BN/Prabhupada 0904 - তুমি ভগবানের সম্পত্তি চুরি করেছ



730418 - Lecture SB 01.08.26 - Los Angeles

তাই কুন্তীদেবী বলছেন যে এই মদমত্ত অবস্থা, মদঃ, এধমানমদঃ (ভাগবত ১/৮/২৬) এইসব বেড়ে চলেছে, পুমান্‌, সেইরকম লোক নৈবার্হতি, তারা অনুভব সহকারে প্রার্থনা করতে পারবে না "জয় রাধামাধব" , তারা অনুভূতি নিয়ে বলতে পারবে না। তা সম্ভব নয়। তাদের পারমার্থিক উপলব্ধি হারিয়ে গেছে তারা অন্তর দিয়ে প্রার্থনা করতে পারে না, কিন্তু সেটা তারা জানে না "ওহ্‌ ভগবান তো গরীব মানুষের জন্য। তাদের যথেষ্ট খাবার নেই ওদের চার্চে গিয়ে চাইতে থাকুক, "হে ভগবান আমাদের রোজের রুটি দিন।" আমাদের যথেষ্ট খাবার আছে। আমি কেন যাব? এটাই হচ্ছে ওদের মত। তাই আজকাল, এই অর্থনীতিক উন্নয়নের যুগে কেউই চার্চে বা মন্দিরে যেতে আগ্রহী না "কি সব আজেবাজে জিনিস?" আমার রুটি নেয়ার পেতে আমি কেন চার্চে যাব? আমরা আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করব, এবং তাহলেই আমাদের যথেষ্ট রুটি সরবরাহ থাকবে।"

ঠিক যেমন কম্যুনিস্ট দেশগুলির মতো, ওরা এসব করে। কম্যুনিস্ট দেশগুলো গ্রামে গ্রামে গিয়ে এইসব প্রচার চালায় ওরা গ্রামে গিয়ে লোককে বলে চার্চে যেতে এবং রুটি চাইতে সেই সব সরল লোকগুলিও গতানুগতিকভাবে বলে, "হে ভগবান আমাদের দৈনিক রুটি প্রদান করেন"। তখন তারা চার্চ থেকে বেড়িয়ে আসে, আর ঐ কম্যুনিস্ট লোকগুলো ওদের বলে, "রুটি পেলে"? ওরা উত্তর দেয়, "না মশাই"। "ঠিক আছে, আমাদের কাছে চাও" তখন ওরা বলে, "হে কম্যুনিস্ট বন্ধুরা, আমাদের রুটি দিন"। (হাসি) আর ঐ কম্যুনিস্ট বন্ধুরা ট্রাক ভর্তি করে রুটি এনেছে, "এই নাও, যত খুশি নাও, তাহলে ভাল কে? ভগবানের চেয়ে আমরাই তো ভাল?" ওরা বলে, "না মশাই, আপনারাই ভাল," কারণ ওদের কোন বুদ্ধি নেই। তারা এটা ভাবে না যে "আরে মূর্খ, তোমরা কোথা থেকে এইসব রুটি পেয়েছ? (হাসি) এইসব কি তোমাদের কারখানায় বানিয়েছ? তোমরা কি রুটি তৈরির উপাদান এই শস্যদানাগুলো তোমাদের কারখানায় বানিয়েছ? কারণ ওদের কোন বুদ্ধি নেই।

শুদ্র, ওদের বলা হয় শুদ্র। শুদ্র মানে যাদের কোন বুদ্ধি নেই। যেমনটা বলে তেমনভাবেই গ্রহণ করে কিন্তু যিনি ব্রাহ্মণ, উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন, সে তৎক্ষণাৎ জিজ্ঞাসা করবে "আরে মূর্খ, তোমরা কোথা থেকে এইসব রুটি পেয়েছ?" ব্রাহ্মণেরা সেই প্রশ্ন করবেন। তোমরা রুটি বানাতে পারবে না। তোমরা কেবল ভগবানের শস্যদানাকে রূপান্তর করতে পার মাত্র... সেই গমের দানা ভগবান দিয়েছেন, আর তুমি কেবল সেটি রূপান্তর করছ মাত্র কিন্তু কোন একটা কিছু থেকে আরেকটা কিছু বানানো মানে এটা তোমার সম্পত্তি নয়।

ঠিক যেমন আমি একজন কাঠুরেকে কিছু কাঠ দিলাম, কিছু জিনিস দিলাম, বেতন দিলাম আর সে একটা খুব সুন্দর বাক্স বানালো। তাহলে সেই বাক্সটা কার হল? সেই কাঠুরের নাকি যে সেটা বানানোর উপাদান দিল তার? এটা মালিক কে? সেই কাঠুরে বলতে পারে না, "যেহেতু আমি কাঠ থেকে এই সুন্দর বাক্সটি বানিয়েছি, তাই এটা আমার"। না। সে এটা বলতে পারে না। ঠিক তেমনই, আরে মূর্খ, এইসব কে সরবরাহ করেছেন? তিনি হলেন কৃষ্ণ। ভগবান বলেছেন, ভূমিরাপহনলো বায়ুঃ খম্‌ বুদ্ধি মনোবুদ্ধিরেব ...প্রকৃতি মে অষ্টধা (গীতা ৭/৪) "এটি আমার সম্পত্তি" - এই সাগর, ভূমি, আকাশ, আগুন, বায়ু এইসব তুমি বানাও নি। এগুলো তোমার সৃষ্টি নয়। তুমি এই জড় উপাদানগুলোকে রূপান্তর করতে পার তেজোবারিমৃদাম্‌ বিনিময়ঃ। মিশ্রণ এবং রূপান্তর। তুমি ভূমি থেকে মাটি নিচ্ছ, সমুদ্র থেকে জল নিচ্ছ, এবং সেগুলো মিশিয়ে আগুনে দিচ্ছ... ফলে তা ইট হচ্ছে। আর সেই ইটগুলো একটার ওপর একটা সাজিয়ে বিশাল বড় অট্টালিকা বানাচ্ছ। কিন্তু বদমাশ, তুমি কোথা থেকে তুমি এইসব উপাদানগুলো পেলে? যে তুমি দাবী করছ এই গগনচুম্বী অট্টালিকা তোমার? এটা একটা বুদ্ধিমানের প্রশ্ন। তুমি ভগবানের সম্পত্তি চুরি করেছ। আর তুমি দাবী করছ যে এগুলো তোমার সম্পত্তি। এই হচ্ছে জ্ঞান। এটাই জ্ঞান।