BN/Prabhupada 0463 - তুমি যদি তোমার মনকে কেবল কৃষ্ণচিন্তা করতে প্রশিক্ষণ দাও, তাহলে তুমি নিরাপদ



Lecture on SB 7.9.8 -- Mayapur, February 28, 1977

প্রদ্যুম্ন: অনুবাদ- "প্রহ্লাদ মহারাজ প্রার্থনা করেছিলেন: আমার পক্ষে এটি কিভাবে সম্ভব, যে একটি অসুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে, সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্ব পরমেশ্বর ভগবানকে যথাযথ প্রার্থনা নিবেদন করে সন্তুষ্ট করা? এমনকি এখন পর্যন্ত, ব্রহ্মার নেতৃত্বে সমস্ত দেবদেবীরা, এবং সমস্ত সাধুসুলভ ব্যক্তিরা দুর্দান্ত শব্দপ্রবাহের মাধ্যমে ভগবানকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, যদিও এই সমস্ত ব্যক্তিরা অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন, ধার্মিকতার ভাবে রয়েছেন। তাহলে আমার সম্পর্কে কী বলা যায়? আমি মোটেও যোগ্য নই।"

শ্রীল প্রভুপাদ:

শ্রী প্রহ্লাদ উবাচ
ব্রহ্মাদয়ঃ সুর-গণা মুনয় থা সিদ্ধাঃ
সত্ত্বৈকতান-গতায়ো বচসাং প্রবাহৈঃ
নারাধিতুং পুরু-গুণৈঃ অধুনাপি পিপ্রুঃ
কিং তোষ্ঠুম অর্হতি স মে হরিঃ উগ্র-জাতেঃ
(শ্রীমদ্ভাগবতম্‌ ৭।৯।৮)

সুতরাং উগ্র-জাতেঃ মানে অসুর পরিবার, কামুক। উগ্র। এই জড় জগতের মধ্যে তিনটি গুণ রয়েছে। অতএব এটি বলা হয়েছে গুণময়ী। দৈবী হ্যেষা গুণময়ী (শ্রীমদ্ভগবদ্গী‌তা ৭।১৪) গুণময়ী মানে তিনটি গুণ, জড় প্রকৃতির তিনটি পদ্ধতি: সত্ত্বগুণ, রজোগুণ এবং তমোগুণ। সুতরাং আমাদের মন লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রত্যেকেই মনের প্রকৃতি সম্পর্কে জানে, কখনও কখনও একটি জিনিস গ্রহণ করে, আবার এটি প্রত্যাখ্যান করে। সঙ্কল্প-বিকল্প। এটি হল মনের গুণ বা মনের প্রকৃতি। কখনও কখনও মন সত্ত্বগুণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে, কখনও রজোগুণ, কখনও তমোগুণ। এইভাবে আমরা বিভিন্ন ধরণের মানসিকতা পাচ্ছি। এইভাবে, মৃত্যুর সময়, মানসিকতা যেটি হয়, তা এই শরীর ছেড়ে যাওয়ার মুহুর্তে, আমাকে অন্য একটি শরীরে নিয়ে যাবে সত্ত্বগুণ, রজোগুণ ব তমোগুণের। এটিই আত্মার দেহান্তরিত হওয়ার পদ্ধতি। অতএব অন্য দেহ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের মনকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটিই বাঁচার কৌশল। সুতরাং তুমি যদি শ্রীকৃষ্ণকে চিন্তা করার জন্য নিজের মনকে প্রশিক্ষণ দাও, তাহলে তুমি নিরাপদ। অন্যথায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। যম্ যম্ বাপি স্মরণং ভাবং ত্যজতি অন্তে কলেবরম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গী‌তা ৮।৬)। এই দেহটি ত্যাগ করার সময়, যদি আমরা অভ্যাস না করি, মনকে শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে স্থির করার জন্য, তাহলে এখানে...(বিরতি) একটি বিশেষ ধরণের দেহ আমরা পাই।

সুতরাং প্রহ্লাদ মহারাজ, যদিও তিনি মানসিক জল্পনা কল্পনার এই স্তরের অন্তর্ভুক্ত না ... তিনি নিত্যসিদ্ধ। তাঁর কোন সুযোগ নেই, কারণ তিনি সবসময় শ্রীকৃষ্ণের কথা ভেবে থাকেন। (তীব্র বৈদ্যুতিক শব্দ) (একপাশে :) এটি কি? স বৈ মনঃ...(আবার শব্দ) স বৈ মনঃ কৃষ্ণ পদারবিন্দৌঃ (শ্রীমদ্ভাগবতম ৯।৪।১৮)। এই সহজ জিনিসটি অনুশীলন কর। শ্রীকৃষ্ণ এখানে আছেন। আমরা প্রতিদিন বিগ্রহ দেখি, এবং শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্ম দেখি। সেভাবে তোমাদের মন স্থির কর; তাহলে তুমি নিরাপদ। খুব সাধারণ জিনিস। অম্বরীষ মহারাজ, তিনিও ছিলেন একজন মহান ভক্ত। তিনি ছিলেন রাজা, রাজনীতিতে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ব্যক্তি। কিন্তু তিনি এমনভাবে অনুশীলন করেছিলেন, যে তিনি শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে তাঁর মন স্থির করেছিলেন। স বৈ মনঃ কৃষ্ণ পদারবিন্দৌঃ বচাংসি বৈকুণ্ঠ গুণানুবর্ণনে। এই অভ্যাস। বাজে কথা বলবে না। (আবার শব্দ) (একপাশে) ঝামেলা কি? বাইরে নিয়ে যাও।