BN/Prabhupada 0464 - শাস্ত্র কোন বাজে শ্রেণীর লোকেদের জন্য নয়



Lecture on SB 7.9.8 -- Mayapur, February 28, 1977

সুতরাং মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ (চৈ. চ. মধ্য ১৭।১৮৬)। আমরা যদি মহাজনদের অনুসরণ করি তবে আমরা কৃষ্ণভাবনামৃত পুরোপুরি ভালভাবে শিখতে পারি। মহাজন মানে মহান ব্যক্তিত্ব যারা ভগবানের ভক্ত। তাদের মহাজন বলা হয়। জন মানে "ব্যক্তি"। ঠিক যেমন সাধারণত, ভারতে তাকেই মহাজন বলা হয় যে খুবই ধনী। সুতরাং এই মহাজন মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি ভক্তিমূলক সেবায় সমৃদ্ধ। তাকে বলা হয় মহাজন। মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ। সুতরাং আমরা অম্বরীষ মহারাজ পেয়েছি; আমরা প্রহ্লাদ মহারাজ পেয়েছি। এখানে অনেক, অনেক রাজা, যুধিষ্ঠির মহারাজ, পরীক্ষিৎ মহারাজ, তারা রাজর্ষি। সুতরাং কৃষ্ণভাবনামৃত, প্রকৃতপক্ষে এটি খুব মহান ব্যক্তিত্বের জন্য বোঝানো হয়।

ইমং বিবস্বতে যোগং
প্রোক্তবান্ অহম্ অব্যয়ম্
বিবস্বান্ মনবে প্রাহ
মনুঃ ইক্ষ্বাকবে অববীৎ
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪।১)

এবম্ পরম্পরা প্রাপ্তং ইমম্ রাজর্ষয়ঃ বিদুঃ (শ্রীমদ্ভগবদগীতা ৪।২)। আসলে, শাস্ত্র অলস শ্রেণীর জন্য নয়। উচ্চশিক্ষিত ব্রাহ্মণ এবং অধিক উন্নত ক্ষত্রিয়দের জন্য। এবং বৈশ্য ও শূদ্ররা, শাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে উঠবে এমনটি আশা করা হয় না। কিন্তু, যথাযথ ব্রাহ্মণ এবং ক্ষত্রিয় দ্বারা পরিচালিত হলে, তারাও নিখুঁত হবে। প্রথম নিখুঁত শ্রেণী, মুনয়ো, যেহেতু এটি বলা হয়েছে, সত্ত্বৈকতান গতয়ো মুনয়ো (শ্রীমদ্ভাগবতম ৭।৯।৮), মহান ঋষিরা। সাধারণত, "মহান ঋষিরা" মানে ব্রাহ্মণ, বৈষ্ণব। তারা ভক্তিমূলক সেবার দ্বারা সত্ত্ব-গুণে অবস্থিত। রজোগুণ এবং তমোগুণ তাদের স্পর্শ করতে পারে না। নষ্ট প্রায়েষু অভদ্রেষু নিত্যম্ ভাগবত সেবয়া (শ্রীমদ্ভাগবতম ১।২।১৮)। ভদ্র এবং অভদ্র, মানে ভাল এবং খারাপ। সুতরাং রজোগুণ এবং তমোগুণ হল খারাপ, এবং সত্ত্বগুণ হল ভাল। যদি আমরা হই, যেমনটি বলা হয়েছে, সত্ত্বৈকতান গতয়ো... তুমি যদি সবসময় সত্ত্বগুণে থাক, তখন সবকিছু করা সহজ। সত্ত্বগুণ মানে প্রকাশ। সবকিছু পরিষ্কার, সম্পূর্ণ জ্ঞান। এবং রজোগুণ পরিষ্কার নয়। উদাহরণ দেওয়া হল: ঠিক যেমন কাঠ। কাঠে আগুন, কিন্তু আগুনের প্রথম লক্ষণ হিসেবে তুমি ধোঁয়া পাবে। যখন তুমি কাঠের মধ্যে আগুন জ্বালাও, প্রথমে ধোঁয়া আসে। সুতরাং ধোঁয়া...প্রথমত কাঠ, তারপর ধোঁয়া, তারপর আগুন। এবং আগুন থেকে, যখন তুমি বলিদানের জন্য আগুনকে নিযুক্ত কর, এটি হল চূড়ান্ত। সবকিছু এই একই উৎস থেকে আসছে। মাটি থেকে কাঠ আসছে, কাঠ থেকে ধোঁয়া আসছে, ধোঁয়া থেকে আগুন আসছে। এবং আগুন, যখন বলিদানের জন্য নিযুক্ত হয়, স্বাহা- তখন এটি হল আগুনের যথাযথ ব্যবহার। যদি কেউ কাঠের মঞ্চে থাকে, তাহলে এটি হল সম্পূর্ণ বিস্মৃতি। যখন কেউ ধোঁয়ার মঞ্চে থাকে, তখন খুব কম আলো হয়। যখন কেউ আগুনের মঞ্চে থাকে, তখন সম্পূর্ণ আলো। এবং আলো যখন শ্রীকৃষ্ণের সেবায় নিযুক্ত থাকে, তখন তা নিখুঁত। আমাদের সেভাবে বুঝতে হবে।