিতে। এটা একটু কঠিন। এটা খুব কঠিন সাধারন মানুষের জন্য বৈরাগ্য বিদ্যাটা বোঝা। তাদের কাজ হল এই শরীরের জন্য আসক্তি কিভাবে বর্ধিত করবে। এবং কৃষ্ণ ভাবনামৃত আন্দোলন হচ্ছে কিভাবে জড় জীবনের প্রতি নিরাসক্তি বাড়ানো যায়। তাইজন্য একে বলে বৈরাগ্য বিদ্যা। বৈরাগ্য বিদ্যা খুব সহজেই লাভ করা যায়, যেমন এটা অনুমোদন করা হয়েছে, বাসুদেব ভগবতি ভক্তি্যোগ প্রয়োজিত জনয়তি আশু বৈরাগ্যম (শ্রী.ভ.১.২.৭) খুব তাড়াতাড়ি, খুব তাড়াতাড়ি। জনয়তি আশু বৈরাগ্যম জ্ঞানম চ। মানুষ্য জীবনে দুটি জিনিস প্রয়োজন। একটি জিনিস হল জ্ঞান-বিজ্ঞান আস্তিকম ব্রহ্মকর্ম স্বভাবজম। এই জ্ঞানম মানে, জ্ঞানের শুরু মানে আমি এই শরীর নই, আমি চিন্ময় আত্মা।" এই হচ্ছে জ্ঞান, এবং যখনই একজন এই জ্ঞানের স্তরে স্থিত হয়, এটা সহজ। মানুষ এই শরীরের উপকারের জন্য সর্বত্র নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু যদি কেউ বুঝতে পারে, সে জ্ঞানের এই স্তরে আসে তারপর সাধারনভাবে সে নিরাসক্ত হয়, আমি এই শরীর নই। কেন আমি এই শরীরের জন্য এত কষ্ট করছি? জ্ঞানম চ যদ অহৈতুকম (শ্রী.ভা.১.২.৭) স্বংয়ক্রিয়ভাবে... দুটি জিনিস প্রয়োজন। চৈতন্য মহাপ্রভু অনেক জায়গায় আছে, তিনি এই উপর জোর দিয়েছেন, এবং তার জীবনে তিনি জ্ঞান এবং বৈরাগ্যের শিক্ষা দিয়েছেন। একদিকে জ্ঞান, রুপ গোস্বামী তাঁর শিক্ষায়, সনাতন গোস্বামীকে শিক্ষা দিয়ে, শিক্ষাব্যবস্থা, সার্বভৌম ভক্তরা, প্রকাশনবাদ সরস্বতী, রামনন্দ রায়ের সঙ্গে কথা বলে। আমাদের চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষায় এই সব জিনিস পেয়েছি সুতরাং এটাই জ্ঞান। এবং তার উদাহরন, তিনি জীবনে সন্ন্যাস গ্রহণ করে আমাদেরকে বৈরাগ্য বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছেন। জ্ঞান এবং বৈরাগ্য এই দুটি জিনিস প্রয়োজন।

তাই হঠাৎ করে এই জ্ঞান এবং বৈরাগ্যের স্তরে স্থিত হতে পারি না। কিন্তু যদি আমরা অনুশীলন করি, এটা সম্ভব এটা সম্ভব নয় এমন নয়। এটা অনুমোদিতঃ

বাসুদেব ভগবতি
ভক্তি যোগ প্রয়োজিত
জনয়তি আশু বৈরাগ্যম
জ্ঞানম চ যৎ অহৈতুকম
(শ্রী.ভা.১.২.৭)

এটা প্রয়োজন। তাই এই কৃষ্ণ ভবনামৃত আন্দোলনে জ্ঞান এবং বৈরাগ্য লাভ করা যায়। যদি আমরা বড্ড বেশী জড় জগতের প্রতি আসক্ত হই... এবং কিভাবে আমরা আসক্তি হই? এই ধরনের ব্যাখ্যা প্রহ্লাদ মহারাজ দিয়েছেন। স্ত্রী, সন্তান, বাড়ী, প্রানী এবং চাকর, আসবাবপত্র, পোষাক আশাক এবং অনেক অনেক জিনিস। মানুষ অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে রাত দিন ধরে শুধুমাত্র এই জিনিসের জন্য। সুন্দর ব্যাঙলো নেই, সুন্দর প্রাণী আছে, সুন্দর, অনেক কিছু জিনিস আমরা দেখেছি? কিসের জন্য? আসক্তি বাড়ানোর জন্য। যদি আমরা আসক্তি বাড়াই, এই জড় দাসত্ব থেকে মুক্ত হওয়ার কোন প্রশ্ন নেই। তাই আমাদের এই নিরাসক্তি অনুশীলন করতে হবে।