BN/Prabhupada 0806 - শ্রীকৃষ্ণ ও তাঁর প্রতিনিধিদের অনুসরণ কর, তাহলেই তুমি মহাজন



Lecture on SB 1.7.23 -- Vrndavana, September 20, 1976

তুমি কিভাবে শ্রীকৃষ্ণের প্রতিনিধি হতে পারবে? শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক এটি বর্ণনা করা হয়েছেঃ

আমার আজ্ঞায় গুরু হইয়া তার' এই দেশ,
যারে দেখ তারে 'কহ কৃষ্ণ'...
(চৈচ মধ্য ৭.১২৮)

তুমি যদি শুধু শ্রীকৃষ্ণ যা বলেছেন তাই বল, তাহলেই তুমি তাঁর প্রতিনিধি হবে। নিজে কিছু বানাবে না।। অতিরিক্ত বুঝতে যেও না, বানানো। শুধু শ্রীকৃষ্ণ আর তাঁর প্রতিনিধিকে অনুসরণ কর, তাহলেই তুমি মহাজন হবে। অন্যথায় তুমি একটি বোকা। মূঢ়। ন মাং দুষ্কৃতিনো মূঢ়াঃ প্রপদ্যন্তে নরাধমাঃ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৭.১৫)। এটি হচ্ছে পরীক্ষা। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর নির্দেশ অনুসরণ করার ক্ষেত্রে একজনকে খুবই খুবই সাবধান হতে হবে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কখনও বলেননি যে "আমি শ্রীকৃষ্ণের সরাসরি সেবক।" না। গোপীভর্তুঃ পদকমলয়োর্দাসদাসানুদাসঃ "দাসের দাসের দাসের দাস..." তুমি যত বেশী দাসের দাস হবে, তত বেশী তুমি ঠিক আছ (চৈচ মধ্য ১৩.৮০)। যখনই তুমি স্বতন্ত্রতা ঘোষণা করবে, তুমি একটা বদমাশ। এটি হচ্ছে পন্থা। আমাদের সর্বদাই আমাদের গুরুদেবের একান্ত অনুগত সেবক হয়ে থাকতে হবে।

যস্য দেবে পরা ভক্তি
র্যথা দেবে তথা গুরৌ
তসৈতে কথিতা হ্যর্থাঃ
প্রকাশন্তে মহাত্মনঃ
(শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ ৬.২৩)।

তখন এটি প্রকাশিত হবে। সমস্ত কিছু প্রকাশিত হবে। এটি অভিজ্ঞতার দ্বারা নয়, পাণ্ডিত্যের দ্বারা নয়। নাঃ বিস্ময়কর প্রকাশ। যে যথা মামং প্রপদ্যন্তে। যে যে অনুপাতে আত্মসমর্পণ করে , ভগবান সেই অনুসারে প্রকাশ করেন। যে যথা মাং প্রপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম্‌ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ৪.১১)।

তাই ভগবান কি, এটা বোঝার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। হরে কৃষ্ণ, সরাসরি ভগবান। আমি জানিনা মানুষ কেন ভগবানকে খুঁজছে, কেন তারা জানেনা যে ভগবান কে। দেখ। এর মানে মূঢ়। যদিও ভগবান এখানে আছেন, তবুও সে স্বীকার করছে না। এই হচ্ছে মূঢ়, নরাধম। কেন সে মূঢ়? কারণ নরাধম। সে পন্থাটি গ্রহণ করে না। সে কিছু বানাতে চায়। এরকম করবে না। এখানে অর্জুন হচ্ছেন মহাজন, তিনি শ্রীকৃষ্ণের বন্ধু, তিনি সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণের সাথে থাকেন, এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে স্বীকার করেছেন। এমন নয় যে কেউ সর্বদা শ্রীকৃষ্ণের সাথে থাকে, তাই সে শ্রীকৃষ্ণকে জানে। না। এটি সম্ভব নয়। ঠিক যেমন, আমি এই উদাহরণটি অনেক বার দিয়েছি, আমি এখানে বসে আছি, আর ছারপোকাটিও এখানে বসে আছে। এর মানে এই না যে আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ। না। ছারপোকার দৃষ্টিভঙ্গি(উদ্দেশ্য) ভিন্ন, আর আমার উদ্দেশ্য ভিন্ন। ছারপোকার উদ্দেশ্য হচ্ছে কামড়ানো। এই ধরণের সঙ্গ সাহায্য করে না। সঙ্গ মানে সেই ব্যক্তির জন্য ভালোবাসা বৃদ্ধি করা। এটি হচ্ছে সঙ্গ।

দদাতি প্রতিগৃহ্নাতি
গুহ্যমাখ্যাতি পৃচ্ছতি।
ভুঙক্তে ভোজয়তে চৈব
ষড়বিধং প্রীতিলক্ষণম্‌।।
(উপদেশামৃত ৪)