BN/Prabhupada 0715 - ভগবানকে ভলবাস, সেটি হচ্ছে প্রথম শ্রেণীর ধর্ম



Lecture on SB 1.16.25 -- Hawaii, January 21, 1974

ভবান্‌ হি বেদা তৎ সর্বম্‌ যন্মাম্‌ ধর্মানুপৃচ্ছসি ধর্মরাজ বা যমরাজ হচ্ছেন বারো জন মহাজনের একজন। তাঁরা দেখেন যে মানব সভ্যতা ঠিকভাবে চলছে কিনা। ধর্মের নীতি। ধর্ম মানে কোন ধর্মীয় ভাবাবেগ নয় ধর্ম মানে করণীয় কর্তব্যকর্ম প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু কর্তব্যকর্ম রয়েছে ধর্মং তু সাক্ষাদ্‌ ভগবদ্‌ প্রণীতম্‌ (ভাগবত ৬.৩.১৯) সেই নিত্যকর্ম পরমেশ্বর ভগবান কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে তেন ত্যাক্তেন ভুঞ্জীথা (ঈশোপনিষদ ১) প্রকৃতপক্ষে আমরা যে ভগবদ্গীতা থেকে ধর্মনীতি সম্পর্কে জানতে পারি... শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, সর্ব ধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮.৬৬) নিজেদের মনগড়া ধর্মনীতি বানিও না। সেটিই হবে বিপত্তি। ধর্মং তু সাক্ষাদ্‌ ভগবদ্‌ প্রণীতম্‌, আমরা অনেকবার এই কথা বলেছি যে ধর্ম মানে - ইংরেজিতে একে ধর্ম (religion) বলে অনুবাদ করেছে ধর্ম মানে হচ্ছে ভগবানের আইন মেনে চলা । সেটি হচ্ছে ধর্ম এমন নয় যে আমার মনগড়া কিছু ভাবাবেগ বানিয়ে নিলেই হল। সেই রকম ধর্ম আমাদের কোন কাজে আসবে না। তাই শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে, শুরুতেই, ধর্ম প্রোজ্ঝিত কৈতবহত্র (ভাগবত ১.১.২) "সমস্ত ছল ধর্মকে ঝেটিয়ে বের করা হোক" তার নাম ভাগবত ধর্ম। কোন প্রতারণাড় স্থান নেই। ধর্মের নামে প্রতারণা, ধর্মনীতির নামে প্রতারণা সেইসব আমাদের মানব সভ্যতাকে কখনই সাহায্য করবে না।

প্রকৃত ধর্ম... সেই ধর্মের কথা ভগবান স্বয়ং বলছেন - ধর্মং তু সাক্ষাদ্‌ ভগবদ্‌ প্রণীতম্‌ কারও কাছ থেকে জানার দরকার নেই, কেবল ভগবানের স্বয়ং ভগবানের কাছ থেকেই জানুন। সেই কথা খুব সুন্দরভাবে ভগবদ্গীতায় বলা হয়েছে - সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ (গীতা ১৮.৬৬) ভগবানের কাছে আত্মসমর্পণ করাটাই ধর্ম। শুধু শরণাগত হওয়াই নয়, উপরন্তু তাঁর নির্দেশ মতো চলা, তাঁকে ভালবাসা। সেটি হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম। আমরা সেই কথা অনেকবার বলেছি। স বৈ পুংসাম্‌ পরোধর্ম যতো ভক্তিঃ অধোক্ষজে (ভাগবত ১/২/৬) সেটিই হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ধর্ম যা আপনাকে ভগবানকে ভালবাসতে শেখায় যদি আপনি ভালবাসতে পারেন, তাহলেই আপনার জীবন সার্থক। তাহলে তুমি সবকিছু ভগবানের জন্যই করবে, অন্যথায় তুমি কেবল প্রশ্নই করে যাবে, "কেন আমি এটা করব? আমি কেন ওটা করব? কেন ... ?" অর্থাৎ কোন ভালবাসা নেই। সেটি শিখতে হবে। ঠিক যেমন কোন শিক্ষানবীশ শিখছে, প্রথমদিকে ওর কোন ভালবাসা থাকে না। তাই সে এটা ওটা প্রশ্ন করে, "আমি কেন এটা করব, কেন ওটা করব? এর থেকে আমার লাভ কি হবে? হাজারটা প্রশ্ন আসবে। কিন্তু যখন ভালবাসা থাকে, তখন আর কোন প্রশ্ন আসে না। তাই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় অনেক কিছু বলার পর যোগ , জ্ঞান, কর্ম এবং আর অনেক কিছু সবশেষে শ্রীকৃষ্ণ বললেন, সর্ব গুহ্যতমম্‌ "আমি এখন তোমাকে সবচাইতে গোপনীয় জ্ঞান প্রদান করব।" সেটি কি? সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকম্‌ শরণম্‌ ব্রজ (গীতা ১৮.৬৬) সেটিই সবচাইতে গুহ্য।