BN/Prabhupada 0352 - এই সাহিত্য পুরো দুনিয়াতে ক্রান্তিকারী বিপ্লব আনবে
Lecture on SB 1.8.20 -- Mayapura, September 30, 1974
তদ-বাগ-বিসর্গ জনতাঘ-বিপ্লবো। যে কোন রচনায়, কোথাও, কোন সাহিত্যে যদি পরমেশ্বর ভগবানের মহিমা করা হয়। তদ্বাগ-বিসর্গ...,জনতাঘ-বিপ্লবো। এই ধরনের সাহিত্য বিপ্লবী। বিপ্লবী। বিপ্লবো। বিপ্লবো মানে বিপ্লব। কি ধরনের বিপ্লব? যেমন, বিপ্লবের মধ্যে, একটি রাজনৈতিক দল অন্য একটি রাজনৈতিক দলের উপর বিজয় প্রাপ্ত হয়... আমরা বিপ্লব বলতে রাজনৈতিক বিপ্লব বুঝি। একটি রাজনৈতিক মতবাদ অন্য ধরনের রাজনৈতিক ধারণার উপর আধিপত্য করে। এটিকে বিপ্লব বলা হয়। অতএব, ইংরেজি শব্দ বিপ্লব, এবং সংস্কৃত শব্দ বিপ্লব। তাই তদ্বাগ-বিসর্গ জনতাঘ-বিপ্লবো। যদি এই ধরনের সাহিত্য উপস্থাপন করা হয় ... যেমন আমরা উপস্থাপন করছি। আমরা খুব বড় পন্ডিত নই। আমাদের ... আমাদের কোন যোগ্যতা নেই যে আমরা খুব ভালো সাহিত্য তৈরি করতে পারি। অনেক ভুল হতে পারে ... যাই হোক না কেন। কিন্তু এই বিপ্লবী। এটি একটি সত্য। এটা বিপ্লবী। অন্যথায়, কেন বড়, বড় পণ্ডিত, অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল, লাইব্রেরি তা গ্রহণ করছে? তারা ভাবছেন যে এই সাহিত্য সমগ্র বিশ্বের একটি বিপ্লব সৃষ্টি করবে। কারণ পশ্চিমা বিশ্বের এই রকম কোন ধারণাই নেই। তারা সম্মত হয়। তাহলে এটা বিপ্লবী কেন? কারণ কৃষ্ণের প্রশংসা করার জন্য একটি প্রচেষ্টা করা হচ্ছে, পরম পুরুষ ভগবানের। এই তুলনায় আর কিছুই না। কোন সাহিত্য কর্মজীবন নেই
তাই এটি গ্রহণ করা হয়। তদ-বাগ-বিসর্গ জনতাঘ-বিপ্লবো যস্মিন প্রতি-শ্লোকম অবদ্ধ...শ্লোক (শ্রী.ভা.১.৫.১১) সংস্কৃত শ্লোক লেখার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পাণ্ডিত্যের প্রয়োজন। অনেক, অনেক নিয়ম এবং প্রবিধান আছে। এটা এমন নয় যে আপনি কিছু লিখেছেন এবং আপনি একজন কবি হয়ে গেছেন। না। যথেষ্ট নিয়ম এবং প্রবিধান আছে, আমাদের তা অনুসরণ করতে হবে। তারপর আমরা রচনা করতে পারি। যেমন আপনি দেখছেন একটি নির্দিষ্ট ছন্দ আছে
- তথা পরমহংসানাম
- মুনিনাম আমলাত্মনাম
- ভক্তি-যোগ-বিধানার্থম
- কথং পশ্যেম হি স্ত্রীয়
ছন্দ আছে। প্রতিটি শ্লোকের ছন্দ আছে। সুতরাং, এমনকি যদিও এটি সঠিক ছন্দে লিখিত না হয়, এবং কখনও কখনও এটি অসম্পূর্ণ তবু তা সঠিক, কারণ সেখানে পরম পুরুষ ভগবানের মহিমা করা হয়। নামানি অনন্তস্য। অনন্ত হচ্ছে পরম, অসীমিত। তার নামগুলি আছে, এই কারণেই আমার গুরু মহারাজ স্বীকার করেছেন। যদি অনন্তস্য, অনন্ত, পরম, নামটি সেখানে আছে "কৃষ্ণ,""নারায়ন," "চৈতন্য," এইরকম- তাই শৃন্বন্তি গায়ন্তি গৃণন্তি সাধবঃ। সাধবঃ মানে যারা সাধু ব্যাক্তি। এই ধরনের সাহিত্য, যদিও হয়ত এটি ততটা সুন্দর ভাষায় লেখা নয়, তারা এটি শোনে। তারা এটি শোনে। কারণ ভগবানের মহিমা করা হয়েছে
সুতরাং এই হচ্ছে পদ্ধতি। কিছু না কিছু উপায়ে, আমাদের কৃষ্ণের সাথে সংযোগ স্থাপন করা উচিত। ময্যাসক্তমনা পার্থ (ভ.গী ৭.১)। এটাই আমাদের কাজ, আমরা কিভাবে হব... এটি সুন্দর ভাষায় লেখা কি না, সেটা কোন ব্যাপার না কখনও কখনও ... অনেক সংস্কৃত আছে ... আমি বলতে চাচ্ছি, সঠিকভাবে উচ্চারিত নয়। যেমন আমরা করি। আমরা খুব বিশেষজ্ঞ নই। অনেক বিশেষজ্ঞ সংস্কৃত উচ্চারণ কর্তা আছে, বেদমন্ত্র। এবং আমরা বিশেষজ্ঞ নয়। কিন্তু আমরা চেষ্টা করি, আমরা চেষ্টা করি। কিন্তু কৃষ্ণের নাম আছে, এটাই যথেষ্ট। কারন এটাই যথেষ্ট।